Advertisement
E-Paper

পঞ্চম বোলারই কিন্তু ভারতের দুর্বল জায়গা

স্বাভাবিক ভাবেই এখন সবার প্রশ্ন, কারা হবে চ্যাম্পিয়ন? এই ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী করা মোটেই ঠিক নয়। তবে ভারত যে রকম দাপট নিয়ে বাংলাদেশকে হারাল, তার পর বিরাট কোহালির দলের প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল।

ভিভিএস লক্ষ্মণ

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০৪:১০
লক্ষ্য: হার্দিকের বোলিংয়ে উন্নতি এখন চাহিদা কোহালির। —ফাইল চিত্র।

লক্ষ্য: হার্দিকের বোলিংয়ে উন্নতি এখন চাহিদা কোহালির। —ফাইল চিত্র।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল এ রকমই হওয়া উচিত। ভারত বনাম পাকিস্তান। যা ক্রিকেট বিশ্ব দেখতে চলেছে রবিবার। যে টুর্নামেন্টে নানা অঘটন, চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এসেছে, সেই টুর্নামেন্টে এমন একটা ফাইনালই তো হওয়ার কথা। ক্লাইম্যাক্সে ভরা টুর্নামেন্টে শেষটাও হবে ক্লাইম্যাক্স দিয়েই।

স্বাভাবিক ভাবেই এখন সবার প্রশ্ন, কারা হবে চ্যাম্পিয়ন? এই ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী করা মোটেই ঠিক নয়। তবে ভারত যে রকম দাপট নিয়ে বাংলাদেশকে হারাল, তার পর বিরাট কোহালির দলের প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল।

যে দলে একের পর এক তারকা, ম্যাচউইনার, সেই দলের জয়ের নায়ক হল কি না কেদার যাদব, যাকে কেউ পার্শ্বচরিত্রে ছাড়া ভাবতেই পারেনি। ইনিংসের মাঝখানে ওই যে দুটো মূল্যবান উইকেট নিল কেদার, তাতেই ম্যাচটা পুরো ওপেন হয়ে গেল। ও-ই নিশ্চিত করল বাংলাদেশ ৩১০-৩২০-তে পৌঁছতে পারছে না। ওর এই সাফল্যে এটাই বোঝা গেল যে ক্রিকেটে উইকেটের গুরুত্ব কতটা। কিন্তু কেদারের এই সাফল্যে ভারতীয় দলের একটা ধাঁধা-র উত্তর আরও কঠিন করে দিল। পঞ্চম বোলারের ধাঁধা।

শুরুতে ভুবনেশ্বর উইকেট পায়। বুমরাও যথেষ্ট শৃঙ্খলাপরায়ণ বোলিং করে। তা সত্ত্বেও এজবাস্টনের পাটা পিচকে যে ভাবে কাজে লাগিয়ে নেয় তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম, তাতেই বিরাট ফাটকাটা খেলতে বাধ্য হয়। সেই ফাটকাই হল কেদার। আর সেই ফাটকাটাই দুর্দান্ত ভাবে কাজে লেগে যায়। কেদার ছ’ওভার বল করে ২২ রানে দুটো উইকেট ফেলে দেয়। বাংলাদেশ ২৮ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে মাত্র ৫৫ রান তোলে তিন উইকেট খুইয়ে। এখান থেকেই ওদের হার শুরু হয়ে যায়। কারণ, উল্টো দিকে যেখানে বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ডেথ বোলার, সেখানে টেল এন্ডারদের আর কতই বা রান তোলার ছিল?

কেদার স্ট্রিট স্মার্ট বোলার। ওর রাউন্ড আর্ম অ্যাকশনের জন্য বল পড়ে ‘স্কিড’ করে যায়। না পুরো লেংথ, না খাটো লেংথের বল করে। ফলে ব্যাটসম্যানদের ওর বলের লাইনে এসে বা ব্যাক ফুটে এসে খেলতে বেশ অসুবিধা হয়। এই জন্যই কেদার প্রচুর ডট বল পেয়ে যায়। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ভাল বল বল করেছিল ও। ২৫ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে উইকেট ফেলার গুরুত্বটা এ দিন বুঝিয়ে দেয় কেদার।

এ বার সেই ধাঁধায় আসি, যার কথা বলছিলাম একটু আগেই। ভারতীয় দলের এই পঞ্চম বোলারের ধাঁধাই ওদের একমাত্র দুর্বল জায়গা। যার উত্তর খুঁজে পেতে হলে হার্দিক পাণ্ড্যর বোলিংয়ে উন্নতি করতে হবে। এ ছাড়া সব ঠিক আছে। শিখর ধবন ও রোহিত শর্মার ভাল ফর্ম ভারতীয় দলের এই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিরাটের কভার ড্রাইভের প্রশংসা না করে পারাই যায় না। বাংলাদেশী বোলাররা ওকে স্টাম্পের বাইরে বল দিলেও লম্বা পা বাড়িয়ে বড় শট নেওয়াটা দুর্দান্ত লেগেছে। বৃহস্পতিবারেরটাই সেরা ইনিংস বিরাটের। ভারত-পাক ফাইনালের আগে এই ইনিংসটাই ওকে বাড়তি উৎসাহ জোগাবে।

Cricket চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি Champions Trophy ICC Champions Trophy 2017
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy