কল্যাণী স্টেডিয়ামে মাসখানেক আগে তার দুরন্ত হ্যাটট্রিকেই নেপালকে ৭-০ চূর্ণ করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল ভারত। রবিবার তাসখন্দে উজ়বেকিস্তানের বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচে সেই স্রিদার্থ নংমেইকাপাম-ই ৬৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেয় ভারতকে। যদিও ম্যাচ শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে সমতা ফেরায় উজ়বেকিস্তানের রিয়ান ইসলামভ। তাতে অবশ্য আগামী বছর বাহরিনে অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন আটকায়নি ভারতীয় দলের। এই নিয়ে টানা তিন বার (সব মিলিয়ে মোট ন’বার) মূল পর্বে ভারতের খুদেরা।
শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া হলেও ভারতীয় শিবিরের কোনও হতাশা নেই। ম্যাচের পরে ড্রেসিংরুমে ওড়িশি নাচল ফুটবলারেরা। টিম হোটেলে ফিরেও চলল উৎসব। সেখানেও আকর্ষণের কেন্দ্রে স্রিদার্থ।
মণিপুরের প্রতিশ্রুতিমান স্ট্রাইকারের বাবা ইতোচা সিংহ নংমেইকাপামও ফুটবলার ছিলেন। তবে তিনি খেলতেন রক্ষণে। নব্বইয়ের দশকে মোহনবাগানে সই করেছিলেন। জাতীয় দলেও ছিলেন। স্রিদার্থের অবশ্য ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল স্ট্রাইকার হওয়া। আদর্শ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। রবিবার উজ়বেকিস্তানের বিরুদ্ধে গোল করে প্রিয় নায়কের ভঙ্গিতেই উৎসব করে মাতিয়ে দিয়েছিল। রাতে তাসখন্দ থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে স্রিদার্থ শোনাল অনেক অজানা কাহিনি।