শীঘ্রই ভারতের নতুন ফুটবল কোচ বেছে নেবে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)। মানোলো মার্কেজ় পদত্যাগ করার পর নতুন দায়িত্ব পেতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ১৭০ জন। তাদের মধ্যে থেকে আপাতত তিন জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই তিন জনের মধ্যে থেকেই সুনীল ছেত্রীদের পরবর্তী কোচের নাম ঘোষণা করা হবে।
যে তিন জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে এক জনই ভারতীয়। খালিদ জামিল। ভারতীয় দলের কোচিং না করালেও ভারতীয় ফুটবলে খালিদ পোড়খাওয়া কোচ। আইলিগ ও আইএসএলে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। দীর্ঘ দিন ভারতীয় দলের কোচিং করিয়েছেন তিনি। তাঁর আমলেই ভারত ফিফা ক্রমতালিকায় সবচেয়ে উপরে (৯৮) উঠেছিল। ভারতের পর পাকিস্তানের ফুটবল দলেরও কোচিং করিয়েছেন কনস্টানটাইন।
স্লোভাকিয়া ও কিরগিজস্তানের প্রাক্তন প্রধান কোচ স্টিফান তারকোভিচকেও রাখা হয়েছে তিন জনের তালিকায়। এর আগে ভারতীয় ফুটবলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা তাঁর নেই। কিন্তু বিশ্বফুটবলে তিনি পরিচিত কোচ। বড় দলকে কোচিং করিয়েছেন। ফলে তাঁকেও বেছে নিতে পারে ফেডারেশন।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন একটা বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এআইএফএফ-এর টেকনিক্যাল কমিটি ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারতের ফুটবল দলের জন্য তিন কোচকে বেছে নিয়েছে। এই মাসের শুরুতে যে ১৭০ জন আবেদন করেছিলেন, তাঁদের খতিয়ে দেখে তিন জনকে বাছা হয়েছে। তাঁরা হলেন খালিদ জামিল, স্টিফেন কনস্টানটাইন ও স্টিফান তারকোভিচ। এই তিন জনের নাম এগজ়িকিউটিভ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা ঠিক করবে ভারতের ফুটবল দলের পরবর্তী কোচ কে হবেন।”
আরও পড়ুন:
২০১৭ সালে আইজল এফসি-কে দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে আইলিগে তুলেছিলেন খালিদ। আইএসএলে নর্থইস্ট ইউনাইটেড ও জামশেদপুর এফসি-কে কোচিং করানোর দক্ষতা রয়েছে তাঁর। দুটো দলকেই আইএসএলের সেমিফাইনালে তুলেছেন তিনি। জামশেদপুরকে গত মরসুমে সুপার কাপের ফাইনালেও তুলেছিলেন খালিদ।
অন্য দিকে কনস্টানটাইন দু’বার ভারতের কোচিং করিয়েছেন। প্রথম বার ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় বার ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুনীলদের কোচ ছিলেন তিনি। তাঁর সময়ে ১৭৩ থেকে ৯৮-এ উঠেছিল ভারত। ২০১৯ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতাঅর্জন করেছিল ভারত। তারকোভিচ আবার কিরগিজস্তানকে ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপে তুলেছেন। এখন দেখার এই তিন জনের মধ্যে কাকে বেছে নেয় কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন কমিটি।