আলোচনা: ফুটবলার বাছতে এসে মোহনবাগান মাঠে কেরল কোচের (ডান দিকে) সঙ্গে কথা বলছেন গোকুলমের দুই কোচ। নিজস্ব চিত্র
সন্তোষ ট্রফি এখন আই লিগ ক্লাবগুলির ফুটবলার বাছাইয়ের মঞ্চ।
তারকা ফুটবলাররা বেশি টাকা পেয়ে চলে যাচ্ছেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। তাদের সঙ্গে আর্থিক ক্ষমতায় টক্কর দিতে পারছেন না আই লিগের ক্লাবগুলো। কম টাকায় ভাল ফুটবলারের খোঁজে তাই সন্তোষ ট্রফির ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে ভিড় জমাচ্ছেন আই লিগের বিভিন্ন টিমের স্পটাররা।
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, আইজল এফ সি, শিলং লাজং-এর স্পটারদের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা গেল এক ব্রাজিলিয়ান ও স্প্যানিশ কোচকেও। দু’জনেই সামনের মরসুমের জন্য কেরলের আই লিগের ক্লাব গোকুলম এফ সি-তে যোগ দিয়েছেন। ব্রাজিলিয়ান লুইস গ্রেকো এক বছর দুর্গাপুরের মোহনবাগান অ্যাকাডেমির কোচ ছিলেন। তাঁর সময় শৌভিক চক্রবর্তী, তীর্থঙ্কর সরকার, লালরিন্দিকা রালতে, রাম মালিকরা উঠে এসেছিলেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে সবুজ-মেরুন কর্তারা তাঁকে ছেড়ে দেন। গ্রেকো দাবি করলেন, এ বারের রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে যে ফুটবলাররা খেলছেন তাঁদের মধ্যে চার জন তাঁর প্রশিক্ষণে খেলেছেন ছোটবেলায়। দক্ষিণের ক্লাব গোকুলম গ্রেকো-কে পরামর্শদাতা এবং স্পটার করে এনেছে। তিনি সঙ্গে পেয়েছেন স্প্যানিশ কোচ ফার্নান্দো সান্তিয়াগো-কে। গ্রেকো এবং ফার্নান্দো দু’জনেই বলছিলেন, ‘‘গোকুলম যে-হেতু কেরলের টিম তাই নিজেদের ভূমিপুত্রদের নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। সে জন্যই কেরলের উপর বেশি নজর রাখছি। অন্য টিমের ফুটবলারদের পছন্দ হলেও নেব। জনা পাঁচেক ফুটবলার বেছেছি।’’
কাদের পছন্দ হয়েছে তা অবশ্য খোলসা করতে চাইছেন না কোনও দলের স্পটাররা। তবে সূত্রের খবর, বাংলার হয়ে এ দিন সেন্ট্রাল মিডিও হিসাবে খেলা অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়কে নিতে চলেছে আই এস এলের ক্লাব এটিকে। চুক্তি প্রায় পাকা।
অঙ্কিতের বাংলা অবশ্য এ দিন হেরে গেল কেরলের কাছে। খেলার শেষ মিনিটে কেরলের হয়ে গোলটি করে রাহুল কে পি। সুইডেনে অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলে ছিলেন এই রাহুল। হেরে গিয়েও অবশ্য বাংলা গ্রুপ লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ চারে উঠল। কেরল হল প্রথম। সেমিফাইনালে বাংলার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে মিজোরাম বা কর্নাটক। আজ বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে পাহাড় এবং দক্ষিণের এই দুই রাজ্য। যে জিতবে তার সঙ্গে খেলবে বাংলা।
আগেই সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এ দিন টিমের অর্ধেক ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন বাংলার কোচ। তা সত্ত্বেও বাংলা জিততে পারত। ম্যাচের উপর তাদের প্রাধান্য ছিল। বিদ্যাসাগর সিংহ এবং সুজয় দত্ত দুটো সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। বিদ্যাসাগরের একটি শট রুখে দেন কেরল গোলকিপার হাজমল এস। বাংলার কোচ রঞ্জন চৌধুরী বললেন, ‘‘সেমিফাইনালে অন্য ম্যাচ হবে। মোহনবাগান মাঠ খারাপ বলে পাঁচ জনকে নামাইনি। তা সত্ত্বেও দু’জন ফুটবলার চোট পেয়ে টুর্নামেন্টের বাইরে চলে গেল।’’ এ দিন অন্য ম্যাচে মহারাস্ট্র ৭-২ হারাল মণিপুরকে। দুটি দলই বিদায় নিয়েছে আগেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy