ইস্টবেঙ্গলের খেলায় ছন্দ দেখা গিয়েছে। —ফাইল চিত্র
মুম্বই সিটির মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে মাত্র একজন বিদেশি ফুটবলার নিয়ে খেলতে নেমেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অনেকেই মনে করেছিলেন উড়ে যাবে লাল-হলুদ। কিন্তু ম্যাচের প্রথম থেকেই রেনেডি সিংহের দল বুঝিয়ে দিয়েছিল, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী।’
দলের গঠন ধরে রাখার দিকে নজর দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বব হাউটনের শিষ্য রেনেডি। তিনি বলেন, “যে দিন থেকে দলের দায়িত্ব পাই, সে দিন থেকে দলের কাঠামো ঠিক রাখার দিকে বেশি জোর দিয়েছি। রক্ষণ ও আক্রমণ দুই ক্ষেত্রেই ‘শেপ’ বজায় রাখাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমাদের পাঁচজন উঠে গিয়েছিল। মাঝমাঠে কেউই ছিল না। পাঁচজন রক্ষণে ছিল। আমাদের এ রকম খেলার দরকার নেই। একটা কাঠামো মেনে দল সাজাতে হবে। আক্রমণেও উঠলে দল বেঁধে উঠতে হবে এবং রক্ষণও দল বেঁধে করতে হবে। গত ছ-সাত দিন ধরে আমরা এটাই করে আসছি। এটাই কাজে লাগছে।”
শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের খেলায় সেটাই দেখা গিয়েছে। দলটার মধ্যে একটা ছন্দ ছিল। রেনেডি বলেন, “যদি কঠোর পরিশ্রম করতে পারো, তা হলে একজন বিদেশি নিয়েও ভাল ফুটবল খেলা সম্ভব। এটা আমাদের সকলেরই বিশ্বাস করা উচিত। মুম্বই এই লিগের সেরা আক্রমণাত্মক দল। ওদের বিরুদ্ধে আমরা যে ভাবে ডিফেন্ড করেছি, তার জেরে একটাও সুযোগ পায়নি ওরা। গভীরে ঢুকে রক্ষণ সামলেছি। শেষে আমরা হয়তো একটা গোলও পেতাম।”
গোটা ম্যাচ জুড়ে মাঠের পাশে ছটফট করছিলেন রেনেডি। শেষ বাঁশি বাজার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। লাল-হলুদ অধিনায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “রেনেডি ভাই এসে সবার সঙ্গে কথা বলার পরে অনুশীলনেও যেমন সবাই খুবই পরিশ্রম করছে, ম্যাচেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। আমরা তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য লড়ছি। রেনেডি ভাই সবাইকে উজ্জীবিত করার কাজটা খুব ভাল ভাবে করেছে। সেটা মাঠেই দেখা গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy