চ্যাম্পিয়ন: পি সেন ট্রফি জিতে ইস্টবেঙ্গল। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
স্থানীয় ক্রিকেটে ইস্টবেঙ্গলকে চতুর্মুকুট এনে দেওয়া অধিনায়ক অর্ণব নন্দী বাংলা ছাড়ছেন অভিমানে, ক্ষোভে। ফিরে যাচ্ছেন রেলওয়েজে। বুধবার ইডেনে পি সেন ট্রফির ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে প্রায় একা হাতে জিতিয়ে ক্যাপ্টেন অর্ণব সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আমি আর বাংলার হয়ে খেলব না। সিএবি প্রেসিডেন্ট গত বছর আমাকে ডেকে নিয়ে এসেও বাংলা দলে সুযোগ দেননি। তাই আর বাংলায় থাকব না। ফিরে যাব রেলওয়েজে।’’
পি সেন ট্রফির আগে পর্যন্ত এই মরসুমে স্থানীয় ক্রিকেটে ৩৫ ইনিংসে ৭৬৬ রান করেছেন অর্ণব। নিয়েছেন ৩৮টি উইকেট। বুধবার ফাইনালে বড়িশার তোলা ২৮০-৮-এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইস্টবেঙ্গল যখন ৯৮-৪, তখন ব্যাট করতে নেমে ক্রিজে টিকে থেকে দলকে প্রায় একা ম্যাচ জেতান অর্ণব। তিন উইকেটও নেন। ওপেনার বিবেক সিংহের ৪৯ ও বি অমিতের (৩১) সাহায্যও পান।
তারকাহীন দল নিয়ে চার-চারটি ট্রফি জয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার পর বুধবার ক্ষোভ উগরে দেন সরাসরি সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বলেন, ‘‘গত বছর আমাকে ডেকে এনেও বাংলা দলে রাখা হয়নি। একাধিকবার আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। পুরো বছরটা নষ্ট হয় আমার। তাই ঠিক করেছি, আর বাংলার হয়ে খেলব না।’’ সৌরভ বিদেশে। তাই তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বাংলার অন্যতম নির্বাচক অরূপ ভট্টাচার্যর ব্যাখ্যা, ‘‘অর্ণব ভাল ক্রিকেটার। কিন্তু দলের কম্বিনেশনে ওর জায়গা হচ্ছে না। আর ওর মতো সিনিয়রকে দলে রেখে না খেলানো অন্যায়।’’
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমির টিকিট প্রায় নিশ্চিত মিতালিদের
এ দিকে বর্ষায় নাজেহাল সিএবি-র পি সেন ট্রফি ফাইনালে বৃষ্টি না হলেও বিতর্ক চলছেই। এ দিন ফাইনাল হল বাউন্ডারির দড়ি ছাড়াই। কিছু গোল চাকতি দিয়ে বাউন্ডারি মার্কিং করা হয় ইডেনে। মাঠে জল জমা রুখতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানান কিউরেটর। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে দুই চাকতির মাঝখানে বল পড়লে কী করে বোঝা যেত, ওটা চার বা ছয় কি না। এ ছাড়াও ফাইনালের এক আম্পায়ার সঞ্জীব পাণ্ডে বড়িশা ক্লাবের সদস্য বলেও অভিযোগ ওঠে ইস্টবেঙ্গল শিবির থেকে। যা জানা ছিল না বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয় সিএবি-র পক্ষ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy