মারিয়া শারাপোভার নির্বাসন দু’বছর থেকে কমে ১৫ মাসে নেমে এলেও গ্ল্যামার গার্লের নিষিদ্ধ মেলডোনিয়াম খাওয়া নিয়ে বিতর্ক থামছে না। শাস্তি কমায় তাঁকে পরের বছর ফরাসি ওপেনে দেখা যাওয়ার জোর সম্ভাবনা। তবু বিশ্বের সর্বাধিক রোজগেরে মেয়ে ক্রীড়াবিদের রাগ যেন যাওয়ার নয়। যা নিয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় যথেষ্ট জলঘোলা চলছে। জের হিসেবে আজ আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা তীব্র সমালোচনা করেছে শারাপোভার।
২৯ বছর বয়সি রুশ টেনিস তারকা অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্ব খেলাধুলোর সর্বোচ্চ আদালত বা ‘ক্যাস’ প্রথমে তাঁকে দু’বছর নির্বাসিত করলেও আইটিএফ চেয়েছিল তাঁর চার বছর নির্বাসন হোক। যদিও শারাপোভার দাবি, ‘টেনিস জগতে কয়েদি হিসেবে আমাকে উদাহরণ করার চেষ্টা হয়েছিল’-কে টেনিসের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইটিএফ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ‘ভিত্তিহীন’ বলে পাল্টা দিয়েছে।
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলীয় ওপেনে ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েন শারাপোভা। প্রমাণ হয় তিনি মেল়োনিয়াম নামক যে হাঁপানির ওষুধ দীর্ঘ দিন খাচ্ছেন, সেটা বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থা বা ওয়াডা-র নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত। একাধিকবার নাকি সেই মর্মে তাঁকে ই মেল-এ সতর্ক করা হয়েছিল। এই সব কিছুই শারাপোভা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে স্বীকার করার পরে তাঁর উপর দু’বছরের নির্বাসনের খাঁড়া নেমে আসে। যার মেয়াদ গতকাল কমে ১৫ মাস হয়। কিন্তু তার পরেই শারাপোভার মন্তব্য নিয়ে ঝড় ওঠে। তিনি বলেন, ‘‘যতই বিশ্বাস করতে না চাই, কিন্তু কিছুতেই না ভেবে থাকতে পারছি না যে, ওরা (আইটিএফ) আমাকে চার বছর কোর্টের বাইরে পাঠাতে চেয়েছিল।’’
যার বিরুদ্ধে এ দিন রীতিমতো প্রেস বিবৃতি দিয়ে মুখ খোলে আইটিএফ। তাদের সাফ বক্তব্য, শারাপোভার ডোপ কেলেঙ্কারির ট্রায়াল এক সম্পূর্ণ স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এবং তার পাশাপাশি ‘ক্যাস’ চালনা করেছিল। এবং তারাই যেটা ন্যায্য নির্বাসনের মেয়াদ মনে করেছিল, সেটাই ধার্য করেছিল। এখন ‘ক্যাস’ মেয়াদ যতটা কমানো সঠিক মনে করেছে, সেটাই করেছে। শুনানির সময় অভিযুক্ত এবং আদালত, দু’তরফেরই আইনজীবীর উপস্থিতিতে আইনি কাজকর্ম শেষ হয়েছিল। এবং পুরোটাই ওয়াডা-র কোড অনুযায়ী। ‘‘আসল হচ্ছে, মিস শারাপোভা এ ব্যাপারে ওয়াডার যাবতীয় নিয়ম মেনেছিলেন কি না সেটাই,’’ বিবৃতিতে মন্তব্য করে পাল্টা একহাত নিয়েছে আইটিএফ।
এ দিকে, টেনিসে ম্যাচ গড়াপেটা খতিয়ে দেখার সংস্থা বা, আইটিইউ এ দিন জানিয়ে দিয়েছে, এ বছর উইম্বলডন ও যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে যে দু’টো ম্যাচ গড়াপেটা করার অভিযোগ উঠেছে, তা তারা তদন্ত করে দেখছে। তারা আরও জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে এ ব্যাপারে তদন্ত করার একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক অনুরোধ আসার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, উইম্বলডন ও যুক্তরাষ্ট্র ওপেন, দু’টো গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম রাউন্ডের দু’টো ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে। দু’টো ম্যাচেই খেলেছিলেন অবশ্য অনামী প্লেয়াররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy