এসসি ইস্টবেঙ্গলে খেলার সময় ড্যানিয়েল চিমার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। ১০ ম্যাচে মাত্র দু’টি গোল করেছিলেন তিনি। মরসুমের মাঝপথে লাল-হলুদ ছেড়ে জামশেদপুর এফসিতে যোগ দেওয়ার পরেই স্বমহিমায় নাইজিরীয় স্ট্রাইকার। পাঁচ ম্যাচে চারটি গোল করে জবাব দিয়েছেন সমালোচনারও। চিমাকে কেন্দ্র করেই প্রথম বার আইএসএলের শেষ চারে খেলার স্বপ্ন দেখছে জামশেদপুর।
ইস্টবেঙ্গলে ব্যর্থ। জামশেদপুরের জার্সিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের রহস্য কী? গোয়া থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চিমা বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে যখন ছিলাম, তখন গোল করার জন্য যথেষ্ট পাসই পাইনি। জামশেদপুরে সেই সমস্যা হচ্ছে না। সতীর্থরা আমাকে প্রচুর পাস দিচ্ছে। তাই গোল করতে সফল হচ্ছি।’’ লাল-হলুদের সতীর্থরা কি ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনাকে পাস দিতেন না? সতর্ক চিমা বললেন, ‘‘পাস যে একেবারেই দেয়নি ইস্টবেঙ্গলের সতীর্থরা, তা কখনওই বলব না। আমি নিজেও অবশ্য বেশ কিছু গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করেছি।’’
১৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে আইএসএল টেবলে একাদশতম স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অষ্টম আইএসএলে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচই জিতেছেন আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচরা। চব্বিশ ঘণ্টা আগে মুম্বই সিটি এফসি-র কাছেও ০-১ গোলে হেরেছেন তাঁরা। এই বিপর্যয়ের কারণ কী? চিমার ব্যাখ্যা, ‘‘ফুটবলে এ রকম হতেই পারে। সকলেই পরিশ্রম করেছে। চেষ্টা করেছে নিজেদের উজাড় করে দিতে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা আমার পক্ষে ঠিক নয়।’’ জামশেদপুরে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন? ‘‘এখনও পর্যন্ত দুর্দান্ত। আশা করছি, এই ছন্দটা মরসুমের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে সফল হব।’’ চিমা মনে করেন, জামশেদপুরে তাঁর সাফল্যের আরও একটা কারণ কোচ হিসেবে আওয়েন কয়েলকে পাওয়া। ওয়ে গুন্নার সোলসারের প্রাক্তন ছাত্র বললেন, ‘‘কোচ নিজে যদি স্ট্রাইকার হন, তা হলে খেলতে অনেক সুবিধে হয়। সহজেই দলের স্ট্রাইকারের ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে তা শুধরে নেওয়ার উপায় বাতলে দেন। আওয়েন আমাকে নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে পরামর্শ দেন।’’ এখানেই শেষ নয়। সোলসারের উদাহরণ দিয়ে যোগ করেন, ‘‘অনুশীলনে ফাঁকে এবং তার পরেও সোলসার আমাকে বোঝাতেন, এক জন স্ট্রাইকারের মূল দায়িত্ব কী। বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের নজর এড়িয়ে গোল কী ভাবে করতে হয়। আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব সোলসারের কাছে। ওঁর মূল্যবান পরামর্শই আমাকে পরিণত হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল।’’