জুটি: টিমবাসে আর কোলাদোর সঙ্গে এনরিকে। বৃহস্পতিবার। টুইটার
রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরে নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে লাল-হলুদ সমর্থকেরা উৎসব করছেন। কিন্তু কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া খুশি নন!
ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কোচ খোলাখুলি বললেন, ‘‘আমার ফুটবলারেরা মনে হয় দ্বিতীয়ার্ধে আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিল। এটা মারাত্মক ভুল। ওদের গোল করতে দিয়ে আমরাই নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছিলাম।’’
দলগত ফুটবলে বিশ্বাসী আলেসান্দ্রো কখনও ফুটবলারদের প্রশংসা বা সমালোচনা করেন না। এ দিনই ব্যতিক্রম। বললেন, ‘‘গোলরক্ষকের ভুলেই পেনাল্টি পায় রিয়াল কাশ্মীর।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেন, ‘‘পেনাল্টি থেকে গোলটা ছাড়া পুরো ম্যাচে ওরা কিছুই করতে পারেনি। আমরাই যোগ্য দল হিসেবে জিতেছি।’’
রিয়াল কাশ্মীর এফসি-কে হারালেও ইস্টবেঙ্গলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নির্ভর করছে চেন্নাই সিটি এফসি-র উপরে। এই মুহূর্তে ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পেদ্রো মানজ়িরা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ১৮ ম্যাচে ৩৬। লাল-হলুদ শিবিরে এখন একটাই প্রার্থনা, শুক্রবার চার্চিল ব্রাদার্স যেন হারিয়ে দেয় চেন্নাইকে। তা হলে বেঁচে থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা। শেষ ম্যাচেও যদি চেন্নাই পয়েন্ট নষ্ট করে, তা হলে সব ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু চেন্নাই শেষ দু’টো ম্যাচ ড্র করলে খেতাবের আশা ছাড়তে হবে এনরিকে-দের। কারণ, পয়েন্ট তখন সমান হলেও মুখোমুখি সাক্ষাতে দু’বার হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। আলেসান্দ্রো বলছেন, ‘‘এ বার আই লিগের খেতাবি দৌড়ে একাধিক অঙ্ক রয়েছে। চার্চিলের বিরুদ্ধে ম্যাচটা একেবারেই সহজ হবে না চেন্নাই সিটি এফসি-র। যদি ওরা হারে, তখন দেখা যাবে কী হবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা খেতাবি দৌড়ে আছি। তবে না থাকলেও জেতার জন্যই খেলতাম।’’
ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ গত বারের চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভা এফসি-র বিরুদ্ধে আগামী রবিবার পঞ্চকুল্লায়। তবে আপাতত দিল্লিতেই থাকছেন এনরিকে এসকুয়েদারা। শনিবার তাঁদের চণ্ডীগড় যাওয়ার কথা।
হতাশ রিয়াল কাশ্মীরের কোচ ডেভিড রবার্টসনও। তিনি বলছেন, ‘‘এ ভাবে ছিটকে যাওয়াটা খুবই যন্ত্রণার। বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটানোর পরেও জিততে পারলাম না। তবে ফুটবলারদের জন্য আমি গর্বিত।’’ ২৮ মিনিটে জনি আকোস্তা মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আবেদনেদো কোফি। রেফারির সিদ্ধান্তে কি ক্ষুব্ধ? রবার্টসনের কথায়, ‘‘ঠিক কী ঘটেছিল আমি দেখিনি। তাই কোনও মন্তব্য করব না। ফুটবলে এ রকম
হতেই পারে।’’ রিয়াল কাশ্মীর কোচ হতাশ ঘরের মাঠে খেলতে না পারায়। তিনি বলছেন, ‘‘শ্রীনগরে আমরা যে রকম মাঠে খেলি, এটা সে রকম নয়। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম অনেকটা যুবভারতীর মতো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy