আক্রান্ত: ট্রেন্টব্রিজের হারে আঙুল উঠছে ধোনির দিকে। ফাইল চিত্র
ওয়ান ডে-তে তাঁর দশ হাজার রান ও তিনশো ক্যাচ পূর্ণ করার দিনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে লর্ডসের গ্যালারি থেকে কটূক্তি শুনতে হল শনিবার! যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। মাঠে দাঁড়িয়েই দর্শকদের এই আচরণের সমালোচনা করেন তিনি।
শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ৩৭ বলে ৫৮ রান করার পরেও ধোনিকে দলের হারের পরে গ্যালারি থেকে কটূক্তি শুনতে হয়। ৩২২ রান তাড়া করতে নামা ভারতকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে না পারার জন্যই তাঁর উদ্দেশে কটূক্তি করেন ভারতীয় সমর্থকরাই। যা ইংল্যান্ডের জয়ের নায়কের কাছেই বিস্ময়কর লেগেছে।
এই ঘটনায় বিরক্ত বিরাট বলেন, ‘‘যখনই এমএস ওর মতো খেলে না, তখনই ওকে নিয়ে এ সব হয়। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’ সমর্থকদেরই দোষ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যখন ও ভাল কিছু করে, তখন লোকে বলে ধোনিই সর্বকালের সেরা ফিনিশার। কিন্তু যখন কোনও কিছুই ঠিকঠাক হয় না, তখন সবাই ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সবাই।’’ শনিবার ৪৬ ওভার শুরুর আগেই ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। কারণ, তখন ৩০ বলে ১১০ রান দরকার ছিল জেতার জন্য। ডেভিড উইলির প্রথম চার বলে ধোনি একটিও রান করতে না পারায় সমর্থকরা অধৈর্য হয়ে পড়েন। প্রতিটা ডট বলের পরে গ্যালারি থেকে কটূক্তি উড়ে আসছিল বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের উদ্দেশে। ক্রিকেটবিশ্ব জুড়ে তাঁরা লক্ষ লক্ষ ভক্ত থাকলেও তাঁরা বিরক্ত হয়ে উঠলে যে কী হতে পারে, তা টের পাচ্ছিলেন ধোনি।
সেই ওভারের পরে শার্দূল ঠাকুর ও অক্ষর পটেল প্যাভিলিয়ন থেকে জলের বোতল ও ব্যাট হাতে মাঠে ঢোকেন। তখনই ধোনিকে রানের গতি বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হয় কি না, সেই প্রশ্ন ওঠে কমেন্ট্রি বক্সে। খেলার পরে সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য যুজবেন্দ্র চহাল তা অস্বীকার করেন। বলেন, ‘‘তেমন কোনও বার্তা তখন পাঠানো হয়েছে বলে মনে হয় না।’’ পরের ওভারের প্রথম বলেই ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ধোনি। তখন কটূক্তি আরও বাড়ে।
কোহালি বলেন, ‘‘ইনিংসটা আরও টেনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। এমএসের সেই অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু মাঝে মাঝে সব কিছু ঠিক হয় না। ওর ওপর যথেষ্ট আস্থা আছে আমাদের। সবার ওপরই আছে।’’ এক বছর পরেই বিশ্বকাপ, আর ভারতের বিশ্বকাপ-পরিকল্পনায় ধোনি ভাল ভাবেই রয়েছেন বলে অধিনায়ক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন।
ধোনির এ ভাবে নিজের দেশের সমর্থকদের দ্বারা হেনস্তা হওয়ার ঘটনাতে অবাক ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক জো রুট। বলেন, ‘‘এটা অবশ্যই বিস্ময়কর। তবে আমাদের এ সব নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। আমরা পেশাদার। যতটা নির্দয় হওয়ার, ততটাই হতে পারি আমরা। নিজেদের খেলা নিয়েই এখন আমরা বেশি ভাবছি। ভারতের নয়।’’
মঙ্গলবার সিরিজের শেষ ম্যাচেই ফয়সালা হবে। শেষ ম্যাচ নিয়ে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। সে জন্য নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে সবাইকে। এতদিন আমরা ভালই খেলেছি। আজ একটা খারাপ দিন গেল। এত দিন বুমরা আর ভুবি বোলিংটা ভাল করছিল। এখন ওরা কেউই নেই। সেটা মাথায় রাখতে হবে। উমেশ, সিদ্ধার্থদের সময় দিতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy