Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

এই ডাকটার জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করেছি

আইপিএলে তিনিই প্রথম ভারতীয় সেঞ্চুরিয়ন। কিন্তু সে ২০০৯-এর কথা। তার পর মণীশ পাণ্ডের ভারতীয় দলে ডাক পেতে কেটে গেল আরও ছ’বছর। এই ছ’বছরের ওঠা-পড়া ও ভবিষ্যতের ভাবনার কথা আনন্দবাজারকে শোনালেন কেকেআর ও কর্নাটকের এই তরুণ ব্যাটসম্যান।আইপিএলে তিনিই প্রথম ভারতীয় সেঞ্চুরিয়ন। কিন্তু সে ২০০৯-এর কথা। তার পর মণীশ পাণ্ডের ভারতীয় দলে ডাক পেতে কেটে গেল আরও ছ’বছর। এই ছ’বছরের ওঠা-পড়া ও ভবিষ্যতের ভাবনার কথা আনন্দবাজারকে শোনালেন কেকেআর ও কর্নাটকের এই তরুণ ব্যাটসম্যান।

মণীশ পাণ্ডে। সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ।

মণীশ পাণ্ডে। সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ।

চেতন নারুলা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ০২:৩৩
Share: Save:

প্রশ্ন: ছ’বছর আগের সেই সেঞ্চুরির বেশ কয়েক বছর পর ডাক এল ভারতীয় দলে। জিম্বাবোয়ে সফরের জন্য নির্বাচিত হওয়ার খবর যখন পেলেন, কেমন লাগছিল?

মণীশ: যে কোনও ক্রিকেটারের স্বপ্নই হল দেশের হয়ে খেলা। যত তাড়াতাড়ি ডাক আসে, ততই ভাল। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে যে কোনও কারণেই অনেক দেরি হল। আইপিএলের সেই সেঞ্চুরির পর থেকেই আশা করে বসেছিলাম। কিন্তু তার পর চোট-আঘাতে ভুগতে হয়। যার জন্য তেমন ভাল পারফরম্যান্সও দেখাতে পারিনি। এই কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এবং যা শিখিয়েছে, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি আমি। যথাসম্ভব পরিশ্রম করেছি। পরের লেভেলে যাওয়ার জন্য একের পর এক ম্যাচ খেলেছি। ডাক পাওয়াটা আমার কাছে বিশাল ব্যাপার।

প্রশ্ন: শুধু আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্নাটকের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও আপনাকে সুযোগ করে দিয়েছে। ব্যালান্স করেন কী করে?

মণীশ: এটা অভিজ্ঞতা দিয়ে অর্জন করা। লম্বা ফরম্যাটে অনেকক্ষণ ধরে ব্যাট করে ইনিংস গড়া যায়। একজন ক্রিকেটারের উন্নতির জন্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটটা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আইপিএলে সারা দুনিয়ার অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে খেলে অন্যরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের কাছে এই দুটো ফরম্যাটের সঙ্গেই মানিয়ে নেওয়ার তাগিদটা খুব কাজে লাগে। ব্যালান্স করাটা পরিস্থিতি থেকেই শিখতে হয়।

প্রশ্ন: কোনও নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কোনও বিশেষ পারফরম্যান্সই কি আপনাকে ভারতীয় দলে ডাক পেতে সাহায্য করেছে? কী মনে হয়?

মণীশ: আমার মনে হয় গত বার ইরানি ট্রফির সেঞ্চুরিটা এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করেছে। কর্নাটকের হয়ে মরসুমটাও ভাল কেটেছে। আইপিএলের কোনও একটা ইনিংসকে অবশ্য নির্দিষ্ট ভাবে বাছা কঠিন। সব মিলিয়ে ২০১৪-র মরসুমটা খুব ভাল কেটেছে আমার। সেই ছন্দটা এই বছরেও ধরে রাখতে পেরেছি।

প্রশ্ন: আপনি আইপিএলে নাইট রাইডার্সের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন। কেকেআরের অভিজ্ঞতা আপনাকে কতটা সাহায্য করেছে?

মণীশ: আসলে দলটার মধ্যে সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে একাধিক বড় ক্রিকেটার রয়েছেন। ওঁরা যখন আমাদের মতো তরুণদের মধ্যে ভরপুর আত্মবিশ্বাস তৈরির চেষ্টা করেন, তখন আমাদের উপর পুরো আস্থা রেখেই সেটা করেন। আমাদের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং ওঁরা সবসময়ই আমাদের সাহায্য করেন। এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি। গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্ব সত্যিই প্রেরণায় জোগায়। কেকেআরে যোগ দেওয়ার আগে ওর সঙ্গে বেশি খেলিনি। কিন্তু ওর সঙ্গে খেলাটা সত্যিই বড় অভিজ্ঞতা। আর আছেন জাক কালিস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন ওঁর সঙ্গে খেলেছিলাম। তাই ওকে বরাবরই পেয়েছি। ওরা দু’জন দু’ধরণের ক্রিকেটার হলেও দু’জনের কাছ থেকেই অনেক শিখেছি।

প্র: অন্য কোনও ক্রিকেটারের কাছে থেকে প্রেরণা পান?

মণীশ: রাহুল দ্রাবিড়ের কথা বলতেই হবে। ওঁর কাছে সবসময়ই শিখতে চাই। উনি যেহেতু বেঙ্গালুরুতে থাকেন আর কর্নাটক ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত, তাই ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা আমার পক্ষে সোজা। ওঁর টিপস আমার কাছে মহামূল্যবান।

প্র: জিম্বাবোয়ে সফর তো ছোট। সামনে আরও লম্বা মরসুম। কী আশা করছেন?

মণীশ: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন করে শুরু আমার। ভারতীয় দলে পাকাপাকি একটা জায়গা করতে চাই। এর পরেও সুযোগের অপেক্ষায় থাকব। জিম্বাবোয়ে ছোট সফর ঠিকই, তবে পাঁচটা ম্যাচ খেলতে হবে। সুযোগ পেলে যথাসাধ্য রান করব। এটাই আমার লক্ষ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE