নিষ্ফলা ডার্বির চব্বিশ ঘণ্টা পরে নতুন এক মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল দ্বৈরথের সুর। এত দিন হচ্ছে হবে করেও যা হচ্ছিল না তারই ছাড়পত্র সোমবার চলে এল লাল-হলুদ কর্তাদের হাতে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাগানের মতো এবার ইস্টবেঙ্গলেও বসতে চলেছে ফ্লাডলাইট।
সোমবারেই ইস্টবেঙ্গলে ফ্লাডলাইট বসানোর জন্য সবুজ-সঙ্কেত দিলেন ফোর্ট উইলিয়ামের সেনা কর্তারা। জিওসি (ল্যান্ড) কর্নেল বীরেন্দ্র কুমারের স্বাক্ষরিত সেই চিঠি পাওয়ার পর বিকেলে রীতিমতো উল্লাস লাল-হলুদ ক্লাবে। ডার্বি ও তার পরবর্তী বুধবারের লাজং ম্যাচের জন্য এই মুহূর্তে শিলিগুড়িতেই রয়ে গিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। সেখান থেকেই ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার সেনাবাহিনীর কাছ থেকে চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এর বেশি এখন কিছু বলতে চান না তিনি। বললেন, ‘‘এ নিয়ে যা বলার ক্লাব সচিব বলবেন।’’ সচিব কল্যাণ মজুমদার সেনাবাহিনীর সবুজ-সঙ্কেত পাওয়ার ঘটনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘‘ফ্লাডলাইট নিয়ে দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক কম টিপ্পনী হজম করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গল সদস্য সমর্থকদের। আমাদের ফুটবলাররা যেমন ম্যাচ জিতলে আনন্দ করে, তেমনই আজকের দিনটা ক্লাবের ইতিহাসে একটা ‘রেড লেটার ডে’ হয়ে থাকবে। দারুণ আনন্দ হচ্ছে। দ্রুত কাজ শুরু করব আমরা।’’
নিজেদের মাঠে নৈশালোকে ম্যাচ আয়োজন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ফ্লাডলাইটের আবেদন জানাচ্ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কিন্তু তা নাকচ করছিল সেনা। শেষ পর্যন্ত কী ভাবে মিলল তাঁদের ‘গ্রিন সিগন্যাল’? লাল-হলুদ সচিব বললেন, ‘‘অতীতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা সব কিছু লড়ে আদায় করেছে। এবারেও ঠিক তাই। গত মাসেই সেনাবাহিনী এই আবেদন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর পাঠিয়ে দেয় ক্লাব। হয়তো ক্লাবের আবেগ আর উদ্দেশ্য বুঝে সেনাকর্তারা অনুমতি দিয়েছেন।’’
মোহনবাগানে গত বছরও কলকাতা লিগের ম্যাচ হয়েছে নৈশালোকে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই আক্ষেপ কবে দূর হবে জানতে চাইলে কল্যাণবাবুর চটজলদি উত্তর, ‘‘পরবর্তী কলকাতা লিগের অনেক আগেই ফ্লাডলাইটে ম্যাচ দেখার পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy