এই বিশেষ ফুটবলেই খেলা হবে ইউরো কাপ। ছবি: এক্স।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দিয়েগো মারাদোনার ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোল। একই কাজ করেছিলেন লিয়োনেল মেসি। কিন্তু আগামী বছর ইউরো কাপ থেকে সে সব উঠেই যাবে। রেফারির চোখ এড়িয়ে পায়ের বদলে হাতের কাজ এ বার থেকে বন্ধ হতে চলেছে। হাত দিয়ে বল ছুঁলেই বুঝে যাবেন রেফারি। ইচ্ছা করে এই কাজ করলে শাস্তিও পেতে হতে পারে ফুটবলারকে।
ইউরোপীয়ো ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা উয়েফা জানিয়েছে, ইউরো কাপে যে বল ব্যবহার করা হবে তাতে একটি বিশেষ চিপ লাগানো থাকবে। সেই চিপ সব খবর দেবে। ফুটবলারের শরীরের কোন অংশে বল লাগছে, সেই বার্তা পৌঁছে যাবে ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভার)-এর ঘরে। ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি সেই খবর পাঠাবেন রেফারিকে।
ইউরো কাপে যে বলে খেলা হবে তার নাম ‘ফুসবলিয়েবে’। এই কথার বাংলা অর্থ ‘ফুটবলের প্রতি ভালবাসা’। বলের মধ্যে একটি ‘লিম্ব ট্র্যাকিং টেকনোলজি’ থাকবে। তার মাধ্যমে প্লেয়ারদের শরীরের ৩ডি ভিজ়ুয়াল ছবি ভেসে উঠবে স্ক্রিনে। সেখানে বোঝা যাবে, শরীরের কোন অংশ বল লেগেছে। যদি কোনও ফুটবলারের হাতে বল লাগে তা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারবেন ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি। তিনি সেই বার্তা পাঠিয়ে দেবেন রেফারিকে। সেটা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন রেফারি।
এ ছাড়া অফসাইডের ক্ষেত্রেও সুবিধা করে দেবে এই প্রযুক্তি। ঠিক কোন সময়ে বল শরীরের কোনও অংশে লেগেছে তা বোঝা যাবে। ফলে অফসাইডের ক্ষেত্রে কোন দলের ফুটবলার আগে বল ছুঁয়েছেন তা বুঝতে পারলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। গত বার বিশ্বকাপের সময়ও অফসাইডের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রযুক্তিতে খরচ অনেক বেশি। তাই লিগের খেলায় তা ব্যবহার করা যায়নি। কিন্তু এই প্রযুক্তি পরবর্তী কালেও ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে উয়েফা।
১৪ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে আগামী বছরের ইউরো কাপ। খেলবে ২৪টি দল। তার মধ্যে ২১টি দল ইতিমধ্যেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। বাকি তিনটি দল প্লে-অফের মাধ্যমে সুযোগ পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy