দৃষ্টান্ত: নিজেকে ফিট রাখার সঙ্গে আর্তের সেবায় ব্যস্ত নবদীপ। টুইটার
নিউজ়িল্যান্ড সফর থেকে ফেরার পরেই দেশের পরিস্থিতি দেখে হতাশ নবদীপ সাইনি। এত দিন নিয়ম ছিল, হরিয়ানার বাড়িতে ফিরেই বেরিয়ে পড়তেন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে। কিন্তু করোনা-আতঙ্ক এড়াতে সারা দেশে লকডাউন চলছে। তাই নবদীপও গৃহবন্দি। কিন্তু ১৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করে ক্রিকেট বিশ্বের নজরে উঠে আসা নবদীপ প্রস্তুতিতে ফাঁকি দিচ্ছেন না।
হরিয়ানার বাড়িতেই বিরাট বড় ছাদ রয়েছে। সেখানেই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রস্তুতি। সঙ্গী টেনিস বল। প্রত্যেক দিন ভোর সাতটায় ঘুম থেকে উঠেই চলে যাচ্ছেন ছাদে। হাল্কা গা ঘামিয়ে শুরু করছেন ট্রেনিং। ভারতীয় দলের বর্তমান স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ নিক ওয়েবের থেকে অনলাইনে বেশ কিছু ব্যায়াম দেখে নেওয়ার পরে সেই অনুযায়ী চলছে প্রস্তুতি। তার পরে শুরু হচ্ছে টেনিস বল দিয়ে বোলিং। আনন্দবাজারকে ফোনে ভারতীয় পেসার বলছিলেন, “বাড়িতেই অনেকগুলো ডাম্বেল আছে। সেগুলোর সাহায্যেই ওয়েট ট্রেনিং করছি। টেনিস বলেই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সর্বশক্তি দিয়ে বল করে যাচ্ছি। একটাই উদ্বেগ, আমার গতি যেন কমে না যায়।”
বিকেলে দ্বিতীয় দফার প্রস্তুতি। পাশে বন্ধুর বাড়িতে রানিং ট্র্যাক আছে। আছে জিমও। সাধারণ মানুষের জন্য সেই জিম বন্ধ। শুধুমাত্র নবদীপ এখন একাই সেই জিম ও ট্র্যাক ব্যবহার করছেন। বলছিলেন, “একজন পেসারকে শরীর ফিট রাখতে হলে দৌড়তেই হবে। লকডাউনের জন্য কোথাও যেতে পারছি না। বন্ধুর বাড়ির রানিং ট্র্যাক ও জিম ব্যবহার করছি।”
কী মনে হচ্ছে আইপিএল হবে? নবদীপের উত্তর, ‘‘বলা যাচ্ছে না। দেশে করোনা সংক্রমণ যে ভাবে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে সব কিছুই অনিশ্চিত মনে হচ্ছে। সবার আগে এখন জরুরি মানুষের সুরক্ষিত জীবন। সব চেয়ে খারাপ লাগছে দিন মজুর অথবা ছোট ব্যবসায়ীদের অবস্থা দেখে। তাঁরা খেতে পাচ্ছেন না।”
হরিয়ানার কর্নলেই তাঁর বাড়ির এলাকার আশেপাশে দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী দান করেছেন ভারতীয় পেসার। বলছিলেন, “আমার বাড়ির লোকেদের সুরক্ষিত রেখে যদি বাকিদের সাহায্য করার সামর্থ থাকে, তা হলে কেন করব না? পাড়ার কয়েকজন মিলেই দুঃস্থদের চাল, ডাল, আলু বিতরণ করেছি। ওঁরা ভাল থাকলে আমরাও শান্তিতে বাড়িতে থাকতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy