Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চাপে ফেলেও একপেশে হার মাশরফিদের

সামুদ্রিক পাখির ঝাঁক কত দিন পর আবার খেলা চলাকালীন মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে নির্ভার ঘুরে বেড়াচ্ছে? কেউ বলতে পারলেন না। খেলা শুরুর আগে এমসিজির বাইরে বলিউডি নাচগানার মুখোমুখি বাংলা গানের ডালি নিয়ে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা। আর কবে দেখা গিয়েছে? কারও মনে পড়ছে না।

মেলবোর্নের রাজা রোহিত। বৃহস্পতিবারের সেঞ্চুরিতে ছুঁলেন সৌরভকে। এতদিন বেহালার বাঙালিই ছিলেন বিশ্বকাপ নক-আউটে শতরানকারী একমাত্র ভারতীয়— ২০০৩ সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি ছিল কেনিয়ার বিরুদ্ধে। এ দিন প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে একশো ওয়ান ডে জিতলেন ধোনি। সামনে শুধু পন্টিং ও বর্ডার। ছবি: এএফপি।

মেলবোর্নের রাজা রোহিত। বৃহস্পতিবারের সেঞ্চুরিতে ছুঁলেন সৌরভকে। এতদিন বেহালার বাঙালিই ছিলেন বিশ্বকাপ নক-আউটে শতরানকারী একমাত্র ভারতীয়— ২০০৩ সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি ছিল কেনিয়ার বিরুদ্ধে। এ দিন প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে একশো ওয়ান ডে জিতলেন ধোনি। সামনে শুধু পন্টিং ও বর্ডার। ছবি: এএফপি।

গৌতম ভট্টাচার্য
মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৫ ০৪:০৯
Share: Save:

সামুদ্রিক পাখির ঝাঁক কত দিন পর আবার খেলা চলাকালীন মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে নির্ভার ঘুরে বেড়াচ্ছে? কেউ বলতে পারলেন না।

খেলা শুরুর আগে এমসিজির বাইরে বলিউডি নাচগানার মুখোমুখি বাংলা গানের ডালি নিয়ে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা। আর কবে দেখা গিয়েছে? কারও মনে পড়ছে না।

একটা বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ প্রথম তিরিশ ওভার পরেই এমন একপেশে হয়ে গেল যে, শেষ দিকটা বল বাই বল কমেন্ট্রিতে পর্যন্ত সেমিফাইনাল-ফাইনালের আলোচনা। শেষ কবে হয়েছে? কারও মনে পড়ছে না।

প্রথম প্রশ্নের উত্তর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠে যাওয়া ভারত এ বার সামনে অস্ট্রেলিয়া পড়লে (যা নির্ধারিত হবে কাল অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে) হারাতে পারবে কি না বলার চেয়ে সামান্য কম কঠিন। তবে একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। যে কোনও কারণেই হোক, টিভি প্রযোজকেরা আর পাঁচটা দিনের মতো আজ মাঠে স্পাইডারক্যাম রাখতে পারেননি। সূক্ষ্ম তারে ঝুলে গোটা মাঠ চক্কর দেয় এই দূরনিয়ন্ত্রিত টিভি ক্যামেরা। আজ সেটা ছিল না বলেই হয়তো অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট মাঠের দৃশ্যায়নে চিরকালীন সম্পদ সামুদ্রিক পাখিগুলো ফেরত এসেছে। দ্বিতীয় প্রশ্ন— বলিউডি নাচ বনাম বাংলা গানের লড়াই আগে কখনও হয়নি। হবেই বা কী করে। এ দেশে তো আগে কখনও ভারত-বাংলাদেশ ওয়ান ডে ঘটেনি।

কিন্তু তিন নম্বর প্রশ্নটার উত্তর মাঝরাত অবধি পাচ্ছি না। এমন একপেশে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ কবে হয়েছে? তা-ও আবার যেখানে ১০৯ রানে বিজিত দলটাই কি না ম্যাচ ধরে নিয়েছিল এবং গোটা ক্রিকেট ব্রহ্মাণ্ডে তখন রটে গিয়েছিল এমসিজি বিরাট অঘটনের দিকে এগোচ্ছে।

ম্যাচ শেষে মাশরফি মর্তুজার ভাবভঙ্গিতে পরিষ্কার, আম্পায়ারিং নিয়ে বাংলাদেশ প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্যে একটা ইস্যু করবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে যেমন ফরাক্কার জল নিয়ে ভারত সম্পর্কিত তীব্র অসন্তোষ বা সীমান্তবর্তী বিএসএফ জওয়ানদের আচরণে ফেটে পড়া ক্ষোভ! তেমনই বাংলাদেশ ক্রিকেটমহলের অভিযোগ হল, আইসিসি চরম পক্ষপাত দেখায় ভারতকে। ধারাবাহিক ভাবে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শুধুই ভারতের স্বার্থের কথা ভেবে। তাদের অভিযোগ, এমসিজিতে বৃহস্পতিবার তেমনই কিছু ঘটেছে।

যে সময়টায় ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলে একটা বস্তুর অস্তিত্ব ছিল তখন সুরেশ রায়না এবং রোহিত শর্মার উইকেট দু’টো না পাওয়া নিয়ে সবুজ-লাল জার্সির এত উত্তেজনা। আবার তারা ব্যাট করার সময় নাকি মাহমুদউল্লাহর আউটটাও আউট ছিল না। এই প্রত্যেকটা আউটের ক্ষেত্রেই তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তা সেই তৃতীয় আম্পায়ার এস জে ডেভিস ভারতের সঙ্গে সম্পর্কহীন হলেই বা কী? মাথায় যদি কারও বদ্ধমূল ধারণা ঢোকে, সেটা সহজে বার করা সম্ভব নয়।

তা রায়নার এলবিডব্লিউটা খুব ক্লোজ যে ছিল সন্দেহ নেই। প্রেসবক্সে তখন আড্ডা মারতে আসা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রিপ্লে দেখে তো বলেই ফেলেছিলেন, আউট। দ্বিতীয়-তৃতীয় রিপ্লেয় দেখা গেল মাশরফির বলের কিছু অংশ লেগস্টাম্পের বাইরে পিচ পড়েছিল। তৃতীয় আম্পায়ার ফের দেখে খুব ন্যায্য ভাবেই রায়নাকে নট আউট ঘোষণা করেন। এই অভিযোগ ধোপে টেকা উচিত নয়। টিকবেও না। তবে রোহিত শর্মার ডেলিভারিটা আউট ছিল কোনও সন্দেহ নেই। ওই কোমর সমান নিচু ফুলটসকে আলিম দার কেন নো বল ডাকলেন, তিনিই জানেন। পাকিস্তানি আম্পায়ার ওইখানে এত বড় ভুল না করলে রোহিত আউট হয়ে যান ৯০ রানে। আরও ৪৭ রান কমে যায় তাঁর এবং টিমের রান থেকে। শেষ দিকে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ফুরফুরে ভাবটাও অনেক কমে যায়।

কিন্তু তাতেও ম্যাচের কোনও চিত্তবৈকল্য ঘটত বলে একেবারেই মনে হয় না। ভারত অনেক আগেই স্রোতস্বিনী পদ্মার খপ্পরে পড়তে পড়তে বেঁচে গিয়েছে এবং তার জন্য সবচেয়ে দায়ী স্বয়ং বাংলাদেশ অধিনায়ক!

মাশরফিকে এক ভারতীয় সাংবাদিক ম্যাচ শেষে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইন্ডিয়া যা খেলছে তাতে কি ওরা বিশ্বকাপ জিততে পারে? তিনি দায়সারা ভাবে “হ্যাঁ” বলে যোগ করলেন ‘‘গুড লাক।’’ এমন তাচ্ছিল্যমিশ্রিত ক্ষোভের সঙ্গে কথাটা ভাসানো, যেন ভারতের আর গুড লাকের দরকার কী! রিমোট কন্ট্রোল তো তারাই নিয়ে বসে রয়েছে। কিন্তু ভারত যখন কোহলি-বিদায়ে সত্যিই চাপে কাঁপছিল তখন তো মাশরফিরা সুযোগই নিতে পারেননি! তিনি নিজে ১১৫-১১৮ কিলোমিটার গতিতে বল ওপেন করলেন। যাঁকে ভারতের খেলতে সবচেয়ে সমস্যা হতো, সেই রুবেল হোসেনকে আনলেন ১১ ওভার বল হওয়ার পর। ভারত ততক্ষণে বিনা উইকেটে ৫৫ তুলে ফেলেছে। এমন বোলিং চেঞ্জ অবশ্যই আইসিসি করেনি।

আরও বিস্ময়কর— রাহানে আউট হওয়ার পর ক্যামেরা যখন ভারতীয় ড্রেসিংরুমে আতঙ্কিত রবি শাস্ত্রীকে দেখাতে শুরু করেছে, টিভি বক্সে রাহুল দ্রাবিড়কে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে আট বছর আগের ত্রিনিদাদে যন্ত্রণার দুপুর, ভারতকে তখন মোটেও গত বারের চ্যাম্পিয়ন বা ছয় ম্যাচে ছ’টা জেতা টিম দেখাচ্ছে না। বরং মনে হচ্ছে বিপন্ন, নক আউটে আসা প্রথম চাপেই দিশাহারা।

আর ঠিক তখন রুবেলকে সরিয়ে নেওয়া হল আক্রমণ থেকে। মাশরফি নিজে বল করতে এলেন। সারা ক্রিকেটপৃথিবী এমনকী মঙ্গলগ্রহও জানে, রায়নার দুর্বলতা শর্ট পিচে। অথচ তাঁকে প্রথম ৪২ বলের একটাও শর্ট করা হল না। যখন হল, রায়নার রান চল্লিশ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

রোহিত ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন এমসিজিতে তাঁর অসামান্য গড় অক্ষত রেখে। ১২৬ বলে ১৩৭। কিন্তু মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ইনিংস রায়নার। যাকে ওয়ান ডে-তে বলে গেমচেঞ্জার। ৫৭ বলে ৬৫। মোদ্দা কথা আইসিসির আনুকূল্যে নয়, বাংলাদেশ নিজেদের ব্যর্থতাতেই ভারতকে ম্যাচে ফিরতে দিল। বড় কোনও টিম হলে তখনই বিপক্ষের প্রত্যাবর্তন-সম্ভাবনাকে কবর দিয়ে দিত! বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন এবং রুবেল ঘণ্টায় একশো চল্লিশ কিলোমিটারের ওপরে চমত্‌কার জায়গায় বল করছিলেন। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে দল হিসেবে বাংলাদেশ কিছুতেই সেই আঁটোসাঁটো জায়গাটায় পৌঁছচ্ছিল না!

ধোনিরা তিনশোর ওপর রান তুলে দেওয়ার পর একমাত্র কৌতূহল ছিল, বাংলাদেশকেও অল আউট করে ভারত সাত ম্যাচে ৭০ উইকেট নিতে পারবে কি না। এত বড় রান যে এ মাঠে তাড়া করা যাবে না, জানা কথা। কিন্তু লড়াই তো একটা হবে! এত বড় মাঠে পঞ্চাশ হাজারের বেশি লোক হয়নি তো কী! কোটি কোটি লোক তো গোটা বিশ্বে টিভি দেখছে, ইন্টারনেট স্ট্রিমিং করছে, রেডিও শুনছে। তারা তো একটা লড়াই আশা করবে।

আর বাংলাদেশ সেটা দিতেই পারল না মাঠের বিশালত্বের কাছে আরও আত্মসমর্পণ করে। ভারতীয় পেসাররা ফুটন্ত বোলিংও করলেন। ফেসবুকে এক উত্‌সাহী দেখলাম লিখেছেন, ভারতের পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব একটা বস্তুরই প্রাপ্য— ইশান্ত শর্মার আহত হাঁটু। পোস্টটা খারাপ নয় কিন্তু। ওই হাঁটুর চোট না হলে মোহিত শর্মার তো বিশ্বকাপ খেলাই হয় না। ভারতীয় পেস বোলিংয়ে প্রতিদিন যিনি সলতে পাকানোর কাজটা করছেন। উমেশ যেন আরও দু’গজ গতি বাড়িয়ে বল করলেন। শামিকেও জখম হাঁটু সারিয়ে অনেক দ্রুতগামী দেখাচ্ছে। রায়নাকে যে শর্ট বলটা বাংলাদেশ করতে ভুলে গেল, সেটা নিয়মিত ভাবে তিন পেসার করে গেলেন মাহমুদউল্লাহদের। একটা হিসেব দেখছি যা সাত ম্যাচে টানা জয় এবং ৭০ উইকেটের মতোই চমকপ্রদ।

টুর্নামেন্টে মোট ২৪ উইকেট ভারত নিয়েছে স্রেফ শর্ট বলে! সবাই জানত ডাউন আন্ডারের বিশ্বকাপে তারা শর্ট বলের শিকার হতে এসেছে। কেউ ভাবেনি, শিকার স্বয়ং শিকারিতে রূপান্তরিত হতে পারে।

সৌম্য সরকার ভাল ব্যাট করছিলেন। তিনি, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন, রুবেল, সাকিব— এঁদের নিয়ে বাংলাদেশ পরের প্রজন্মে আকর্ষণীয় দল গড়বে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু তাকে ক্রিকেটীয় শর্ত মেনে এগোতে হবে। অভিযোগ সংবলিত হয়ে নয়। সৌম্যর ক্যাচটা ধোনি বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে ফার্স্ট স্লিপের পাশ থেকে তুললেন। তাঁর জীবনের বোধহয় সেরা ক্যাচ এবং তা বাংলাদেশকে একেবারেই দীনদরিদ্র করে দিয়ে গেল! মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ সীমানার ধারে পা-টা ফেন্সিংয়ে না লাগিয়ে চমত্‌কার লুফলেন ধবন। প্রেসবক্স থেকে মনে হল পা লাগেনি। কিন্তু সেটা নিয়েও নাকি বাংলাদেশের তীব্র আপত্তি। তারা মনে করে স্লো মোশনে ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই অংশটা বারবার দেখানো হয়নি।

ম্যাচ গো-হারান হেরে এই নেগেটিভ ব্যাপারে মন দেওয়ার বাতাবরণ দুপুরের চূড়ান্ত উত্‌সব-পরিবেশের সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে থাকল। এমসিজির বাইরে প্রাক্-ম্যাচ যা ঘটছিল, তাকে বিচিত্রানুষ্ঠান বলা যায়। বা ম্যাচ শুরুর আগে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কলকাতা থেকে ঠিক সেই সময় বিখ্যাত লোকগীতি শিল্পীর পোস্ট দেখলাম। যিনি পূর্ববঙ্গের মানুষের গান করেন। লিখেছেন, ‘আমার ভাষা বনাম আমার দেশের লড়াই। হৃদয় মুচড়ে দেশের সঙ্গে আছি।’

তখন মনে হচ্ছে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মেনে রাতে ঝড়-বিদ্যুত্‌ সহকারে বৃষ্টি আসতেই পারে। ধোনি টস জিতে প্রথম ব্যাট করছেন তো। এই উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ ডাকওয়ার্থ-লুইসে আনুপাতিক কম রান তাড়া করার চ্যালেঞ্জটাই সানন্দে নেবে। কে জানত, তার অধিনায়ক স্বয়ং এমন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বেন। স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে হাত নেড়ে গালাগাল করবেন ফিল্ডারদের। বোলার পরিবর্তন করলেন না আক্রমণাত্মক ভাবে। অনেক দেরি করলেন। বাংলাদেশের ওভার রেট এত খারাপ ছিল যে, দ্বিতীয় বার জরিমানা হয়ে মাশরফি এ বার এক ম্যাচ সাসপেনশনের মধ্যেই পড়ে গেলেন। বাংলাদেশ সমর্থকরা নিশ্চয়ই এত কম ওভার রেটের জন্য ভারত বা আইসিসিকে দায়ী করবেন না!

আসলে মেলবোর্ন মাশরফির কাছে বরাবরের যন্ত্রণাকাতর অভিশপ্ত নগরী। মোট সাত বার এই শহরে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। সেই যন্ত্রণা থেকেই গেল। ও দিকে ভারত এগিয়ে গেল খোশগপ্পো এবং বিশ্বকাপ দরবারে মৌরসি পাট্টা আবাহনের দিকে।

সঞ্জয় মঞ্জরেকর জিজ্ঞেস করছিলেন সৌরভকে, “কারা কাপ জিতবে মনে করো?” তার পর নিজেই উত্তর দিলেন— অস্ট্রেলিয়া। সৌরভ অবশ্য মনে হল একমত নন। দ্রুত বলে দিলেন, “সিডনিতে কাল (দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে) যা ছিল, যদি সেই উইকেট হয় তা হলে ভারতকে উড়িয়ে দিতে পারো না। টিমটা কিন্তু দারুণ খেলছে। আমি বলব ফিফটি-ফিফটি।”

বলতে ভুলে গেলাম। আলোচনাটা ম্যাচের ৪৫-৫০ ওভারে। অর্ধেক ম্যাচ তখনও অসমাপ্ত। আসলে এমসিজি কোয়ার্টার ফাইনালের এটাই প্রতীকী। সামুদ্রিক পাখি, আইসিসি বা বলিউডি নাচ নয়।

একটাই অভিব্যক্তি— চরম একপেশে! ১০৯ রানটা বড়জোর কমে গিয়ে ৬৯ হতো!

ভারত

রোহিত বো তাস্কিন ১৩৭

ধবন স্টা. মুশফিকুর বো সাকিব ৩০

কোহলি ক মুশফিকুর বো রুবেল ৩

রাহানে ক সাকিব বো তাস্কিন ১৯

রায়না ক মুশফিকুর বো মর্তুজা ৬৫

ধোনি ক নাসির বো তাস্কিন ৬

জাডেজা ন.আ. ২৩

অশ্বিন ন.আ. ৩

অতিরিক্ত ১৬

মোট ৫০ ওভারে ৩০২-৬।

পতন: ৭৫, ৭৯, ১১৫, ২৩৭, ২৭৩, ২৯৬।

বোলিং: মর্তুজা ১০-০-৬৯-১, তাস্কিন ১০-০-৬৯-৩, নাসির ৯-০-৩৫-০,

মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-০, রুবেল ১০-০-৫৬-১, সাকিব ১০-০-৫৮-১।

বাংলাদেশ

তামিম ক ধোনি বো উমেশ ২৫

কায়েস রান আউট ৫

সৌম্য ক ধোনি বো শামি ২৯

মাহমুদউল্লাহ ক ধবন বো শামি ২১

সাকিব ক শামি বো জাডেজা ১০

মুশফিকুর ক ধোনি বো উমেশ ২৭

সাব্বির ক শামি বো উমেশ ৩০

নাসির ক অশ্বিন বো জাডেজা ৩৫

মর্তুজা ক ধোনি বো মোহিত ১

রুবেল ক অশ্বিন বো উমেশ ০

তাস্কিন ন.আ. ০

অতিরিক্ত ১০

মোট ৪৫ ওভারে ১৯৩।

পতন: ৩৩, ৩৩, ৭৩, ৯০, ১০৪, ১৩৯, ১৮৯, ১৯২, ১৯৩।

বোলিং: উমেশ ৯-১-৩১-৪, শামি ৮-১-৩৭-২, মোহিত ৭-০-৩৬-১,

অশ্বিন ১০-১-৩০-০, রায়না ৩-১-১৫-০, জাডেজা ৮-০-৪২-২।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE