শ্রীলঙ্কার টিমটা এখন পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের ওপরই নির্ভর করে আছে। বৃহস্পতিবার যদি ব্যাটসম্যানরা বাজার করে আনতে পারে, তা হলে ওরা আরও একটা দিন বেঁচে থাকবে।
ওদের বোলারদের যা হাল, তাতে বৃহস্পতিবার ওভালের নির্জীব পিচে ফুল ফোটানো প্রায় অসম্ভবেরই সমান। তাও আবার উল্টোদিকে ভারত। যারা এখন ক্রিকেটের মস্তান। বিরাট কোহালির দলের ব্যাটসম্যানদের জব্দ করার কথা ভাবতেও এখন কষ্ট পেতে হবে লাসিথ মালিঙ্গা ও তার সতীর্থদের।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা, যুবরাজ সিংহদের দেখে একবারও মনে হয়নি যে কয়েক ঘণ্টা আগেও ওদের পারফরম্যান্স কেমন হবে, তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ ছিল। একজন ইনিংসের ভিত তৈরি করল, অন্যজন সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে গোটা ইমারতটা গড়ে দিল। প্রায় ঘণ্টাখানেক ছাড়া ছাড়া বৃষ্টি নামা সত্ত্বেও ওদের ছন্দ নষ্ট হয়নি। ধবন আর কোহালিরাও যে ব্যাটিং করল, তাতে ওরা নিজেরা খুশিই হবে। এর পর আরও অনেকে থাকছে, যারা ইচ্ছেমতো বিপক্ষকে আঘাত করতে পারে।
শ্রীলঙ্কা ফিল্ডিং করতে নামলে নতুন বল এখনও তুলে দেওয়া হচ্ছে হয় লাসিথ মালিঙ্গা, নয় নুয়ান কুলশেখরার হাতে। এর থেকেই বোঝা যায় শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের গভীরতা কতটা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে স্পিনাররা আর কতটাই বা কী করতে পারে।
কাল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপে কয়েকজনের কাজ হবে ভারতের তিন-চারজন ব্যাটসম্যানের পর্যায়ে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। কিন্তু সেই সম্ভাবনা তো ওভালে প্রথম বল পড়ার আগেই মনে হয় নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। স্লো ওভার রেটের জন্য ওদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক উপুল থরঙ্গাই তো পরের দু’টো ম্যাচে সাসপেন্ড হয়ে বসে আছে। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্মান বেচারার কাছে কাঁটার মুকুটে পরিণত হল।
আরও পড়ুন: অশ্বিনের ফেরা কঠিন, বিষাদ শামিকে নিয়ে
আশা করি অ্যাঞ্জেলো ম্যথেউজ মাঠে ফিরবে। দুঃসময়ে ও-ই বরাবর দলের মুশকিল আসান হয়ে ওঠে। নিজে মহানায়ক না হয়ে উঠেও কিন্তু দলকে অনেকবার নানা বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে ওদের ক্যাপ্টেন। এ বারও ওকে সে রকমই একটা কিছু করতে হবে। তবে ওদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সেরা দিনে কিন্তু ভারতীয় বোলারদের তীব্রতা আরও বাড়াতে হবে।
তবে ভারতীয় ফিল্ডারদেরও আরও বেশি তৎপরতা দরকার। রবিবার ও রকম একটা বড় ম্যাচ জেতার পরেও বিরাটের প্রশংসা না পাওয়াটা কিন্তু ফিল্ডারদের আহত করবে। সব টিমকেই বিরাট বুঝিয়ে দিতে চায়, ভারতীয় দলের শক্তি কতটা। আর এটা করতে গেলে সবাইকে পাশে পাওয়া দরকার অধিনায়কের।