Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
FIFA World Cup 2022

নিজের শহরে ফিরলেন আর্জেন্টিনার বিতর্কিত গোলরক্ষক মার্তিনেস, ভক্তরা কী করলেন তাঁকে নিয়ে?

গোলরক্ষক হয়েও এত মানুষের ভালবাসা পাবেন ভাবতে পারেননি মার্তিনেস। তাঁর দাবি, এমন উচ্ছ্বাস দেখা যায় স্ট্রাইকারদের ঘিরে। তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রায় এক লাখ মানুষ পথে নেমেছিলেন।

বিশ্বকাপ জয়ের পর শুক্রবার নিজের শহরে ফিরলেন মার্তিনেস।

বিশ্বকাপ জয়ের পর শুক্রবার নিজের শহরে ফিরলেন মার্তিনেস। ছবি: টুইটার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৭
Share: Save:

বিশ্বকাপে যতই বিতর্কে জড়ান, আচরণ নিয়ে যতই প্রশ্ন উঠুক, নিজের শহরে ফিরে নায়কের সম্মান পেলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বিশ্বকাপ জেতার পর শুক্রবার মার দে প্লাটায় ফিরেছেন মার্তিনেস। তাঁকে স্বাগত জানাতে ভিড় করেছিলেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ।

ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীরা মার্তিনেসের উপর চটলেও আর্জেন্টিনা তাঁর পাশেই রয়েছে। শুক্রবার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষককে ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস সেটাই প্রমাণ করল। বিশ্বকাপের পর শুক্রবার নিজের শহর মার দে প্লাটায় ফিরেছেন মার্তিনেস। তাঁকে দেখতে শহরের রাস্তায় নেমে এসেছিলেন প্রায় এক লাখ মানুষ। বিশ্বকাপের বিতর্কিত গোলরক্ষককে নায়কের সম্মান দিলেন তাঁরা। রাজধানী বুয়েনস আইরেসের দক্ষিণ দিকের এই শহরের মানুষের কাছে এত দিন নায়ক ছিলেন টেনিস খেলোয়াড় গুলেরমো ভিয়াস। বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর মার্তিনেসই এখন নায়ক। তাঁকে স্বাগত জানাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিল শিশুরাও।

ফুটবলের জন্য ১৭ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা ছাড়েন মার্তিনেস। যোগ দিয়েছিলেন আর্সেনালের অ্যাকাডেমিতে। এখন তিনি খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আর এক ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায়। তাঁকে নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে উচ্ছ্বসিত মার্তিনেস। এখনই তিনি চতুর্থ বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘শুধু আমি নয়, যারা এখন খুদে গোলরক্ষক, শিশু, তারাও জাতীয় দলের জার্সিতে চারটে তারার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এটা দুর্দান্ত ব্যাপার। এক জন গোলরক্ষককে যে ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে ভাবা যায় না। এ রকম উচ্ছ্বাস সাধারণত স্ট্রাইকারদের নিয়ে দেখা যায়।’’ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মার্তিনেস। তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘পেনাল্টির সময় সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকি। জানি, মানুষ আমাকে সম্মান করে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রাও আমাকে একই কথা বলেছে।’’

বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও মার্তিনেসের বিভিন্ন আচরণের সমালোচনা চলছেই। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর বিজয় প্যারেডে একটি পুতুলে এমবাপের মুখ বসিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মার্তিনেস। সেই ঘটনা নিয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিকে লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থা সভাপতি। ফাইনালের পর সেরা গোলরক্ষকের ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁর ‘অশ্লীল’ ভঙ্গি নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের পর নেদারল্যান্ডসের কোচকেও বিদ্রুপ করে কুকথা বলেছিলেন তিনি। মার্তিনেস অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ভাবমূর্তি নিয়ে তিনি আদৌ চিন্তিত নন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE