পর্যটন যদি আপনার প্রিয় হয়, শহর বেঙ্গালুরুতে আপনি স্বাগত। রাহুল দ্রাবিড়ের শহর থেকে কুর্গ, মাইসোর বিভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়া যে অনায়াস, তা শুধু নয়। বাগানের শহরের সৌন্দর্যও আপনাকে প্রতি মিনিটে মুগ্ধ করবে। কেম্পেগৌড়া এয়ারপোর্ট থেকে যে সুবিস্তৃত ফ্লাইওভার শহরের হৃদয়ে আপনাকে পৌঁছে দেবে, তার আশপাশের সবুজের আধিক্য চোখে জ্বালা ধরিয়ে দিতে পারে। যদি ঢুকে পড়েন ব্রিগেড রোড চত্বরে, শহরের রূপ অনুভূত হবে অজান্তে। রাস্তার ধারে অনিন্দ্যসুন্দর গির্জা। গাছগাছালিতে ঢাকা কাব্বন পার্ক। ছিমছাম, কিন্তু মুগ্ধতার মাধ্যাকর্ষণ বাড়িয়ে দেওয়া সব বাড়ি। আবার বেঙ্গালুরুর যৌবন উপভোগ করতে চাইলে, তা-ও আছে। রেস্তোঁরা, বড়-মেজ-ছোট পাব রাস্তার ধারে আলগোছে পড়ে। সব মিলিয়ে অদ্ভুত একটা মাদকতা যেন। যা সম্মোহিনী, কিন্তু উগ্র নয়।
আইপিএল-পর্যটন যদি আপনার প্রিয় হয়, শহর বেঙ্গালুরুতে আপনি স্বাগত। সোমবার রাতে যে এখানে ম্যাচটা হবে, ক্রিকেটপ্রেমিকের কাছে তার আকর্ষণও যে বড় কম নয়। সোমবার রাতে এখানে আরসিবি বনাম কেকেআর। সহজে, বিরাট কোহালি বনাম গৌতম গম্ভীর। কিন্তু এতটাও সহজ নয় এবং স্রেফ দুই দিল্লিওয়ালার মুষলযুদ্ধের ট্যাগলাইন দিয়ে ব্যাপারটাকে মিটিয়ে ফেলাও যাবে না। আইপিএল ইতিহাস মাঝপথে আটকে দেবে।
রবিবার সন্ধেয় চিন্নাস্বামীতে গিয়ে শোনা গেল, আইপিএলে আরসিবির অবস্থা ভাল না হলেও টিকিটের চাহিদা নাকি বেশ ভাল। লাল-হলুদ গ্যালারির চিন্নাস্বামী খুব একটা ফাঁকা পড়ে থাকার সম্ভাবনা নেই। লোক নাকি হবে। আসলে আইপিএলের এই ম্যাচটার বিনোদন মশলা শুধু বাইশ গজ থেকে পাওয়া যায় না। তার আশপাশ থেকেও আসে। গম্ভীর বনাম কোহালির তীব্র ঝামেলা কয়েক বছর আগে এ মাঠেই তো লেগেছিল। যার নিদারুণ স্মৃতিতে এখনও ধুলো পড়েনি।