Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Kolkata Derby

রবি-ডার্বির আগেই ক্ষোভ ইস্টবেঙ্গলে, ডুরান্ডের রেফারিং নিয়ে অভিযোগ জানানো হচ্ছে আয়োজকদের কাছে

গোটা ডুরান্ড কাপে খারাপ রেফারিং নিয়ে সরব ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের গত দু’টি ম্যাচের রেফারিং ত্রুটি তুলে ধরে তাদের দাবি, একটি বিশেষ ক্লাবকে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে।

football

ডার্বির একটি মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৯
Share: Save:

ডুরান্ড কাপে যে ভাবে রেফারিং হচ্ছে তা নিয়ে খুশি নয় ইস্টবেঙ্গল। এ নিয়ে আয়োজকদের কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগ জানাতে চলেছে তারা। শনিবারই অভিযোগ করা হবে। ইস্টবেঙ্গলের দাবি, একটি বিশেষ ক্লাবকে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। লাল-হলুদের তরফে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়েছে টিকিট নিয়েও।

শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানেই কর্তা দেবব্রত সরকার নাম না করে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচে রেফারিদের ত্রুটি নজরে আনেন। কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে বক্সের মধ্যে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে ফাউল করেন আনোয়ার আলি। কিন্তু রেফারি তো পেনাল্টি দেনইনি, উল্টে প্রতিবাদের জন্যে স্টুয়ার্টকেই হলুদ কার্ড দেখান। এফসি গোয়া ম্যাচে ঘটেছে ঠিক উল্টোটা। বক্সের বাইরে আশিক কুরুনিয়ানকে ফাউল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রিপ্লে-তে তা ধরাও পড়েছে। তা সত্ত্বেও পেনাল্টি দেওয়া হয় মোহনবাগানকে।

দু’টি ঘটনার ছবি তুলে ধরে দেবব্রত বলেন, “প্রতিটি ম্যাচেই একটি দল রেফারিদের তরফে অন্যায্য সুবিধা পাচ্ছে। সেমিফাইনালে সুবিধা পেয়েছে। কোয়ার্টারে মুম্বই সিটি ম্যাচে পেয়েছে। গত বছর বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ফাইনালে একই ঘটনা ঘটেছে। গোয়ার কোচও ম্যাচের পর সেটা বলেছেন।”

দেবব্রতের সংযোজন, “আগামী ৩ তারিখ ফাইনালে সুন্দর ম্যাচ হোক আমরা এটাই চাই। কোনও ক্লাবই যেন এ রকম ভাবে অন্যায্য সুবিধা না পায়। যাঁরা আয়োজক, তাঁদের আবেদন করতে চাই সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করার জন্য। জানি না কেন একটি বিশেষ ক্লাবকে এ ভাবে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাকি ক্লাবগুলো তা হলে কেন দল তৈরি করল? মুম্বই দল এখানে অনুশীলন করতে এসেছিল। ওরা বলেছে, আগামী দিনে কলকাতায় খেলতে আসবে কি না সেটা ভাববে। এ রকম পরিস্থিতি কাম্য নয়।”

এই অভিযোগের জবাবে মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত বলেছেন, “ডার্বির আগে রেফারিদের উপর চাপের খেলা চলছে। বিশ বছর আগে এ রকম হত বলে শুনেছি। তখন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল দু’দলই এই খেলা খেলত। রেফারির উপর চাপ তৈরির কৌশল এটা। তবে মনে করিয়ে দিতে চাই, নর্থইস্টের বিরুদ্ধে একটি ক্লাবের খেলার পর সাংবাদিক বৈঠকে ওদের কোচ বলেন, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কলকাতায় খেললে শুধু ভাল খেলা নয়, অন্য একটা জিনিস দরকার। সেটা পারিনি বলেই হেরে গিয়েছি। তাঁর ইঙ্গিত কোন দিকে ছিল সেটা বোঝাই যায়। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে।”

মোহনবাগানের ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন নিয়েও আপত্তি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। নিয়ম রয়েছে সর্বাধিক ৩০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করানোর। ডুরান্ডে প্রথম ডার্বির পরেই ৩৩ জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনের জন্যে অভিযোগ জানানো হয়েছিল লাল-হলুদের তরফে। দাবি, সেই অভিযোগ কানে তোলা হয়নি। উল্টে তার পরে আরও এক ফুটবলারের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে মোহনবাগান।

দেবব্রত জানিয়েছেন, প্রথম ডার্বিতে ডুরান্ড কমিটির তরফে পাঠানো টিকিট গ্রহণ না করা হলেও এ বার তাঁরা টিকিট নিয়েছেন। বিনিয়োগকারী সংস্থা এবং বেশ কিছু দায়বদ্ধতার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু লাল-হলুদের কোনও কর্তাই মাঠে খেলা দেখতে যাবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE