ফুটবল ম্যাচকে কুস্তির আখড়া বানিয়ে ফেললেন ইন্টার মায়ামি ও সিয়াটেল সাউন্ডার্সের ফুটবলারেরা। খেলা শেষে হাতাহাতিতে জড়ালেন তাঁরা। সেই হাতাহাতি অনেক ক্ষণ চলল। তার মাঝেই আবার বিতর্কে জড়ালেন লুই সুয়ারেস। ইন্টার মায়ামির হয়ে লিগস কাপের ফাইনালে হারের পর প্রতিপক্ষ কোচের মুখে খুতু ছেটালেন তিনি। ফিরে এল ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ইটালির বিরুদ্ধে ম্যাচে চিয়েলিনিকে তাঁর কামড়ের সেই স্মৃতি।
লিগস কাপের ফাইনালে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ এগিয়ে রেখেছিলেন মায়ামিকে। লিয়োনেস মেসি, সুয়ারেসের আক্রমণ সিয়াটেল সামলাতে পারবে না বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হল তার উল্টো। গোটা ম্যাচে মেসিকে খেলতেই দিলেন না সিয়াটেলের ফুটবলারেরা। সুয়ারেস চেষ্টা করলেও গোল করতে পারেননি। ০-৩ গোলে হারতে হয় মায়ামিকে।
খেলা শেষে উল্লাস করছিলেন সিয়াটেলের ২০ বছর বয়সি মিডফিল্ডার ওবেদ ভারগাস। তাঁকে গিয়ে ধাক্কা মারেন সুয়ারেস। তাঁর গলা চেপে ধরেন। তার পরেই শুরু হয় হাতাহাতি। দুই দলের ফুটবলারেরা একে অপরকে লক্ষ্য করে ঘুষিও চালান। মাঠের নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন:
বেশ কিছু ক্ষণ পরে দু’দলের ফুটবলারদের আলাদা করা হয়। তার পর সিয়াটেলের কোচের সামনে গিয়ে তাঁর মুখে থুতু ছেটান সুয়ারেস। পাশেই এক নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তিনি সুয়ারেসকে সরিয়ে নিয়ে যান। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সুয়ারেস যা করেছেন তার জন্য বড় শাস্তি হতে পারে তাঁর।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচে চিয়েলিনিকে কামড়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন সুয়ারেস। নির্বাসিতও হয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনা ফুটবলেপ্রেমীদের স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে। আরও এক বার নিজের কাজে বিতর্ক তৈরি করলেন সুয়ারেস। তাঁর বিরুদ্ধে সিয়াটেল কোনও অভিযোগ করেছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। তবে যে ভাবে সুয়ারেসের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে তাতে আয়োজকেরা চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই পারেন।