উচ্ছ্বাস: খোলা বাসে ট্রফি নিয়ে ম্যান সিটি ফুটবলাররা।
পাঁচ বছরে চতুর্থ বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের উৎসব সাড়ম্বরে পালন করল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। করোনা অতিমারির দুঃসময় কাটিয়ে প্রথম বার পেপ গুয়ার্দিওলার দলের উৎসবে রাস্তায় নেমে যোগ দিল হাজারহাজার সমর্থক।
খেলোয়াড়, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফকে নিয়ে আকাশী রঙের বিশাল বাসে শহর প্রদক্ষিণ করল দল। কৃত্রিম ধোঁয়ায় ঢেকে দেওয়া হল আকাশ। বাসের উপরে বৃষ্টির মতো অবিশ্রাম পড়তে থাকল কনফেট্টি। আর বাসের মাথায় ট্রফি নিয়ে অভিনন্দন কুড়োলেন রাহিম স্টার্লিংরা।
এ হেন দৃশ্যে আপ্লুত ম্যান সিটির লিগ জয়ের অন্যতম নায়ক কেভিন দ্য ব্রুইন। তিনি বলেছেন, ‘‘পাঁচ বছরে চার বার একই উৎসব পালন করা আমার কাছে অন্তত বিস্ময়কর! তবে গতবার কোভিডের জন্য বিশেষ কিছুই করা যায়নি। আমি অবাক হচ্ছি, এ বার এত মানুষ বেরিয়ে আসায়।’’
বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার যোগ করেন, ‘‘সাত বছর এই ক্লাবে আছি। দলের প্রত্যেকে প্রতি মুহূর্তে পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে। ওদের ভালবাসি। এখানে আমার আরও তিন বছরের চুক্তি রয়েছে। এই তিন বছরে অন্য কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই নেই। ক্লাবকে আরও ট্রফি জেতাতে চাই।’’
দ্য ব্রুইনই এ বারের প্রিমিয়ার লিগে সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন। এই নিয়ে দু’বার তিনি সেরার পুরস্কার পেলেন। এ বার দ্য ব্রুইনের গোল ১৫। আটটি গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন। যার একটি করান অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে নির্ণায়ক ম্যাচে ইলখাই গুন্দোয়ানকে দিয়ে।
যে গোল নিয়ে জার্মান তারকার মন্তব্য, ‘‘সত্যি কথা বলতে গোলটা নিয়ে আমার সে অর্থে বিশেষ কোনও অনুভূতি নেই। তার কারণ আমাদের খেতাব জয়ের ওই গোলটা কেভিন আমাকে প্লেটে সাজিয়ে দিয়েছিল।’’
প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে সফল ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা বলেছেন, ‘‘সবাই জানে আমরা যেটা করেছি তা অবিশ্বাস্য। ইপিএল বিশ্বের কঠিনতম লিগ। আর আমি দায়িত্ব নেওয়া পরে ক্লাব চার বার চ্যাম্পিয়ন হল। এই সাফল্য আমার একার নয়। এখানকার প্রতিটি মানুষের মুখে আমি সফল হওয়ার আবেগ দেখতে পাচ্ছি। কৃতিত্ব সমর্থকদেরও।’’
লিয়োনেল মেসির প্রাক্তন গুরু যোগ করেন, ‘‘দলে আমার মতো কেউ নাচতে পারে না। সারা রাত আমি নেচে যাব। গুন্দোয়ানের জয়ের গোলের পরেই আমার উৎসব শুরু হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy