চার লিগ জয়ী কোচই অবশ্য জোর দিয়ে ইস্টবেঙ্গল জিতবেই বলতে নারাজ।
পনেরো বছর পর আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের ইস্টবেঙ্গলের খেতাব জেতা অসম্ভব নয় বলছেন তাঁরা। তবে প্রাক্তন চার আই লিগ জয়ী কোচ তিনটি শর্ত দিচ্ছেন টোনি ডোভালদের জন্য— এক) জবি জাস্টিনদের পরের দুটি ম্যাচ (নেরোকা এফসি এবং রিয়াল কাশ্মীর) জিততেই হবে। দুই) লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা দলগুলির (রিয়াল কাশ্মীর এবং চার্চিল ব্রাদার্স) সঙ্গে পয়েন্ট নষ্ট করা চলবে না। তিন) সব ম্যাচে জিততেই হবে।
ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ জেতানো কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘তিন দিনের ব্যবধানে দুটো ম্যাচ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। বিশ্রাম পাবে না কেউই। রিকভারির সুযোগ কম। শুধু এই দুটি ম্যাচই নয়, চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে সব ম্যাচ জিততে হবে। যা বেশ কঠিন।’’
মোহনবাগানকে শেষ বার আই লিগ জেতানো কোচ সঞ্জয় সেন আবার বলছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল একটা ম্যাচ কম খেলেছে, এটা সুবিধার। কিন্তু পরের নেরোকা ম্যাচ তো জিততেই হবে। খেতাব কিন্তু আলেসান্দ্রোর দলের হাতে নেই। নিজেরা জিতলেও অন্যদের পয়েন্ট নষ্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।’’
'আইজ়ল এফসিকে আই লিগ জেতানো খালিদ জামিল আবার বলে দিলেন, ‘‘যা অবস্থা তাতে প্রথম পাঁচটা দলই খেতাব জেতার দাবিদার। দরজা সবার জন্য খোলা। খেতাবের জন্য ইস্টবেঙ্গলকে এখন টানা জিতে যেতে হবে।’’
আর দু’বার মোহনবাগানকে লিগ জেতানো কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘একেবারে গায়ে গায়ে লড়ছে চারটে দল। উত্তেজক পরিস্থিতি। সামনের নেরোকা ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৭ ফেব্রুয়ারি ওই ম্যাচ না জিতলে সব শেষ। এখন কিছুতেই পিছিয়ে যাওয়া চলবে না।’’
চার লিগ জয়ী কোচই অবশ্য জোর দিয়ে ইস্টবেঙ্গল জিতবেই বলতে নারাজ। মনোরঞ্জন বললেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে রিয়াল কাশ্মীর চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। ওরা বাইরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো খেলে নিয়েছে। সূচির সুবিধাটা পাবে কাশ্মীর।’’ আর সঞ্জয় সেনের বাজি চেন্নাই সিটি এফসি অথবা চার্চিল ব্রাদার্স। ‘‘ডার্বি জেতা মানেই লিগ পাওয়া নয়। আমি মোহনবাগানে কোচ থাকার সময় দুটো ডার্বি জিতেও কিন্তু লিগ জিততে পারিনি। ডার্বি ইস্টবেঙ্গল জিতেছে ঠিক, কিন্তু লিগ পাওয়া কঠিন। ডার্বির মেজাজ থাকে আলাদা। বাকি ম্যাচগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ আর মোহনবাগান কোচ খালিদের মত, ‘‘আমরা লড়াইতে নেই। তবে এটা বলছি, অনেক অঘটন ঘটবে। যে দল সব ম্যাচ জিতবে, তারাই হয়তো চ্যাম্পিয়ন হবে।’’ আর সুব্রতর মন্তব্য, ‘‘আমার তো মনে হচ্ছে চেন্নাই বা কাশ্মীর চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। কারণ ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে সব ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। ওরা যা খেলছে তাতে যে কোনও সময় আটকে যাবে। কাশ্মীরের ঠান্ডায় ইস্টবেঙ্গল জিতবে? তার উপর নেরোকা যেভাবে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। দেখুন না কী দাঁড়ায়।’’
মনোরঞ্জন মনে করেন লিগ যেই জিতুক, শেষ করবে ৪৫ অথবা ৪৭ পয়েন্টে। ১১ দলের লিগ হয়ে যাওয়ায় প্রায় একই রকম অভিমত সঞ্জয় সেনের। আর সুব্রতর মন্তব্য, ‘‘দু’রাউন্ড আগেই বোঝা সম্ভব কে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। তবে যা পরিস্থিতি ইস্টবেঙ্গল রানার্স হওয়া কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy