Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঝুলন-শিখার দাপটে অনায়াসে ওয়ান ডে সিরিজ জয় ভারতের

ব্যাট হাতে স্মৃতি মন্ধানা (৬৩)-মিতালি রাজ (অপরাজিত ৪৭) এবং বল হাতে শিখা পাণ্ডে (৪-১৮) ও ঝুলন গোস্বামীর (৪-৩০) দাপটে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে সহজেই হারাল ভারতের মেয়েরা।

সফল: চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ঝুলন গোস্বামী। পিটিআই

সফল: চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ঝুলন গোস্বামী। পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫২
Share: Save:

ব্যাট হাতে স্মৃতি মন্ধানা (৬৩)-মিতালি রাজ (অপরাজিত ৪৭) এবং বল হাতে শিখা পাণ্ডে (৪-১৮) ও ঝুলন গোস্বামীর (৪-৩০) দাপটে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে সহজেই হারাল ভারতের মেয়েরা। সঙ্গে সোমবার মুম্বইয়ে তিন ম্যাচের সিরিজও দখল করে নিলেন ঝুলনরা ২-০ ফলে।

প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের মেয়েরা ১৬১ রানে অল আউট হয়ে যায়। এক মাত্র অলরাউন্ডার নাতালি স্কিভার (৮৫) ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান তুলতে পারেননি শিখা ও ঝুলনের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে। জবাবে ৪১.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যান মিতালিরা দুটি পার্টনারশিপের সৌজন্যে। মন্ধানা এবং পুনম রাউতের (৩২) মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ এবং তৃতীয় উইকেটে মন্ধানার সঙ্গে মিতালির ৬৬ রানের পার্টনারশিপই ভারতকে ৭ উইকেটে জয় এনে দেয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভারতের মেয়েরা ৬৬ রানে জিতেছিল।

ম্যাচের পরে ভারতের অধিনায়ক মিতালি বলেন, ‘‘প্রথমার্ধটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। যদি ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতাম, তা হলেও। পরের দিকে উইকেট খুব সহজ হয়ে যায় ব্যাটিংয়ের জন্য। কারণ এখানকার পিচ খুব ভাল করে রোল করা। ইংল্যান্ড ১০ নম্বর উইকেটে যে পার্টনারশিপটা পেল (৪২ রানের) তাতে আমি কিছুটা হতাশ। তবে ১৫০-এর আশপাশে রান তোলার লক্ষ্য থাকায় আমি জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’’

এই ম্যাচেই আবার ওয়ান ডে-তে নিজের সেরা বোলিং করলেন শিখা। যিনি এই পারফরম্যান্সের জন্য কোচ ডব্লিউ ভি রামনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। ম্যাচের পরে শিখা বলেছেন, ‘‘কয়েকটা টেকনিক্যাল ব্যাপারে আমার সমস্যা হচ্ছিল। সেগুলো রামন স্যর আমায় ধরিয়ে দেন। খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম উনি এগুলো ধরিয়ে দেওয়ার পরে। আগে তো বুঝতেই পারিনি সমস্যাগুলো। এগুলো প্রচুর সাহায্য করেছে।’’ পাশাপাশি ম্যাচের সেরা ঝুলন বলেন, ‘‘আমার কাজ ছিল প্রথম দিকেই উইকেট তুলে বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়া এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করে যাওয়া। ঠিক জায়গায় বল রাখতে পেরে আমি খুশি। চেয়েছিলাম ধারাবাহিক ভাবে একই জায়গায় বলটা রেখে যেতে এবং ব্যাটসম্যানের ভুলের অপেক্ষা করতে।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘পাওয়ার প্লে-তে বোলিং করার সময় একটা দ্বিতীয় পরিকল্পনা থাকা উচিত। এক রকম খেলে গেলে চলে না। তাই আমি বোলিংটা উপভোগ করার চেষ্টা করে গিয়েছি।’’

ঝুলনের প্রশংসা করেন তাঁর সতীর্থ শিখাও, ‘‘ঝুলনদিদির কাছ থেকে প্রচুর শিখেছি। যে রকম ঝুলনদিদি পরিশ্রম করে সেটা থেকে শেখার চেষ্টা করি। ৩৫-৩৬ বছর বয়সেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত এত ভাল বোলিং করে যাচ্ছে ঝুলনদিদি। মাঠে আজ দ্বিতীয় স্পেলে ও যে ভাবে পাল্টা লড়াই করল সেটা থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। পেসাররা উইকেট পেলে খুব আনন্দ হয়। আজ আমরা দু’জনে মিলে আট উইকেট নিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE