বল দখলের লড়াই। বেঙ্গালুরু বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে। ছবি: সমাজমাধ্যম।
বেঙ্গালুরু — ১
ইস্টবেঙ্গল — ০
আইএসএলের প্রথম দিন নিজেদের প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয় দিন পয়েন্ট নষ্ট করল কলকাতার আর এক প্রধান ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান ড্র করলেও ইস্টবেঙ্গল হারল। বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হারল তারা। আইএসএলের শুরুটা ভাল হল না তাদের।
অ্যাওয়ে ম্যাচে শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে ছিলেন না ক্লেটন সিলভা। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসের উপর ভরসা রেখেছিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তবে ঘরের মাঠে শুরু থেকেই দাপট ছিল বেঙ্গালুরুর। সুনীল ছেত্রী শুরু থেকেই খেলছিলেন। দর্শকদের সমর্থনও ছিল তাঁদের দিকে।
১২ মিনিটের মাথায় খেলার গতির বিপরীতে সুযোগ পান ইস্টবেঙ্গলের জিকসন সিংহ। অনেকটা দূর থেকে শট মারেন তিনি। গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু সেই বল বাঁচান। ১৫ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে মাটি ঘেঁষা শটে গোল করেন বিনিথ। বেঙ্গালুরুর হয়ে আইএসএল অভিষেকে গোল করলেন তিনি। তবে এই গোলের ক্ষেত্রে দায়ী লাল-হলুদ রক্ষণ। বিনিথ অরক্ষিত অবস্থায় বল পান। তাঁকে আটকানোর কোনও চেষ্টাই করেননি ডিফেন্ডারেরা।
গোল খাওয়ার পরে কিছুটা হলেও খেলায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আক্রমণ ভাগের ফুটবলারেরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। বলের দখল বেশি ছিল বেঙ্গালুরুর। সুনীল ছটফট করছিলেন। দু’দলই সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় বেঙ্গালুরু।
বিরতির পরে শুরুর কয়েক মিনিট আবার আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় বেঙ্গালুরু। কিন্তু গোল করতে পারেনি তারা। তার মাঝেই দিয়ামানতাকোস, শৌভিক চক্রবর্তীরা সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সের মধ্যে থেকে বারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন শৌভিক। ৬৯ মিনিটে বেঙ্গালুরুর পেরেরা দিয়াজ় গোল করলেও তা অফসাইডে বাতিল হয়।
বাধ্য হয়ে মাদি তালাল, ক্লেটন, পিভি বিষ্ণুদের নামিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত। ফলে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ কিছুটা বাড়ে। কিন্তু সময় কমছিল। ফলে চাপ বাড়ছিল তাদের উপর। তার মাঝেই ৮৫ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান ক্লেটন। বক্সের মধ্যে থেকে জোরে শট মারেন তিনি। ফলে বল বার উঁচিয়ে চলে যায়। শেষ দিকে গোল বাঁচাতে রক্ষণে লোক বাড়ান বেঙ্গালুরুর কোচ।
ইস্টবেঙ্গলের পুরো দল আক্রমণে ওঠায় প্রতি আক্রমণ থেকে মাঝে মাঝে সুযোগ পাচ্ছিল বেঙ্গালুরু। সেই আক্রমণ থামাতে গিয়ে ৮৭ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লালচুংনুঙ্গা। ১০ জনে হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে কুয়াদ্রাতের। আট মিনিট সংযুক্তি সময় পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শেষ দিকে মাথা গরম করতে থাকেন দু’দলের ফুটবলারেরা। ফলে খেলায় বিঘ্ন ঘটে। শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
ওড়িশাকে হারাল চেন্নাইয়িন— শনিবারের প্রথম ম্য়াচে ওড়িশা এফসিকে ৩-২ গোলে হারাল চেন্নাইয়িন এফসি। খেলার ৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন ওড়িশাকে এগিয়ে দেন দিয়েগো মৌরিসিও। দ্বিতীয়ার্ধে ৪৮ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান ফারুখ চৌধরি। ৫১ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ফারুখ। ৬৯ মিনিটে চেন্নাইয়িনের হয়ে তৃতীয় গোল করেন ড্যানিয়েন চিমা চুকু। সংযুক্তি সময়ে রয় কৃষ্ণ ওড়িশার হয়ে এক গোল শোধ করলেও দলকে জেতাতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy