স্পোর্টিং ক্লুবের স্রেফ ম্যানেজার পদে থেকেও বিদেশি ক্লিফোর্ড চুকুয়ামার ম্যাচের সময় দলের ফুটবলারদের যাবতীয় নির্দেশ দেওয়ার ‘বেআইনি’ কাজ চলছিলই। শনিবার আই লিগে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বারাসতের মাঠে আরও অন্যায় কাজ করেছেন তিনি।
স্পোর্টিং ক্লুবের ম্যানেজারও না হয়ে, নিছক এক সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে দিব্যি দলের কোচের কাজ করে গিয়েছেন চুকুয়ামা! মাঠে এবং টিভিতেও সবাই গোটা ঘটনা দেখলেও ফেডারেশন কর্তারা নাকি দেখেননি। সে রকমই দাবি তাঁদের। দিল্লি থেকে ফোনে আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বললেন, ‘‘গত বার তো অভিযোগ পাওয়ার পরে ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এ বার কেউ এখনও অভিযোগ করেনি! কোনও রেফারিও রিপোর্ট দেননি।’’ কিন্তু টিভিতে তো ফেডারেশন কর্তারা দেখতে পাচ্ছেন? সুনন্দ এ বার বললেন, ‘‘টিভিতে রিজার্ভ বেঞ্চের ঘটনা বেশি দেখায় না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ যদিও নিয়ম হল, রেফারির রিপোর্টে না থাকলেও ফেডারেশন ইচ্ছে করলে টিভি ফুটেজ দেখে সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।
আই লিগ নিয়ম ইচ্ছেমতো ভাঙে এবং তৈরি করে ফেডারেশন। তাদের তোয়াক্কা না করে দিব্যি ওডাফাদের কোচিং করাচ্ছেন চুকুয়ামা। স্বদেশি সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য বা সুখবিন্দর সিংহরা তাঁদের ক্লাবকে ভারতের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। তা সত্ত্বেও ‘এ’ লাইসেন্স নেই বলে তাঁরা রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে পারেন না। আর ‘এ’ লাইসেন্স না থেকেও বিদেশি চুকুয়ামা দলের কোচকে চেয়ারে বসিয়ে ফুটবলারদের নির্দেশ দিচ্ছেন। রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কিও করছেন।
এতে অবাক নন সুভাষ বা সুব্রত। সুভাষ বললেন, ‘‘বহু প্রতিবাদ করেছি। এই বয়সে আর চেঁচাতে ভাল লাগে না। যা হচ্ছে তা মেনে নিতেই হবে।’’ আর সুব্রতর মন্তব্য, ‘‘বি-লাইসেন্স করতে কয়েক দিনের মধ্যেই ভুবনেশ্বর যাচ্ছি। অনেক বলেছি, কড়া কিছু বললে পাশ করলেও লাইসেন্স হয়তো পাব না। তবে আমাদের মতো প্রাক্তন ফুটবলার বা সফল কোচেদের সঙ্গে যা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy