কোহালিকে সতীর্থদের কেক মাখানোর পালা। ছবি: টুইটার
কেক-মাখা মুখটা চেনার উপায়ই নেই। উনি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি বললে হয়তো অনেকে বিশ্বাসও করবেন না। কিন্তু ছবিতে কেক মেখে ভূত হওয়া ছবিটা বিরাটেরই। বার্থ ডে বয় বিরাটের আসল চেহারা এটাই। দলের সতীর্থরা যদি প্রত্যেকেই এক এক করে এসে ক্যাপ্টেনকে কেক মাখিয়ে ভূত করে দিয়ে যান, তা হলে তো এ রকমই চেহারা হবে।
হবে নাই বা কেন? দলের কারও জন্মদিনের কেক কাটা হলে তাঁকে কেক মাখানো শুরু করেন যে বিরাটই। দলের সবচেয়ে সিনিয়র এমএস ধোনিকেও ছাড়েননি বিরাট। মাহিকেও যত্নে কেক মাখিয়েছেন ক্যাপ্টেন কোহালি। তাই ক্যাপ্টেনের জন্মদিনে তাঁকে কেক মাখানোর সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে? হার্দিক পাণ্ড্য যে শুধু তাঁকে কেকে ভরিয়ে দিয়েছেন বিরাটকে, তাই নয়, সেই বিরাটের সঙ্গে ছবি তুলে টুইট করে লিখেছেন, ‘‘এটা প্রতিশোধ নম্বর ১’’। দু’নম্বরটা কী, সে তো পরের কথা। তবে বোঝাই যাচ্ছে, এটা তাঁর জন্মদিনে হার্দিককে কেক মাখানোর প্রতিশোধ।
শনিবার রাতে রাজকোটে নিউজিল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টি হারলেও ম্যাচের পরে বিরাটের এই জন্মদিন পালনের উৎসব সেই দুঃখ অনেকটাই ভুলিয়ে দিল দলের ক্রিকেটারদের। রবিবার ছিল তাঁর জন্মদিন। তবে শনিবার রাত বারোটাতেই তার উৎসব শুরু করে দেন সতীর্থরা। আর রবিবার ২৯ পূর্ণ করা বিরাটকে সারা দিন ধরে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে ক্রিকেট কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর, বিষাণ সিংহ বেদী, প্রাক্তন তারকা ভিভিএস লক্ষ্মণ, রবি শাস্ত্রী, হরভজন সিংহ ও তাঁর দলের সতীর্থরা সবাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান বিরাট কোহালিকে।
বিরাটও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সবাইকে। কেকে মাখা সেই মুখের ছবি-সহ পোস্ট করেন, ‘‘প্রত্যেককে ভালবাসা ও শুভেচ্ছা পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ। ঈশ্বর সবার ভাল করুন।’’ জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারো শুভেচ্ছা বার্তা উড়লেও তাঁর ভালবাসার মানুষটিকে অবশ্য এ ভাবে কোনও ‘হ্যাপি বার্থডে’ মেসেজ পাঠাননি অনুষ্কা শর্মা। সব চেয়ে কাছের মানুষকে কেনই বা সর্বসমক্ষে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠাবেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy