আসন্ন ডার্বি ম্যাচ ১২ ফেব্রুয়ারি। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হতে চলা ওই ম্যাচে মোহনবাগান গ্যালারির সব টিকিটই কলকাতায় পাঠানোর সিদ্ধান্তে নিয়েছে মোহনবাগান দল। এর ফলে বিষাদের ছায়া উত্তরবঙ্গের মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে। সমস্ত টিকিট কলকাতায় পাঠানো হলে প্রিয় দলের খেলা দেখতে গ্যালারিতে বসার সুযোগ হারাবেন তাঁরা। এই সিদ্ধান্তে মোহনবাগান ক্লাব সমর্থক এবং ফ্যানস ক্লাবের অনেকেই চিন্তায় পড়েছেন।
শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের তরফে জানানো হয়, ১২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গল দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টেডিয়ামের ২৭ হাজার টিকিটের মধ্যে ১৪ হাজার টিকিট শিলিগুড়ি থেকে বিক্রি হবে। বাকিটা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হাতে থাকবে এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ কলকাতা থেকেই সিংহভাগ টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করবেন। ৪ হাজার টিকিট প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে দিচ্ছে তারা। কিন্তু মাত্র চার হাজার টিকিট দেওয়া হলে কলকাতার সবুজ-মেরুণ সমর্থকদের অধিকাংশই খেলা দেখতে আসতে চাইলেও টিকিট পাবেন না বলে আশঙ্কা। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের ১ এবং ১৪ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে যে গ্যালারি সেটাই মোহনবাগান সমর্থকদের, সেখানে বসার জন্যই ওই ৪ হাজার টিকিট শিলিগুড়ি থেকে পাঠানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে একাধিক মোহনবাগান সমর্থক কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে খেলা হলেই নিয়মিত দেখতে আসেন। কিন্তু এবারে সেই আশা ডুবতে চলেছে।
মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষ বলেন, ‘‘মোহনবাগান গ্যালারির জন্য যে চার হাজার টিকিট ইস্টবেঙ্গল দল দিচ্ছে তা কলকাতায় সবুজ-মেরুণ সমর্থকদের জন্যই পাঠানো হবে বলে জানতে পেরেছি।’’ শিলিগুড়িতে মোহনবাগান ক্লাবের প্রতিনিধি তথা মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরূপ মজুমদারের হাতে ওই টিকিট তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। অরূপবাবুও জানান, মোহনবাগান কর্তারাই কলকাতার সদস্য সমর্থকদের জন্য এই ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল থেকে থেকে পাওয়া চার হাজার টিকিট চেয়ে পাঠিয়েছেন।
ইস্টবেঙ্গল দলের কর্মকর্তাদের অন্যতম অরুণাভ ভট্টাচার্য জানান, মোহনবাগান ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের কথা হয়েছে। আলোচনা অনুযায়ী যে সংখ্যক টিকিট মোহনবাগান কর্তারা চেয়েছিলেন তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। শিলিগুড়ির বাসিন্দা মোহনবাগান ক্লাবের এক সমর্থক সৌরভ দাস জানান, ‘‘বিভিন্ন জেলা থেকে সমর্থকেরা মোহনবাগান গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে চান।’’ সেই ভাবে টিকিটের ব্যবস্থা হলে ভাল হতো বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy