প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করেছিলেন রোহিত। ছবি: টুইটার থেকে
মোতেরার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ২ দল মিলিয়ে পড়েছে ৩০টি উইকেট। তার মধ্যে ২৮টি উইকেট নিয়েছেন স্পিনাররাই। ভারত বনাম ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন থেকেই পিচে ধুলো উড়তে দেখা গিয়েছিল। এমন পিচে ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য যদিও পিচকে দোষ দিতে নারাজ রোহিত শর্মা।
প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করেছিলেন রোহিত। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। যে পিচে একের পর এক ব্যাটসম্যান এসেছেন এবং আত্মসমর্পণ করেছেন সেখানে তিনি ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দ। রোহিত বলেন, “এমন পিচে খেলতে গেলে রান করতে হবে। পিচে টিকে থাকব চিন্তা করলে মুশকিল আছে। শুধু রক্ষণাত্মক খেলে গেলে চলবে না। আমরা দেখেছি বল হঠাৎ লাফিয়ে উঠছিল, কোন দিকে স্পিন করবে বোঝাও যাচ্ছিল না। এমন পিচে অপেক্ষা করলে মুশকিল।” প্রথম ইনিংসে রোহিতের স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ৭০-এর কাছাকাছি। ৯৬ বলে করেন ৬৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ বলে ২৫ করেন রোহিত। এই পিচেও যে রান করা যায় সেটাই যেন শেখাচ্ছিলেন ভারতীয় ওপেনার।
মোতেরার পিচ কেমন ছিল? ৩৭ টি টেস্টে ২৫৬৬ রান করা রোহিত বলেন, “বেশ আকর্ষণীয় পিচ ছিল। কোনও বল সোজা আসছিল, কোনওটা ঘুরছিল। এমন পিচে খোলা মনে খেলা উচিত। আমার মনে হয় সেটা আমি করতে পেরেছিলাম ওই সুইপ শটটা খেলার আগে অবধি।” ভারতের হয়ে রোহিত যে কাজটা করে দিয়েছিলেন, ইংল্যান্ড সেটাই পারল না। প্রথম ইনিংসে জো রুটরা শেষ হয়ে গিয়েছিলেন ১১২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন মাত্র ৮১ রান।
ইংল্যান্ডের ঘাতক হয়ে উঠেছিলেন অক্ষর পটেল। একাই ১১টি উইকেট নিয়ে চলে যান জীবনের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে। পেয়ে যান ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও। রোহিত বলেন, “অক্ষরের পরিকল্পনা সঠিক ছিল। ব্যাটসম্যানকে খেলতে বাধ্য করছিল ও। উইকেট লক্ষ্য করে বল করে যাচ্ছিল অক্ষর। ব্যাটসম্যানের পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল ওকে খেলা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy