সামনেই এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। ১০ জুন হংকঙের বিরুদ্ধে নামবে ভারত। তার আগে তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রীতিম্যাচ খেলতে নেমেছিল তারা। সেই ম্যাচে হতাশ করলেন সুনীল ছেত্রীরা। তাইল্যান্ডের কাছে ০-২ ম্যাচে হারলেন তাঁরা। গোটা ম্যাচে গোল করার ভাল সুযোগই তৈরি করতে পারল না ভারত। খারাপ দেখাল দলের রক্ষণকেও।
অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে দল গড়েছিলেন ভারতের কোচ মানোলো মার্কেজ়। অভিষেক তেকচামের অভিষেক হয় এই ম্যাচে। পাশাপাশি সুনীল, সন্দেশ জিঙ্ঘনের মতো অভিজ্ঞরাও ছিলেন দলে। প্রথম একাদশের ১১ জনের মধ্যে ছ’জন ছিলেন মোহনবাগানের ফুটবলার। মাঠে নেমে তাঁরাও বিশেষ কিছু করতে পারলেন না।
খেলা শুরুর আট মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়ে ভারত। সন্দেশদের বোকা বানিয়ে বক্সে বেন ডেভিসকে বল দেন তাসা। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফুলহামের অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলা ডেভিস গোল লক্ষ্য করে শট মারেন। ঝাঁপিয়েও সেই শট বাঁচাতে পারেননি বিশাল কাইথ। পিছিয়ে পড়ার পরে আক্রমণে না উঠে খেলার গতি মন্থর করার চেষ্টা করে ভারত। তাদের দেখে বোঝা যাচ্ছিল, চাপে রয়েছে দল।
২৪ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ তৈরি করে ভারত। লিস্টন কোলাসোর ক্রসে হেড করেন সুনীল। কিন্তু গোলরক্ষককে সমস্যায় ফেলতে পারেননি তিনি। গোটা প্রথমার্ধ জুড়ে ডেভিস সমস্যায় ফেলেন সন্দেশ, আনোয়ারের রক্ষণকে। তাইল্যান্ডের ফুটবলারদের গতির সঙ্গেও পেরে উঠছিল না ভারত। বিরতির ঠিক আগে সুনীলের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢোকেন কোলাসো। কিন্তু গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তাইল্যান্ড বক্সে পড়ে যান সুনীল। পেনাল্টির আবেদন করেন তিনি। কিন্তু রেফারি তাতে কান দেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ১০ মিনিট ভারতকে ভাল দেখাচ্ছিল। কিন্তু বেশি আক্রমণ করতে গিয়ে রক্ষণ ফাঁকা পড়ে যায়। তা কাজে লাগিয়ে ৫৯ মিনিটে গোল করেন পোরামেত আরভিলাই। বারের নীচে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। দুটো গোলের ক্ষেত্রেই বিশালের কিছু করার ছিল না।
৮০ মিনিটের মাথায় আশিক কুরুনিয়ান-ছাংতে যুগলবন্দি একটা সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই সুযোগও নষ্ট হয়। ছাংতে গোল করতে পারেননি। সময় কমছিল। সেই সঙ্গে ভারতের আশাও। পরিবর্ত হিসাবে নামা ব্রেন্ডন ফের্নান্দেস, সুহেল ভাটরাও কিছু করতে পারেননি। ৮৬ মিনিটের মাথায় আনোয়ার না থাকলে আরও একটা গোল হজম করতে হত ভারতকে। শেষ পর্যন্ত ফিফা ক্রমতালিকায় নিজেদের থেকে ২৮ ধাপ এগিয়ে থাকা তাইল্যান্ডের (৯৯) কাছে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় ভারতকে (১২৭)। এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ারের আগে ভারতের এই খেলা চিন্তা আরও বাড়াবে কোচ মানোলোর।