IPL 2019: Is Virat Kohli captaincy responsible for RCB's dismal performance dgtl
Sports news
বিরাটের অধিনায়কত্বের ভুলেই কি আইপিএলে পরপর হার বেঙ্গালুরুর?
অধিনায়কত্বের ভুলটা কী রকম? দল গঠনে ত্রুটি, ঠিক সময়ে ঠিক লোককে দিয়ে বল না করানো, ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করা...
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৯
একদিকে টানটান ম্যাচ এবং একটার পর একটা দুর্ধর্ষ জয়। অন্য দিকটা দিনে দিনে ফিকে হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, হারের বোঝায় ঘাড় ভারী হয়ে যাচ্ছে বিরাট-সেনার। গতকাল নাইটদের সঙ্গে খেলতে নেমে পঞ্চম পরাজয়টাও ঘাড়ে চাপল তাদের। ক্রিকেট দুনিয়ায় ব্যাটিংয়ের রাজা বিরাটের দলের এই করুণ পরিস্থিতির কারণ কী?
০২০৯
অনেকের মতে, অধিনায়কত্বের ভুলই সর্বনাশ ডেকে আনছে বেঙ্গালুরুর। কারও মতে আবার জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় টিম সাজানো এবং পরিচালনায় যে গুরুত্ব দেন বিরাট, আইপিএলে তা দিচ্ছেন না। সেই ‘জোশ’ যেন উধাও। সেই কারণেই পরপর পরাজয়। আইপিএলকে জাতীয় দলের থেকে কম গুরুত্ব দেওয়ার কথা বিরাট অবশ্য নিজেও স্বীকার করেছিলেন।
০৩০৯
অধিনায়কত্বের ভুলটা কী রকম? দল গঠনে ত্রুটি, ঠিক সময়ে ঠিক লোককে দিয়ে বল না করানো, ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করা... তালিকায় রয়েছে অনেক কিছু। যেমনটা হয়েছে গতকালের নাইটদের সঙ্গে ম্যাচেও।
০৪০৯
পবন নেগি যখন প্রথম দু’ওভারে ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দিয়েছে নাইটদের, তখনই তাঁকে চার ওভার করানো উচিত ছিল। বিরাট সেটা করাননি। যখন বল পড়ে দ্রুত ব্যাটে আসছিল, তখন নেগির স্পিন কাজে আসতই, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
০৫০৯
যেখানে পুরো ম্যাচ স্পিনাররাই রাজত্ব করে গেল, সেখানে নাইটদের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচে মইন আলিকে একটা বলও করতে দেননি বিরাট। মইনের অফস্পিন এই পিচে কাজে লাগত। বিরাট কী করে তাঁর কথা ভুলে গেলেন!
০৬০৯
ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো স্পিনারকে এখনও পর্যন্ত একটাও আইপিএল ম্যাচ খেলতে দেননি। ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে এত সফল বিরাট কী ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
০৭০৯
অথচ পরিস্থিতি এরকম হওয়ার কথা ছিল না। টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক। জবরদস্ত ব্যাট করে বেঙ্গালুরু। বিরাট আর পার্থিবের যুগলবন্দি ১০৮ রান তুলে ফেলে। পরে এবি-র ব্যাটে ভর করে বেঙ্গালুরুর রান দাঁড়ায় ২০৫।
০৮০৯
নাইটদের সামনে টার্গেট ২০৬ রান। যা বড় চ্যালেঞ্জ। শুরুটা নাইটরাও ভাল করেছিল। কিন্তু শেষে ১৮ বলে ৫৩ রান বাকি থাকা অবস্থায় দীনেশ কার্তিক আউট হয়ে যান।
০৯০৯
ক্রিজে নামেন আন্দ্রে রাসেল। তিন ওভারের বদলে মাত্র দু’ওভারেই একের পর এক ছক্কা হাকিয়ে রান তুলে নেন রাসেল। প্রথমে সিরাজ, তারপর স্টোইনিস এবং সব শেষে সাউদি। ম্যাচ জিতিয়ে দেন রাসেল।