শেষ বার আমেরিকায় বিশ্বকাপ হওয়ার সময় গ্রুপ পর্বে টিকিটের দাম ছিল ২৫ ডলার। ফাইনালের সেরা আসনের দাম ছিল ৪২৫ ডলার। গড়ে টিকিটের দাম ছিল ৯৮ ডলার। তখনও দিয়েগো মারাদোনা খেলছেন আর্জেন্টিনার হয়ে। সেই বিশ্বকাপই বলে দিয়েছিল, ভবিষ্যৎ ফুটবলের অর্থনীতে কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে।
তিরিশ বছর পর সেই আমেরিকাতে বিশ্বকাপ ফেরার পর চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। পরের বিশ্বকাপ কাদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে? সংক্ষিপ্ত উত্তর, ধনীদের জন্য। টিকিটের দাম যে বেশি হবে সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। এতটা বেশি হবে ভাবা যায়নি। বিভিন্ন মাঠের আয়তন অনুযায়ী টিকিটের দাম রাখা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ফাইনাল দেখতে গেলে অন্তত পক্ষে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।
গ্রুপ পর্বের টিকিটের সবচেয়ে কম দাম ৫,৩২৫ টাকা। তবে সেই দামের টিকিট খুবই অল্প সংখ্যায় ছাড়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের সবচেয়ে খারাপ জায়গা থেকে ম্যাচ দেখতে হবে। সেখানে কাতারে ফাইনালের টিকিটের দাম ছিল ১,৪৩,০০০-এর মতো।
আমেরিকা বিশ্বকাপের টিকিটকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বস্টনে কোয়ার্টার ফাইনালের সর্বনিম্ন টিকিটের দাম ২৪,৪০৭ টাকা। কোয়ার্টার ফাইনালে সবচেয়ে বেশি টিকিটের দাম ১,৪৯,৯৯৭ টাকা। লস অ্যাঞ্জেলেসের সোফি স্টেডিয়ামে টিকিটের এই দাম রাখা হয়েছে। সেমিফাইনালে আটলান্টায় খেলা দেখতে গেলে ৩৯,৯৪০ টাকা দিতে হবে। আবার ডালাসে খেলা দেখতে গেলে ২,৪৬,৭৪১ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন:
উত্তর আমেরিকার খেলাধুলো এবং বিনোদন জগতে টিকিটের দাম চাহিদার ভিত্তিতে ওঠানামা করে। ফিফা প্রথম বার বিশ্বকাপে এই পদ্ধতি কাজে লাগাচ্ছে। এ বছর ক্লাব বিশ্বকাপেও এই জিনিস দেখা গিয়েছে।
বিশ্বকাপ শুধু মাঠ হয় না, গ্যালারিতেও হয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রতিটি মাঠ ভর্তি থাকত। ২০১০ মনে থেকে গিয়েছে ভুভুজেলার আওয়াজের জন্য। এই সমর্থকদের জন্যই বিশ্বকাপের এত জনপ্রিয়তা। তবে টিকিটের দামের কারণে আমেরিকায় হয়তো অনেকেই যেতে চাইবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।