Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Novak Djokovic

Novak Djokovic: জোকোভিচের কল্যাণে ‘বন্দিশালা’-র উন্নতির আশায় আবাসিকরা

গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয় জোকোভিচের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি দাবি করেন অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন।

জোকোভিচের মতো আন্তর্জাতিক তারকা এই হোটেলে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আবাসিকরা।

জোকোভিচের মতো আন্তর্জাতিক তারকা এই হোটেলে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আবাসিকরা। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২২ ১২:২১
Share: Save:

১০ ঘণ্টা মেলবোর্ন বিমানবন্দরে থাকার পর বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে কার্লটনের পার্ক হোটেলে রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার অনুমতি না পেলে ‘বন্দিশালা’ (ডিটেনশন ক্যাম্প) হিসাবে ব্যবহার করা হয় এই হোটেলকেই। অতীতে এই হোটেলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে। অতিমারির সময় এই হোটেল সংবাদমাধ্যমের সামনে আসে। সেই সময় এখানকার বন্দিদের বিপদে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। জোকোভিচের মতো আন্তর্জাতিক তারকা এই হোটেলে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আবাসিকরা।

গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয় জোকোভিচের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে। সেখানে সার্বিয়ার টেনিস তারকা দাবি করেন অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন তিনি। সেটা নিয়েই আসছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া আসার পর তাঁকে প্রমাণ দিতে বলা হয়। বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় জোকোভিচকে। আইনি লড়াইয়ে নামতে হয় তাঁকে। সোমবারের আগে সেই মামলার শুনানি হবে না। তাই পার্ক হোটেলে রাখা হয় টেনিস তারকাকে। সার্বিয়া সূত্রের খবর, সেই হোটেল ছেড়ে দলের সঙ্গে থাকার আবেদন করেছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু তা মেনে নেওয়া হয়নি।

ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পার্ক হোটেলে এই মুহূর্তে ৩৬ জন এমন ব্যক্তি রয়েছেন যাঁদের অস্ট্রেলিয়া ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ আট বছর ধরে এখানে রয়েছেন। জোকোভিচের টিকা না নেওয়া যেমন শিরোনামের কেন্দ্রে, তেমনই নজরে আসছে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে না পারা বন্দিদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়, সেই চিত্রটাও। মুস্তাফা সালাহ নামের এক আবাসিক বলেন, “আমি চমকে গিয়েছি। যে ধরনের খাবার এখানে দেওয়া হচ্ছে তা মানুষকে বিপদে ফেলতে পারে। কোনও পশু এই খাবার খেতে পারবে না।”

সপ্তাহ খানেক আগে এই হোটেলে আগুন লাগে। কিন্তু বন্দিদের হোটেল থেকে বার হতে দেওয়া হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার কিছু সংবাদমাধ্যম দেখায় কী ভাবে পুলিশ হোটেলের দরজা আটকে রেখেছিল। আগুন লাগার পর থেকে বন্দিরা জিম এবং কাপড় কাচার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

শুধু পার্ক হোটেল নয়, অস্ট্রেলিয়ার অনেক বন্দিশালা নিয়েই এমন অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালে মানাস দ্বীপের একটি বন্দিশালায় খাবারের মধ্যে মানুষের দাঁত পাওয়া গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিসবেনের কাঙারু পয়েন্ট হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সেখানকার মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের এক বছর ধরে হালাল খাবার দেওয়া হয়নি। সেখানকার আবাসিকরা অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন।

জোকোভিচের টিকা না নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসা অনুচিত হলেও তাঁর জন্য বন্দিশালার এই দশা পাল্টাতে পারে বলে মনে করছেন আবাসিকরা। ন’বছর ধরে সেখানে থাকা মেহদি বলেন, “আমি হতাশ। সবাই জিজ্ঞেস করছে জোকোভিচকে হোটেলে কী ভাবে রাখা হয়েছে। কেউ জানতে চাইছে না আমরা কী ভাবে আছি। আমি কখনও এত ক্যামেরা দেখিনি। আশা করব জোকোভিচ আমাদের অবস্থাটা জানবে এবং এটা নিয়ে মুখ খুলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE