ছেলেদের ফুটবলে যখন শুধুই আঁধার, তখন স্বপ্নপূরণ করলেন ভারতের মেয়েরা। শনিবার তাইল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষে শেষ করে ২০২৬ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করলেন মণীষা কল্যাণরা। স্বপ্নপূরণের কাণ্ডারী বাংলার মেয়ে সঙ্গীতা বাসফোর।
এর আগে তাইল্যান্ডকে এক বারও হারাতে পারেনি ভারত। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পরে সঙ্গীতা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই জল ছিল খুশির, কারণ প্রথম বার যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে চ্যাম্পিয়নশিপ পর্বে পৌঁছল ভারত। এই ম্যাচের আগে দুই দলই যোগ্যতা অর্জন পর্বে তিনটি করে জয় পেয়েছিল, গোলের ব্যবধানও ছিল সমান। ভারত হারিয়েছিল মঙ্গোলিয়া (১৩-০), তিমোর লেস্টে (৪-০) এবং ইরাককে (৫-০)। তাইল্যান্ডের কাছে এই তিন দল বশ মেনেছিল যথাক্রমে ০-১১, ০-৪ এবং ০-৭ ফলে। ফলে দু’দলের কাছেই ছিল মরণ-বাঁচন ম্যাচ। ড্র হলে ম্যাচ যেত পেনাল্টিতে। কিন্তু সেই সুযোগই দিলেন না সঙ্গীতা।
ফিফা তালিকায় তাইল্যান্ডের র্যাঙ্কিং ৪৬। ভারতের ৭০। তার উপরে প্রতিপক্ষের সঙ্গী ছিল দর্শকদের সমর্থন। ফলে ভারতের কাছে অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ছিল।
প্রথম থেকেই দুই দল প্রতিপক্ষকে মেপে নিচ্ছিল। ২৮ মিনিটে দুরপাল্লার শটে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন সঙ্গীতা। অঞ্জু তামাংয়ের পাস ধরে শট নেন। যা নিয়ে ম্যাচের পরে বলেনছেন, “আমি গোলের উদ্দেশে শট মারিনি। শুধু বল তেকাঠির নিচে রাখতে চেয়েছিলাম।” তিন মিনিট পরে পেয়ারি জ়াজ়ার কাছে সুযোগ এলেও তাইল্যান্ডের গোলকিপারের সহায়তায় ব্যবধান বাড়েনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিজেদের ভুলে গোল করে তাইল্যান্ড। এর পরে জয় পেতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ শানায় তাইল্যান্ড। ৭৪ মিনিটে নির্মলা দেবীর নেওয়া কর্নার যায় সিল্কি দেবীর কাছে। তিনি স্কোয়ার পাস বাড়ান ফাঁকায় থাকা সঙ্গীতাকে। সেই বল জালে জড়াতে ভুল করেননি সঙ্গীতা।
ম্যাচের পরে সঙ্গীতা বলেছেন, “এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তবে শুধু এশিয়ান কাপ নয়, বিশ্বকাপেও যোগ্যতা অর্জন করা আমার লক্ষ্য।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)