সমর্থন: ধোনির পাশে দাঁড়ালেন ২০১১-র নায়ক যুবি। ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো ধুরন্ধর ক্রিকেট মস্তিষ্ক দরকার হবে বলে মনে করছেন যুবরাজ সিংহ। ২০১১ বিশ্বকাপে ধোনি ছিলেন অধিনায়ক। আর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন যুবরাজ। তিনিই ছিলেন ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট।
আট বছর কেটে গিয়েছে। ধোনি আর অধিনায়ক না থাকলেও খেলে চলেছেন। বিশ্বকাপে তাঁকে রাখা উচিত কি না, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যুবরাজ কিন্তু বলে দিচ্ছেন, এখনকার অধিনায়ক বিরাট কোহালির পরামর্শদাতার ভূমিকা নিতে পারবেন ধোনি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অনেক অবদানও রাখতে পারবেন।
মুম্বইয়ে একটি অনুষ্ঠানে এসে যুবরাজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘আমার মনে হয় মাহির দারুণ ক্রিকেট মস্তিষ্ক রয়েছে। বিশেষ করে উইকেটকিপার হওয়ায় সব কিছু বোঝার জন্য আদর্শ জায়গায় ও দাঁড়িয়ে থাকে। বছরের পর বছর ধরে মাহি দারুণ ভাবে উইকেটের পিছন থেকে দলকে চালনা করে এসেছে। নিজে অসাধারণ ক্যাপ্টেন ছিল। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের সব সময় সাহায্য করছে। সারাক্ষণ বিরাটকে পরামর্শ দিয়ে চলেছে।’’ যোগ করছেন, ‘‘তাই আমার মনে হচ্ছে, মাহির উপস্থিতি দলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হতে চলেছে। বিশেষ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে।’’ পাশাপাশি, ব্যাটসম্যান ধোনিরও প্রশংসা করেন যুবরাজ। বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ খেলেছে মাহি। আগের মতো যে ওর ব্যাট এখনও বলকে পেটাচ্ছে, সেটা দেখতে পাওয়া নিশ্চয়ই স্বস্তিদায়ক। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল ওর জন্য।’’
ধোনিকে কত নম্বরে ব্যাট করানো উচিত, তা নিয়ে তর্ক শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, আরও উপরের দিকে অর্থাৎ চার নম্বরে নামানো উচিত তাঁকে। আবার কোহালি বলেছেন, পাঁচ নম্বরেই ঠিক আছেন ধোনি। এই তর্কে ঢুকতে চাননি যুবরাজ। বলে দিয়েছেন, ‘‘সেটা আপনারা ধোনিকেই জিজ্ঞেস করুন।’’ আইপিএলে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রয়েছেন যুবরাজ। ২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছয় বলে ছয় ছক্কা মারা বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের বয়স এখন ৩৭ বছর। আইপিএলের নিলামে প্রথমে তাঁকে কিনতেই চায়নি। শেষ পর্যন্ত এক কোটি টাকার বেস প্রাইসে কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যুবরাজ বলছেন, তাঁর লক্ষ্য হবে অধিনায়ক রোহিত শর্মার চাপ কমানো। ‘‘আমার মনে হয় এখনও মাঝের দিকে নেমে আমি অবদান রাখতে পারি। যদি সেটা পারি তা হলে রোহিতের উপর থেকে কিছুটা চাপ সরানো সম্ভব হবে। ওপেন করতে নেমে রোহিত তা হলে নিজের খেলা খেলতে পারে। দেখা যাক আমাদের জুটি কেমন যায়।’’
পঞ্জাব থেকে উঠে আসা আর এক ক্রিকেটার শুভমন গিলকে নিয়েও উচ্ছ্বসিত যুবরাজ। বলছেন, ‘‘আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম শুভমনকে ভারতের হয়ে খেলতে দেখে। গত কয়েক মাসে ও যে রকম উন্নতি করেছে, অভাবনীয়! ভারত এ দলের হয়ে খেলে ফিরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নেমে অনেক রান করল। তার পরেই সোজা ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy