ফাইল চিত্র।
ইউরোপীয় পর্যায়ে ব্রাজিলের একঝাঁক তরুণ ফুটবলারদের উত্থানে উচ্ছ্বসিত কোচ তিতে। তিনি মনে করেন আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনহা, রিচার্লিসনরা নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রের উপর থেকে চাপ অনেক কমিয়ে দেবে। এর ফলে প্যারিস সাঁ জারমাঁ তারকা নিজেকে উজাড় করে দিতে পারবেন।
কাতারে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জিতে নজির গড়তে মরিয়া ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ বলেছেন, ‘‘আমার বিশ্বাস একঝাঁক তরুণ প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারের উত্থান নেমারের জন্য খুব ইতিবাচক হবে। তা মাঠের ভিতরে শুধু নয়, বাইরেও।’’ যোগ করেছেন, ‘‘নেমার নিজেই এক দিন আমাকে হাসতে হাসতে বলেছিল, এই একঝাঁক তরুণকে একসঙ্গে মাঠে নামানোর জন্য তৈরি করতে হবে। ওরা এখন অনেকটা বাদামের মতো। ওদের ঠিক মতো গড়ে তুলতে হবে।’’ আরও বলেছেন, ‘‘যখন দলে দক্ষ ও সম্ভাবনাময় অনেক ফুটবলার থাকবে, তখন দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া যায়। পাশাপাশি, আমাদের প্রতিপক্ষদের এখন বেছে নিতে হবে যে, রক্ষণের কোন জায়গাতে তারা বেশি মনোযোগ দেবে।’’
কাতার বিশ্বকাপে নেমারকে যে নতুন ভূমিকায় ব্যবহার করতে চান, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিতে। তিনি পিএসজি তারকাকে মাঝমাঠে খেলাতে চান। আক্রমণের ঝড় তোলার জন্য সামনে রাখবেন তরুণ ফুটবলারদের। তিতে এই রণনীতির নাম দিয়েছেন ‘হাইব্রিড সিস্টেম’। বলেছেন, ‘‘নেমারের খেলা তৈরি করার দক্ষতা আরও উন্নত হয়েছে। ফুটবল এখন অনেক বেশি গতিসম্পন্ন। অনেক প্রতিপক্ষই রক্ষণে পাঁচ জনকে রাখছে। আর নেমারকে আটকানোর জন্য সব সময়ই বিপক্ষের দু’জন ফুটবলার থাকবে। ফলে ওর উপরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকবে দলের অন্যদের খেলার জন্য ফাঁকা জায়গা তৈরি করার।’’
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তার পরেও অবশ্য তিতের উপরে আস্থা রেখেছেন সে দেশের ফুটবল কর্তারা। ৩৪ বছর পরে একই কোচের অধীনে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলবে ব্রাজিল। কাতার বিশ্বকাপের আগে নিজেকে আরও পরিণত মনে করছেন তিনি।
৬১ বছর বয়সি ব্রাজিল কোচ তিতে বলেছেন, ‘‘পারফরম্যান্সই প্রধান। এটা মৌলিক বিষয় এবং তা আমাদের দলের আছে। তবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে কঠিন অংশ হচ্ছে মানসিক শক্তি। বিশ্বকাপ জিততে যে ধরনের মানসিকতার দরকার হয়, তা অবিশ্বাস্য, অসাধারণ। রাশিয়া বিশ্বকাপের মতোই চাপ থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy