১৯৮৩ সালে গ্বালিয়র ছেড়ে দিল্লি চলে যান পীযূষ। সেখানে গিয়ে ‘ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা’য় প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান তিনি। তিন বছর সেখানে নাটক নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। দিল্লিতে থাকার সময় জার্মান পরিচালক ফ্রিৎজ় বেন্নেভিৎজ়ের নজরে পড়েছিলেন পীযূষ। ‘হ্যামলেট’ নাটকে অভিনয় করে সকলের প্রশংসা কুড়োন তিনি।
কিশোর বয়সে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন পীযূষ। এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘‘সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার প্রথম অভিজ্ঞতা সুন্দর হওয়া উচিত। পরস্পরকে ভালবাসার একটা মাধ্যম সেটি। কিন্তু কারও সেই অভিজ্ঞতা খারাপ হলে তা সারা জীবনে একটা ছাপ ফেলে দেয়। বহু দিন এই খারাপ স্মৃতি আমায় তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল।’’
চিকিৎসার পাশাপাশি ধ্যান এবং আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নিয়েছিলেন পীযূষ। বহু চেষ্টার পর মদের প্রতি আসক্তি কেটে যায় তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘‘নেশা বড় সর্বনাশা। আমি মদের নেশায় চুর হয়ে যেতাম। নিজের প্রচুর ক্ষতি করেছি নেশার কারণে। কেরিয়ারে আরও বড় জায়গায় যেতে পারতাম। আমার অন্তরের সৃজনশীলতা ধ্বংস করে দিয়েছিল। স্ত্রীকেও ঠকিয়েছিলাম আমি।’’
পরকীয়া সম্পর্কে পীযূষ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছিল, প্রিয়াকে (পীযূষের স্ত্রী) সব কিছু জানিয়ে দিলে আমার সব পাপ ধুয়ে যাবে। আমি আবার শান্তি ফিরে পাব। আমি যে বিয়ের পর ওকে ঠকিয়েছিলাম, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম— সে সব কথা স্বীকার করে নিয়েছিলাম। প্রিয়া আমায় ক্ষমাও করে দিয়েছিল। ওকে সব জানিয়ে আমি যেন মুক্তি পেয়েছি।’’
পীযূষের পরকীয়ার ব্যাপারে জানতে পেরে প্রিয়া নাকি বলেছিলেন, ‘‘ঠিক আছে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। কিছু ভুল তুমি করেছ, কিছু ভুল আমি করেছি। তুমি সত্য স্বীকার করে ফেলেছ। তোমার মনেও কোনও কলঙ্ক নেই। আমাদের উচিত অতীত ভুলে আনন্দে জীবন কাটানো।’’ স্ত্রীর কাছে এই কথা শুনে পীযূষের মনের ভিতরের ঝড় যেন একেবারেই শান্ত হয়ে গিয়েছিল। এমনটাই দাবি করেন অভিনেতা।
নাম প্রকাশ না করে অন্য এক তরুণীও পীযূষের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তরুণীর কথায়, দিল্লিতে অভিনেতার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন তিনি। দূর থেকে মদের গন্ধ পেয়ে তাঁর গা গুলিয়ে উঠেছিল। তরুণীকে দেখে তাঁকে নাকি বিশ্রী ভাবে সিগারেট আনার আদেশ দিয়েছিলেন পীযূষ। এমনকি, সাক্ষাৎকার শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তরুণীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিলেন অভিনেতা। এই প্রসঙ্গে অবশ্য অভিনেতা কিছু বলেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘নাম লুকিয়ে কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই। পুরো ঘটনার উল্লেখ করে সরাসরি আমায় কিছু বললে তবেই আমি আমার মত জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy