ফাইল চিত্র।
কিলিয়ান এমবাপের দেশ ফ্রান্স এই মুহূর্তে নেশনস লিগ সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ২০১৮-র রাশিয়া বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দিদিয়ে দেশঁর দলের কাছেই ০-১ হেরে যান এডেন অ্যাজ়াররা। তার পরে তুরিনে বৃহস্পতিবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দেশ।
ফ্রান্সের কোচ দেশঁ বলেছেন, ‘‘লড়াইটা একই সঙ্গে মানসিক, শারীরিক ও কৌশলগত। তবে আমরা দু’দেশই পরস্পরকে শ্রদ্ধা করি। ওদের রবের্তো মার্তিনেস খুবই ভাল কোচ। বেলজিয়ামের ফুটবলারেরাও অসাধারণ। এমনিতে আমাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানসিকতা থাকলেও কখনওই সেটা অসুস্থতার পর্যায়ে চলে যায় না। একই কথা বলতে হয় স্পেন বা ইটালি প্রসঙ্গেও।’’ দেশঁ যোগ করেছেন, ‘‘২০১৮-তে বেলজিয়ামেরও বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার প্রচুর সম্ভাবনা ছিল। সবসময়ই আমি এই কথাটা স্বীকার করি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ওরা পারেনি। মনে হয় না, তার পরে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কারও কিছু বলার থাকতে পারে।’’
এ দিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার ফ্রান্স পাবে না তাদের মিডফিল্ডার এনগোলো কঁতেকে। যা দেশঁর দলের কাছে অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা। একইসঙ্গে ফুটবল বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বেলজিয়াম বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নিতেই এ বার ঝাঁপাবে।
দেশঁ-ও নিজেও কিন্তু বলছেন, ‘‘ভাল করেই জানি, বেলজিয়াম ফিফা ক্রমতালিকার এক নম্বর দল। ওদের অনেকেই তরুণ। কিন্তু বহু দিন একসঙ্গে খেলে ওরা নিজেদের মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়া তৈরি করেছে। অভিজ্ঞতাতেও কম যায় না ওদের দলটা। কে না জানে, বেলজিয়ামের অনেকেই ১০০-র বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তাই ওদের বিরুদ্ধে জিততে হলে আমার ছেলেদের সেরা ফুটবলটাই খেলতে হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই।’’
প্রসঙ্গত বেলজিয়াম ১৯৮১-র বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের একটা ম্যাচের পরে কখনও ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি। তুরিনে কী হয়, এখন সেটাই দেখার। এই ম্যাচের জয়ী দল নেশনস কাপ ফাইনালে খেলবে অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইটালি-স্পেন লড়াইয়ে বিজয়ী দলের সঙ্গে। যে ম্যাচ বুধবার হবে মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy