ইঙ্গিতটা আগেই ছিল। তা ফলপ্রসূ হতে দেখা গেল রবিবার। জানিয়ে দিল, তা চলবে আগামী দিনেও।
শনিবার যুবভারতীর দুই ট্রেনিং গ্রাউন্ডে প্রস্তুতি সারছিল দুই প্রধান- ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। প্রধানত দুই দলেই ছিলেন যুব ফুটবলাররা। ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের অনুশীলন শনিবার ছুটি ছিল। তবুও বেশ কয়েক জন সমর্থক ইতিউতি ঘোরাফেরা করছিলেন। তৈরি হচ্ছিলেন, সিনিয়র দলের ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে। ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন ছুটি থাকার কথা যখন বলা হল, বেশ মনঃক্ষুণ্ণ হয়েই বাড়ির রাস্তা ধরলেন।
চব্বিশ ঘণ্টা পরে তাঁদের দেখা যায়নি। হয়তো সমর্থকদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন। যখন বাস থেকে একে একে নামলেন মিগুয়েল ফিগুয়েরা, কেভিন সিবিল্লে, সাউল ক্রেসপোরা, প্রায় ১০০ জন সমর্থকের মতো তাঁরাও হয়তো জয়ধ্বনি দিয়ে উঠেছিলেন। যত সময় গড়াতে লাগল, তত এই সংখ্যা বাড়তে লাগল। শুধু তাই নয়, অনুশীলন সেরে ইস্টবেঙ্গলের বাস বেরনোর পথে সমর্থকরা বাজি ফাটালেন,রংমশাল জ্বালালেন।
আলোচনা: ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে অস্কার ও তাঁর সহকারীরা। ছবি: এক্স।
এই ছবিটাই বলে দিচ্ছে, দলকে নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি কোচ অস্কার ব্রুসো পর্যন্ত ম্যাচের শেষে জানিয়ে দিলেন, গত বারের দলের থেকে এই দল অনেকটা শক্তিশালী। তবে হয়তো ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেড এফসির হয়ে সব বিদেশি খেলবেন না।
ইস্টবেঙ্গলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল মিগুয়েল খেলবেন আট নম্বর জার্সিতে। শনিবার ভোর রাতে তিনি কলকাতায় পৌঁছেছিলেন। রবিবার ভোরে পা দেন সাউল। মিগুয়েলের হাতে আট নম্বর জার্সি তুলে দেন কোচ অস্কার। কারণ বসুন্ধরা কিংসে থাকার সময় অস্কারের অন্যতম প্রিয় ফুটবলার ছিলেন মিগুয়েল। তাই অস্কারের পরামর্শে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টও কলকাতায় নিয়েআসে মিগুয়েলকে।
আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার কেভিনের জার্সি নম্বর ছয়। তবে সাউল সহ বাকি দুই বিদেশি অনুশীলন করেননি। পরিচয় পর্ব সেরে মাঠের ধারে কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে চলে গেলেন হোটেলে। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি কাটাতেই ছুটি দেওয়া হয় তাঁদের। সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করবেন তাঁরা। পাশাপাশি চেষ্টা চলছে ভিসা সমস্যা মিটিয়ে মরক্কোর হামিদ আহদাদকে দ্রুত কলকাতায় নিয়ে আসার।
ছুটির মেজাজে কিন্তু একেবারেই নেই কোচ অস্কার ব্রুসো। গত বার তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন মরসুমের মাঝপথে। তার পরেও আইএসএলের প্লে-অফে ইস্টবেঙ্গলের ওঠার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা হয়নি। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসরাও সেরা ছন্দে ছিলেন না। প্রথম দিন এসেই কড়া হাতে দলের হাল ধরলেন। দুই দলে ভাগ করে যখন খেলা চলছে, তখন দিমিত্রিয়স, বিপিন সিংহ-দের দেখা গিয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। সবার চোখেই তখন নতুন কিছু করে দেখানোর তাগিদ।
ইতিমধ্যে আইএসএল অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় ডুরান্ড কাপকেই পাখির চোখ করেছে ইস্টবেঙ্গল। শারীরিক কসরতের পরে তাই শুরু হয়ে গেল বল পায়ে অনুশীলনও। সাউল এবং দিয়ামানতাকোস ছাড়া বাকি বিদেশিরা নতুন হওয়ায় তাঁদের কাজ দলের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া। সেই কাজই রবিবার থেকে শুরু করেদিলেন অস্কার।
এ দিকে রবিবার থেকে শুরু হয়ে গেল ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের অনলাইন টিকিট বুকিং। অফলাইনে টিকিট দেওয়া শুরু হবেসোমবার থেকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)