দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। পেরিসিচ গোল দেওয়ার পরে হতাশ জাপানের ফুটবলাররা। ছবি: রয়টার্স
জাপানের স্বপ্নভঙ্গ। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হল না সূর্যোদয়ের দেশের। প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল জাপান। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করে ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ১-১ থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়াল ম্যাচ। সেখানেও গোল হল না। অবশেষে টাইব্রেকারে জাপানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপে আশা জাগিয়েও ছিটকে গেল জাপান।
টাইব্রেকারে পাহাড় হয়ে উঠলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। জাপানের তিনটি শট বাঁচিয়ে দিলেন তিনি। অন্য দিকে ক্রোয়েশিয়ার এক জন ফুটবলার পেনাল্টি ফস্কান। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে ফল ৩-১।
প্রথম থেকে গতিশীল ফুটবল খেলা শুরু করে জাপান। জুনিয়া ইতো, দাইচি কামাদাদের হাত ধরে আক্রমণ তুলে আনতে থাকে তারা। ছোট ছোট পাসে নিজেদের খেলা সাজায় জাপান। অন্য দিকে ক্রোয়েশিয়া চেষ্টা করছিল মাঝমাঠের দখল নেওয়ার। খেলার ৩ মিনিটের মাথাতে প্রথম সুযোগ পায় জাপান। তানিগুচির হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়। ৯ মিনিটের মাথায় টোমিয়াসুর ভুল থেকে সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও পেরিসিচ গোল করতে পারেননি। ১৩ মিনিটের মাথায় আবার জাপানের সুযোগ। ইতোর ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল করতে পারতেন মায়েদা। পারেননি তিনি।
বলের দখল বেশি ছিল ক্রোয়েশিয়ার। কিন্তু জাপান অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করছিল। জাপানের ফুটবলারদের গতির কাছে পেরে উঠছিলেন না মদ্রিচরা। দুই প্রান্ত ধরে একের পর এক ক্রস ভেসে আসছিল ক্রোয়েশিয়ার বক্সে। কিন্তু গোলের মুখ খোলেনি।
অবশেষে প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে গোল করে জাপানকে এগিয়ে দেন মায়েদা। দোয়ানের ক্রসে হেড করেন মায়া ইয়োশিদা। বল যায় মায়েদার কাছে। বাঁ পায়ের শটে গোল করতে ভুল করেননি দলের স্ট্রাইকার। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় জাপান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে ক্রোয়েশিয়া। আক্রমণে গতি অনেক বাড়ায় তারা। তার ফলও মেলে। ৫৫ মিনিটের মাথায় লভরেনের ক্রস থেকে হেডে গোল করে সমতা ফেরান ইভান পেরিসিচ।
এক গোল পেয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় গোলের জন্য ঝাঁপায় ক্রোয়েশিয়া। আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে থাকা। কিন্তু দ্বিতীয় বার জাপানের রক্ষণকে ভাঙা যাচ্ছিল না। অন্য দিকে প্রতি আক্রমণ থেকে মাঝে মাঝেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন দোয়ানরা। কিন্তু দু’দল অনেক চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
অতিরিক্ত সময়ে বেশি ঝুঁকি নিতে চায়নি দু’দল। কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলছিল তারা। মাঝে মাঝে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল। অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিটেও কোনও গোল আসেনি। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy