চর্চায়: আইসিসির টুইট করা এই সেই ছবি। রাজার বেশে সিংহাসনে কোহালি। যা নিয়ে হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হওয়ার দিনে ‘কিং কোহালি’কে অনন্য উপায়ে সম্মান জানাল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা (আইসিসি)। যা নিয়ে আবার শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বুধবার আইসিসি-র তরফে কোহালির একটি ছবি টুইট করা হয়। গ্রেট ব্রিটেনের এক শিল্পীর আঁকা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাজার বেশে মুকুট পরে সিংহাসনে বসে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এক হাতে ব্যাট, অন্য হাতে বল। কোহালির পিছনে একটি বোর্ড টাঙানো। তাতে লেখা, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী। ভারত ১৯৮৩, ২০১১।’ এর পরে কিছুটা জায়গা ফাঁকা। যেখানে আরও একটি সাল লেখার জায়গা রয়েছে।
কোহালির এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে থাকেন, বিশ্বকাপ শুরু হতে না হতেই কী ভাবে কোহালিকে সিংহাসনে বসিয়ে দিল স্বয়ং আইসিসি? ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন ব্যঙ্গ করে টুইট করেছেন, ‘‘নিরপেক্ষতার চরম নিদর্শন!!!’’ এই নিয়ে তিনি আবার কোহালি-সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। রাতে ভনের টুইটের জবাবে আইসিসি তিনটি তথ্য দিয়ে পাল্টা টুইট করে। যেখানে দেখানো হয়েছে, কোহালি ওয়ান ডে এবং টেস্টের এক নম্বর ব্যাটসম্যান ও আইসিসি-র তিনটি পুরস্কারজয়ী। এটা পরিষ্কার, আইসিসি বলতে চেয়েছে, এর পরে কোহালি সিংহাসনে বসবেন না তো কে বসবেন?
কোহালি ভক্তরা এই টুইটে খুশি হলেও অনেকে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। যেমন, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা এবং বিশ্বকাপের আয়োজক সংস্থা হিসেবে কী করে কোহালির মাথায় মুকুট পরিয়ে দিতে পারে আইসিসি? অভিযোগ, আইসিসি তো পরিষ্কার ইঙ্গিত করছে, বিশ্বকাপটা তারা কার হাতে দেখতে চায়। পাশাপাশি এও বলা হচ্ছে, দশটি দল যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, সেখানে একটি দলের অধিনায়ককে কেন এত প্রাধান্য দেওয়া হল?
এক ক্রিকেট ভক্ত যেমন টুইট করেছেন, ‘‘আইসিসি এমন করছে, যেন ওরা ভারতীয় ক্রিকেটের ভক্ত।’’ অন্য আর এক জনের টুইট, ‘‘আইসিসি-কে যেন কিনে নিয়েছে বিসিসিআই।’’ আইসিসিকে পরামর্শও দিয়েছেন কেউ, কেউ। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আরও পরিণত বোধের পরিচয় দাও আইসিসি। ভারত ছাড়া আরও ন’টি দেশ এই বিশ্বকাপে খেলছে।’’ সব মিলিয়ে মাঠের ভিতরের মতো মাঠের বাইরেও চর্চায় কোহালি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy