মোহনবাগান ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: এক্স।
কলকাতা ডার্বিতে ড্র হলেও পরের ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইএসএলে জয়ের রাস্তায় ফিরেছে মোহনবাগান। কিন্তু এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার উপায় নেই তাদের। সামনে এফসি গোয়ার মতো কঠিন ম্যাচ। সেটাও খেলতে হবে গোয়ার মাঠে গিয়েই। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা গোয়াকে হারাতে পারলে তাদের এক নম্বর হওয়া থেকে আটকানো তো যাবেই, পাশাপাশি মোহনবাগানের কাছেও সুযোগ রয়েছে তিন নম্বরে উঠে আসার। সেই কাজটাই করতে চাইছেন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস।
আইএসএলের লিগ-শিল্ড জিততে পারলে পরের বছর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-তে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে মোহনবাগান। সেই প্রতিযোগিতার প্লে-অফ খেলার সুযোগ আগেই পেয়ে গিয়েছে চিরশত্রু ইস্টবেঙ্গল। তাই এ দিন হাবাস স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, “আমার লক্ষ্য প্রতিটি ম্যাচে জেতা। তা হলেই আমরা প্রথম স্থানে খেলতে পারব। দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান নিয়ে আমার কোনও ভাবনা নেই। আমি খেলোয়াড়দের বলে দিয়েছি যে প্রথম স্থানই আমার লক্ষ্য। ফুটবলে এক-একটা দিন আলাদা হতেই পারে। কখনও ড্র করব, কখনও হারব। কিন্তু প্রতিটা ম্যাচেই আমরা খেলতে নামব তিন পয়েন্টের কথা ভেবে। তার জন্য সবাইকে সাহায্য করতে হবে। দলগত সংহতিই আসল। নির্দিষ্ট কৌশলও থাকতে হবে।”
মোহনবাগানের পক্ষে ভাল খবর হল, পরের ম্যাচে তিন ফুটবলার ফিরছেন। গোয়া ম্যাচে লিস্টন কোলাসো, দীপক টাংরি, আর্মান্দো সাদিকুরা প্রথম একাদশে ফিরছেন। আনোয়ার আলিও প্রায় ফিট। এ দিন আনোয়ারকে নিয়ে হাবাস বলেছেন, “আনোয়ার ৮০-৮৫ শতাংশ ফিট। ভাল জায়গায় রয়েছে। খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মঙ্গলবার ঠিক করব খেলাব কি না।”
হায়দরাবাদ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা সময় খেলেছিলেন হুগো বুমোসের জায়গায় দলে আসা জনি কাউকো। সোমবারের অনুশীলনে তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন হাবাস। কাউকোকে কি গোয়া ম্যাচে শুরু থেকে খেলাবেন? হাবাসের উত্তর, “আস্তে আস্তে ওকে বেশি সময় খেলাব। একবারেই পুরো ম্যাচ খেলানো যাবে না। প্রতি দিন যতটা সম্ভব বেশি করে খেলানোর চেষ্টা করব।”
মোহনবাগানে আগে খেলে যাওয়া কার্ল ম্যাকহিউ এখন গোয়া দলে। লিস্টন, কাউকোদের দৌড় থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। হাবাস নিজেও তাঁকে ভাল চেনেন। কিন্তু বুধবারের ম্যাচের আগে সে সব নিয়ে ভাবতে চান না তিনি। বলেছেন, “অনেক দিন আগে ম্যাকহিউকে আবার দলে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। ও পেশাদার ফুটবলার। এখন ওকে নিয়ে ভাবতে চাই না। পরিকল্পনা নিশ্চয়ই রয়েছে। তবে ম্যাচ জেতাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কার্লকে আমি ভালই চিনি। কিন্তু ফুটবলটা এগারোর বিরুদ্ধে এগারোর। এক জনের বিরুদ্ধে খেলা নয়।”
হায়দরাবাদ ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন তরুণ অভিষেক সূর্যবংশী। মোহনবাগানের জার্সিতে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে চান তিনি। এ দিন বলেছেন, “জুনিয়র থেকে সিনিয়র দলে ওঠার কাজটা সহজ নয়। এখন যে হেতু সিনিয়র দলে নিয়মিত খেলছি, তাই রোজই নতুন কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করি। আমার পজিশনে যারা খেলে তাদের থেকে শেখার চেষ্টা করছি। নিজেকে ওদের মতো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy