বিগ ব্যাশ লিগে বুধবারই দুটো হ্যাটট্রিক! প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেন অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের রশিদ খান। দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটি পাকিস্তানের পেসার হ্যারিস রউফের। যিনি খেলেন মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিনার এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে অনেক স্মরণীয় বোলিং স্পেল আছে তাঁর। এ বার বিগ ব্যাশেও ভেল্কি দেখানো শুরু করলেন তিনি। সিডনি সিক্সার্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন রশিদ। এই লেগস্পিনারের তিন শিকার হলেন জেমস ভিনস (২৭), জর্ডান সিল্ক (১৬) এবং জ্যাক এডওয়ার্ডস (০)। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন রশিদ। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। দু’উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সিডনি সিক্সার্স। এই নিয়ে নিজের ক্রিকেট জীবনের তৃতীয় হ্যাটট্রিক পেলেন রশিদ। বিবিএলের ইতিহাসে পাঁচ নম্বর।
এর কিছু পরেই বিবিএলের ছয় নম্বর হ্যাটট্রিক দেখেন দর্শকরা। পাক পেসারের বোলিংয়ে। সিডনি থান্ডারের ম্যাথু গিলকেস (৪২), ক্যালাম ফার্গুসন এবং ড্যানিয়েল স্যামসকে ফিরিয়ে দেন রউফ। পরপর দুটো মন্থর বলে দু’উইকেট তোলার পরে তিন নম্বর বলটা ছিল দুরন্ত গতির ইনসুইং। স্যামসের প্যাডে বল লাগার পরে আম্পায়ার কোনও দ্বিধা করেননি আঙুল তুলতে। এই মরসুমে চারটি বিবিএল ম্যাচে ১৩টি উইকেটে পেয়েছেন রউফ। যার মধ্যে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়ার ঘটনাও আছে। তিনটি ম্যাচে ওভারপিছু ছয়েরও কম রান দিয়েছেন এই পাক পেসার। জানা গিয়েছে, ২৬ বছর বয়সি ডান-হাতি ফাস্ট বোলারের উপরে নজর আছে পাক নির্বাচকদের। এই বছরে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রউফকে খেলতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
হ্যাটট্রিক করার আগেই অবশ্য শিরোনামে চলে এসেছিলেন রউফ। সম্পূর্ণ অন্য কারণে। বিবিএলে উইকেট নেওয়ার পরে তাঁর উৎসব করার ধরন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। উইকেট নেওয়ার পরেই গলা কাটার ভঙ্গি করতেন এই পেসার। যা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন রাগবি খেলোয়াড় ড্যারিল ব্রহম্যান বলেছেন, ‘‘রউফ যথেষ্ট ভাল বোলার। কিন্তু যে ভঙ্গিতে উৎসব করছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’’