Advertisement
E-Paper

ভারতের পিচে আগ্রাসী বোলিং শেখাচ্ছি ছেলেদের

ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে ইদানীং আগের চেয়ে একটু বেশিই খবর রাখছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। বিশেষ করে ভারতীয় পেসারদের নিয়ে। এমআরএফ শিবিরে তাঁদের নিয়ে বললেন এবিপি-কে।ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে ইদানীং আগের চেয়ে একটু বেশিই খবর রাখছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। বিশেষ করে ভারতীয় পেসারদের নিয়ে। এমআরএফ শিবিরে তাঁদের নিয়ে বললেন এবিপি-কে।

রাজীব ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৪৭
চেন্নাইয়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। —নিজস্ব চিত্র।

চেন্নাইয়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। —নিজস্ব চিত্র।

প্র: আপনি এখন এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনের কোচিং ডিরেক্টর। তাই এখন প্রায়ই ভারতে আসছেন, ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে নিশ্চয়ই খবর রাখছেন। ভারতীয় দলের পেসারদের নিয়ে আপনার কী ধারণা?

ম্যাকগ্রা: ভারতীয় ক্রিকেট খুব বেশি দেখা হয় না। তবে খবর রাখি। ওরা প্রত্যেকেই প্রতিভাবান। বরুণ অ্যারন তো খুব জোরে বল করতে পারে। নতুন বলে সুইংটাও দারুন করায়। ও আমাদের ফাউন্ডেশনেরই ছেলে। কিন্তু ওকে গতিটা বজায় রাখতে হবে, যা মোটেই সহজ নয়। ও যত খেলবে, তত উন্নতি করবে। ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করার মতো বোলার গোটা বিশ্বে কমই আছে। ভারতে তো বটেই। এ দেশের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট এমনই যে, এখানে সহজে জেনুইন পেসার তৈরি হয় না। তা ছাড়া একটা জিনগত ব্যাপার তো আছেই। যার জন্য পাকিস্তানে ভারতের চেয়ে বেশি পেস বোলার তৈরি হয় স্বাভাবিক কারণেই।

প্র: এ দেশের গতি ও বাউন্সহীন উইকেট কি ওদের কাজটা আরও কঠিন করে দিচ্ছে?

ম্যাকগ্রা: কিছুটা বটে। তবে আমার মনে হয় উইকেট প্রধান সমস্যা নয়। গতি-বাউন্সহীন উইকেটে ভাল বল করাটাই তো একজন জেনুইন পেস বোলারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত। আমি ভারতে এসে বল করতে পছন্দ করতাম। কারণ, এখানকার উইকেটে ভাল বল করার চ্যালেঞ্জটা আমি উপভোগ করতাম। এখানে রিভার্স সুইংটা ভাল করা যায়। আর্দ্রতা কম বলে বল সহজে নরম হয় না। এগুলো তো পেসারদের প্লাস পয়েন্ট। এগুলোই এখানে কাজে লাগানো উচিত। এমআরএফে সেটাই ছেলেদের শেখাচ্ছি। উইকেটের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে জানতে হবে। সাফল্যের প্রথম ধাপ এটাই। তার পর আগ্রাসী বোলিং। এখানে ছেলেদের শেখাতে শেখাতে ভাবছি, খেলোয়াড় জীবনে এত গভীর ভাবে যদি আমি ভাবতাম, তা হলে বোধহয় আরও ভাল বল করতাম।

প্র: কিন্তু ভারতীয় পেসারদের চোটপ্রবণতা এত বেশি কেন?

ম্যাকগ্রা: এটা আমি বলতে পারব না। প্রাকৃতিক বৈশিষ্টের কারণে হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত ক্রিকেটও একটা কারণ হতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে এখন আইপিএল ঢুকে পড়েছে শিডিউলে। এ দেশের পেস বোলারদের এখন এত চাপের মধ্যে থাকতে হয়, যে তারা হয়তো সব সামলে উঠতে পারে না। এই যে আপনাদের মহম্মদ শামির কথাই ধরুন। ছেলেটা বিশ্বকাপে ভাল বল করল। শেষ পর্যন্ত আইপিএলে আর খেলতেই পারল না। যদি ওকে আগে থেকেই বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে খেলানো যেত, তা হলে হয়তো ওর এই চোটটা এড়ানো যেত। শামির মতো ভাল পেসার ভারতীয় দলে খুব দরকার।

প্র: আপনাদের সঙ্গে তো ভারতীয় বোর্ডের চুক্তি হয়েছে। পেসারদের সাহায্য করার জন্য। বোর্ডকে এই সমস্যাগুলোর কথা জানাচ্ছেন না কেন?

ম্যাকগ্রা: বোর্ডকে পরামর্শ দেওয়ার এক্তিয়ার সেই চুক্তিতে নেই।

প্র: ইদানীং ভারতীয় টেস্ট ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি আগ্রাসী ক্রিকেটের উপর বেশি জোর দিচ্ছেন। এর মধ্যে স্লেজিং ব্যাপারটাই আসল?

ম্যাকগ্রা: আপনারা মিডিয়ায় স্লেজিং নিয়ে বড্ড হইচই করেন। মাঠে এত স্লেজিং হয় না। এটা কিছুটা অতিরঞ্জিত। স্লেজিং ক্রিকেটেরই অঙ্গ। এটা হয়েই থাকে, এই নিয়ে এত হইচই করার কোনও মানে হয় না। আর আগ্রাসী ক্রিকেট বলতে আমি ইতিবাচক ক্রিকেট বুঝি। মাঠে মস্তানি করা নয়। মাঠে নেতিয়ে পড়ে থাকার চেয়ে সবসময় বুক চিতিয়ে, মাথা উঁচু করে থাকাই আসল কথা। এটাই আগ্রাসী ক্রিকেট। তার মাঝে স্লেজিং একটু-আধটু চলে। মাঝে মধ্যেই মেজাজ দেখানো, চেঁচামেচি করা, এটা ঠিক নয়। কোহলি কোনটা করতে চায় আমি ঠিক জানি না।

Glenn McGrath Australian Foundation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy