আনাসের সঙ্গে কার্লোস। শুক্রবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই।
আপনার বয়স তো বিয়াল্লিশ বছর! এই বয়সে খেলবেন?
‘‘অপেক্ষা করুন। আমার ফ্রি কিকগুলো মনে আছে? সেগুলো দেখাব। এখনও নিয়মিত অনুশীলন করি। বয়স হয়েছে। মাথাটা আছে। কেমন খেলব দেখতে পাবেন।’’ বলেই পাশে বসা দোভাষী মহিলার দিকে তাঁকিয়ে হাসেন।
ভারতে এলেন কেন? কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা বাড়াতে? প্রশ্ন শুনে মুখটা গম্ভীর হয় যায়। ‘‘আমি চার বছর তুরস্ক লিগে কোচিং করিয়েছি। ওদের লিগটা কিন্ত যথেষ্ট টাফ। জিকো আর অন্য ব্রাজিলিয়ানরা আমাকে এখানে টেনে এনেছে।’’
সামান্য একটু মোটা হলেও সুঠাম চেহারা। তেরো বছর আগে বিশ্বকাপ জিতেছেন ব্রাজিলের জার্সিতে। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা সাইড ব্যাক রর্বেতো কার্লোস যখন কথা বলছিলেন তখন তাঁকে দেখে মনে হল বিশ্বে এ রকম আত্মবিশ্বাসী লোক মনে হয় কম আছে।
একটু আগেই নিলাম থেকে ডিফেন্ডার আনাস ইডাথোডিকাকে বেছেছেন। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে এলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। ‘‘এই ছেলেটাকে আমি ইউরোপে খেলার জন্য নিয়ে যাব। সময় দিন। ভারতের সঙ্গে ইউরোপের যোগায়োগ ঘটিয়ে দেওয়ার কাজটা আমিই করব।’’ বলছিলেন ‘দ্য বুলেট ম্যান’। কোথায় আনাস আর কোথায় তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো ফুটবল কেরিয়ার। তবুও বললেন।
দিল্লি ডায়নামোসের হয়ে ম্যানেজার হয়ে এসেছিলেন প্রথমে। পরে মার্কি ফুটবলারও হয়ে গেলেন। কোচিং করানোর সঙ্গে খেলবেন কী করে? এটা তো নতুন অভিজ্ঞতা! রবের্তো বলে দিলেন, ‘‘অপেক্ষা করুন। দেখতে পাবেন।’’ কিন্তু ভাষা সমস্যাটা তো আপনার কাছে বড় ফ্যাক্টর হবে? ইংরেজি তো জানেনই না? হেসে ফেললেন তিনি। ‘‘ফুটবলের একটাই ভাষা উইন, উইন এবং উইন। আইএসএলে মাঠে এটাই হবে আমার ভাষা।’’
গতবার দেল পিয়েরোকে এনে চমকে দিয়েছিল দিল্লি ডায়নামোস। প্রচার পেলেও সাফল্য আসেনি। খেলতেই পারেননি ইতালির বিশ্বকাপার। দেখা যায়নি সেই বিখ্যাত ফ্রিকিক।
রর্বেতো কার্লোস শেষ পর্যন্ত দেল পিয়েরো হবেন কি না সেটাই এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy