বিপদ বাড়বে কি ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সের? সূত্রের খবর, তাঁকে আগামী বুধবার তলব করা হতে পারে। ইন্ডিগো-বিপর্যয় সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তলব করা হতে পারে তাঁকে। শুধু পিটারকে একা নয়, ইন্ডিগোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইসিদ্রে পোরকেবারকে তলব করার সম্ভাবনা রয়েছে, এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
একের পর এক উড়ান বাতিল। গত কয়েক দিন ধরেই প্রশ্নের মুখে এ দেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। কেন এই বিপর্যয়, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। শনিবার ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষকে শো কজ়ও করে দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। সোমবার সন্ধ্যায় সেই শো কজ়ের জবাব দেয় ইন্ডিগো। সূত্রের খবর, ইন্ডিগোর জবাবে সন্তুষ্ট নয় তদন্তকারী কমিটি। সেই কারণেই এ বার ইন্ডিগোর সিইও এবং সিওও-কে তলব করা হতে পারে।
ওই তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন যুগ্ম ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় কে ব্রাহ্মণে, ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অমিত গুপ্ত, সিনিয়র ফ্লাইট অপারেশন্স ইন্সপেক্টর ক্যাপ্টেন কপিল মাঙ্গলিক এবং ডিজিসিএ-এর ফ্লাইট অপারেশন্স ইন্সপেক্টর ক্যাপ্টেন রামপাল। সোমবার সেই তদন্তকারী কমিটির কাছে শো কজ় নোটিসের জবাব পাঠিয়েছে ইন্ডিগো।
ইন্ডিগো বিপর্যয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমানমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু প্রথম থেকেই বিষয়টির উপর নজর রেখেছেন। তবে পরিস্থিতি খারাপের অন্যতম কারণ কেন্দ্রের জারি করা নতুন ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন’ (এফডিটিএল)। পাইলট এবং কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত বিধির কারণে সঙ্কটে পড়ে ইন্ডিগো। এফডিটিএলের ২২টি নির্দেশিকার মধ্যে ১ জুলাই থেকে ১৫টি নির্দেশিকা চালু হয়। বাকি সাতটি ১ নভেম্বর থেকে চালু হয়। সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, এই ২২টি নীতি বিমানসংস্থাগুলিকে মানতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে সব বিমানসংস্থার সঙ্গে নতুন নীতি কার্যকরের বিষয়ে যোগাযোগও রেখেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার পরেও সমস্যার কথা জানায়নি ইন্ডিগো, এমনই দাবি নায়ডুর।
বিপর্যয়ের পর পিটার এবং ইন্ডিগোর অন্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন বিমানমন্ত্রী। তার পরেই ইন্ডিগোকে শো কজ় নোটিস পাঠায় তদন্তকারী কমিটি। নোটিসে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, এই পরিস্থিতির জন্য পিটারকে দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন:
ইন্ডিগোর দাবি, পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে বিপর্যয়ের সপ্তম দিনে অর্থাৎ সোমবারও তাদের ৩০০-র উপর উড়ান বাতিল করা হয়েছে। শুধু দিল্লি বিমানবন্দরেই বাতিল হয়েছে ১৩৪টি বিমান। তার মধ্যে ৫৯টির দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। আর ৭৫টির বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৩৬০টি উড়ান বাতিলের খবর পাওয়া গিয়েছে।