Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
South Africa vs India

তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার লিড ১১৮ রান, ক্রিজে এলগার ও ডি ভিলিয়ার্স

একাই লড়ছেন বিরাট কোহালি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম ইনিংসে তিনি ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারলেন না। অশ্বিন শুরু করলেও আউট হয়ে গেলেন।

বুমরার উইকেটের পর কোহালির উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।

বুমরার উইকেটের পর কোহালির উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১৪:০৪
Share: Save:

দ্বিতীয় দিনের খেলা যেখানে শেষ হয়েছিল সেখানেই এই বার্তাটা দেওয়া ছিল। তৃতীয় দিনের সকালটা অন্য রকম হবে। প্রথম টেস্টের ব্যর্থতা বাকিরা ভুলতে না পারলেও তিনি পেরেছেন। তাঁকে তো পারতেই হতো। তাঁর হাতেই তো এই ভারতীয় দলের দায়িত্ব। তাঁকে ঘিরেই সাফল্যের পরিকল্পনা চলে। তিনি ফ্লপ করলে দলও ধসে পড়ে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন তাঁর ব্যাটেই এল সাফল্য। পাশে তেমনভাবে যে কেউ দাঁড়িয়েছেন এমনটা নয়। তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে সেঞ্চুরিটি যেমন করেছেন তেমনই দলের রান বাড়িয়ে গিয়েছেন।

দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনের শেষের দিকে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। লাঞ্চের আগেই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। হাতে অনেকটাই সময় পেয়ে গিয়েছিলেন মুরলী বিজয়, লোকেশ রাহুলরা। কিন্তু তেমনভাবে কাজে লাগাতে পারেনি কেউই। ৪৫ রানেই দু’উইকেট পড়ে যায় ভারতের।

দ্বিতীয় দিনের খেলা যখন শেষ হয় ততক্ষণে ভারত ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। ভারতের পাশে ১৮৩ রান। একমাত্র বিরাট কোহালি দাঁড়িয়ে ৮৫ রানে। সঙ্গে হার্দিক পাণ্ড্য। খুব দুর্ভাগ্য না হলে এখান থেকে বিরাট কোহালির ফেরার কথা ছিল না। তেমনটা হয়ওনি। হার্দিক পাণ্ড্যকে সঙ্গে নিয়েই নিজের সেঞ্চুরিটি সেরে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু পরের বলেই যে ভাবে আউট হলেন হার্দিক, সেটা বিরাটেক পক্ষে মেনে নেওয়া বেশ কঠিন।

আরও পড়ুন
সেঞ্চুরি দিয়েই ঘুরে দাঁড়ালেন বিরাট

বেশ কিছুটা গা ছাড়া ভাব ছিল রানিং বিটউইন দ্য উইকেটের মধ্যে। পায়ের গোড়ালি লাইনে, ব্যাট হাওয়ায়। রান আউট হয়ে গেলেন হার্দিক। ব্যাট বা পা কোনওটাই মাটিতে রাখার কথা ভাবলেন না তিনি। দ্বিতীয় টেস্টে ব্যর্থ বিরাটের সব ঘুঁটিরাই। সে বদলে আসা লোকেশ রাহুল বা পার্থিব পটেল হোক অথবা প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া রোহিত শর্মা হোক। কেউই ভরসা দিতে পারেননি ভারতের ব্যাটিংকে। বরং শেষ বেলায় নেমে বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে দলের ইনিংসকে সচল রাখতে সাহায্য করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনিও অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

২৮ রানে পিছিয়ে থেকেই প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল ভারতের। বিরাট কোহালির দুরন্ত ইনিংস কোনওভাবেই পেড়িয়ে যেতে পারল না টার্গেটকে। কারণ, একটাই উল্টোদিকে কেউ ছিল না ধরে খেলার মতো। অশ্বিনের ৩৮ রানের ইনিংসের পর মহম্মদ শামির ১ ও ইশান্ত শর্মা ৩ রানেই প্যাভেলিয়নে ফিরলেন। যদিও শেষ উইকেটটি গেল বিরাটেরই। ১৫৩ করে প্যাভেলিয়নে ফিরলেন মর্কেলের বলে ডি ভিলিয়ার্সকে ক্যাচ দিয়ে। ৯২.১ ওভারে ৩০৭ রানেই শেষ হয়ে গেল ভারতের ইনিংস।

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খেলেও ম্যাচের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বুমরার পর পর এলবিডব্লুতে মারক্রাম ও আমলা প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলেও ইনিংসের হাল ধরেন এলগার ও ডি ভিলিয়ার্স। মাঝে বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকলেও কেপ টাউনের মতো পুরো ভেস্তে যায়নি। দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান দুই উইকেটে ৯০, লিড ১১৮ রানের। অর্ধশতরান করে ক্রিজে আছেন ডি ভিলিয়ার্স(৫০) এবং এলগার(৩৬)। চতুর্থ দিনে কত রানে শেষ করে প্রোটিয়াবাহিনী এবং বুমরা, অশ্বিনরা কতটা বেগ দিতে পারে ডি ভিলিয়ার্সদের এথন সেটাই দেথার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE