জয়ী দল ধরে রাখতে চাইছেন না মোহনবাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাস। এফসি গোয়াকে হারিয়ে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে মোহনবাগান। যে দল গোয়ার মতো দলকে হারিয়েছে, সেই দল পরের ম্যাচেই বদলে যাবে বলে জানিয়েছেন বাগান কোচ।
গোয়া ম্যাচের পরে আইএসএলের ওয়েবসাইটে হাবাস জানিয়েছেন, ফুটবলারেরা যাতে চোট না পেয়ে খেলতে পারেন তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। হাবাস বলেন, “আমাদের এখন প্রথম এগারো নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। কারণ, এক সপ্তাহে আমাদের তিনটে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। আমাদের অনেক সফর করতে হচ্ছে। বার বার যে আবহাওয়া, তাপমাত্রারও পরিবর্তন হচ্ছে, সেটাও দেখতে হবে। পরের ম্যাচে হয়তো প্রথম এগারোয় চার-পাঁচটা বদল করতে হবে।”
চলতি সপ্তাহে দু’টি ম্যাচ খেলেছে মোহনবাগান। প্রথমে ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। তার পরে গোয়ায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে। এ বার শনিবার ঘরের মাঠে সামনে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। ক্রমাগত খেলায় ফুটবলারেরা যাতে চোট না পান তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাবাস। গোয়ার বিরুদ্ধে দীপক টাংরি, দীপ্পেন্দু বিশ্বাস, আশিস রাই ও আর্মান্দো সাদিকুকে প্রথম একাদশে ঢুকিয়েছিলেন কোচ। পরের ম্যাচে হয়তো আরও কিছু বদল হবে দলে।
আরও পড়ুন:
ম্যাচ জিতলেও প্রথমার্ধে গোয়া ভাল খেলেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন হাবাস। তিনি বলেন, “প্রথমার্ধে গোয়া আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। তার পরে আমরা দলে কয়েকটি পরিবর্তন করি। তাতে দল আরও ভাল খেলে। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা গোল পাই এবং ম্যাচটা জিতি। এই অর্ধে দল অনেক শৃঙ্খলাবদ্ধ ফুটবল খেলে এবং গোলের সুযোগও তৈরি করে। আমরা শক্তি বজায় রাখতে পেরেছি। এটাই এই জয়ের জন্য খুবই জরুরি ছিল। দলের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য আমাদের শক্তি বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।”
চলতি মরসুমে প্রথম ম্যাচ হেরেছে গোয়া। পর পর দু’ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে উঠেছে বাগান। গোয়ার বিরুদ্ধে জয় খুব দরকার ছিল বলে জানিয়েছেন হাবাস। তিনি বলেন, “এই জয় খুবই দরকার ছিল। কারণ, এফসি গোয়া এক নম্বর দল, যাদের কেউ হারাতে পারেনি। তা ছাড়া দলটা এখন ক্রমশ উন্নতি করতে শুরু করেছে। এখানে আমরা জেতার সম্ভাবনা নিয়েই এসেছিলাম। সম্প্রতি ওরা একটা ম্যাচেও হারেনি। অবশেষে আমাদের কাছেই হারল।”