Advertisement
E-Paper

আগুন জ্বালালেন নাগারকোটি-মাভিরা, রাজস্থানকে ৩৭ রানে হারাল কলকাতা

দলের মালিক শাহরুখ খানের সামনে দাপুটে জয় কলকাতার।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:২৬
প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছিল কলকাতা। পর পর দু' ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়াল কেকেআর।

প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছিল কলকাতা। পর পর দু' ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়াল কেকেআর।

দলের খেলা দুবাইয়ে। ছেলেদের উৎসাহ দিতে মাঠে চলে এসেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। কিং খানের সামনেই দাপুটে পারফরম্যান্স তুলে ধরলেন দীনেশ কার্তিক-শুভমন গিলরা।

কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ভাবে ম্যাচ জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস। তাঁদের দলের দুই ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন ও রাহুল তেওয়াটিয়া বিপক্ষ বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন। এ রকম একটা দলের বিরুদ্ধে একপেশে ভাবে ম্যাচ জিতে নিল কলকাতা। দুবাইয়ে রাজস্থানকে ৩৭ রানে উড়িয়ে দিয়ে দীনেশ কার্তিকরা হয়তো বার্তা দিলেন, কেকেআর, হ্যায় তৈয়ার।

প্রথম ম্যাচে প্যাট কামিন্স নজর কাড়তে পারেননি। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ান অজি পেসার। এ দিনও বল হাতে আগুন জ্বালালেন। কলকাতার হাতে ১৭৪ রানের পুঁজি। রান তাড়া করতে নেমেছেন স্টিভ স্মিথ ও জস বাটলার। নিজের প্রথম ওভারেই স্বদেশীয় স্মিথকে ফিরিয়ে দেন কামিন্স। দু' জনেই জানেন একে অপরের শক্তি-দুর্বলতা।এদিনের লড়াইয়ে জিতলেন কামিন্সই। যে বলে স্মিথ আউট হন, তার আগের বলেও ক্যাচ তুলে বেঁচে গিয়েছিলন। ইনিংসের শুরু থেকেই কেন যে তিনি মারতে গেলেন, তা নিয়ে তেতো প্রশ্ন গিলতে হতে পারে তাঁকে।

আরও পড়ুন: ডাক পান না আইপিএল-এও, বিশ্বকাপ জেতানো বিস্মৃত নায়ক এখন করোনা-যোদ্ধা

রাজস্থানের প্রথম দুটো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিলেন সঞ্জু। সেই ম্যাচগুলোয় তাঁর ক্লিন হিটগুলো আছড়ে পড়েছিল মাঠের বাইরে। জাতীয় দলের দরজা তাঁর জন্য কেন খোলে না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। এ দিন স্মিথ ফেরার পরে তাঁর উপরে নির্ভর করেছিল রাজস্থান। শিবম মাভি তাঁকে আউট করেন। মাত্র ৮ রানে ডাগ আউটে ফিরতে হয় সঞ্জুকে। চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। সেই চাপ আর কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে।

বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিড়ে কলকাতার দুই তরুণ ভারতীয় পেসার আগুন জ্বাললেন। নিজের প্রথম ওভারে কমলেশ নাগারকোটি দুটো উইকেট নেন। চোটের জন্য দু' বছর খেলতে পারেননি নাগারকোটি। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে মাভি ও নাগারকোটির গতি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং।

এ দিন দুই তরুণ বোলার দারুণ ছন্দে বল করলেন। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাঁর বোলারদের ব্যবহার করেছেন। সুনীল নারিনকে প্রথম ওভার দেন। কিন্তু কামিন্স, মাভি ও নাগারকোটি যখন গতির ঝড় তুলছেন, তখন তাঁদের আক্রমণ থেকে সরাননি। উল্টে মাভিদের দিয়ে নাগাড়ে বল করিয়ে রাজস্থানের উপরে চাপ বাড়িয়ে গিয়েছেন।

পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গেম চেঞ্জার ছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। শেলডন কটরেলের ওভারে পাঁচটা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। সেদিন মারকুটে তেওয়াটিয়াকে দরকার ছিল রাজস্থানের। এ দিন ভিন্ন পরিস্থিতি ছিল। তেওয়াটিয়ার (১৪) কাছ থেকে পরিণত ক্রিকেট দেখতে চেয়েছিলেন অনেকে। বরুণ চক্রবর্তীকে অযথা আক্রমণ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন গত ম্যাচের নায়ক। রাজস্থানের আট জন ব্যাটসম্যান দু' অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। টম কারেন দলের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। কিন্তু ম্যাচ অনেক আগেই হেরে গিয়েছিল রাজস্থান। মাভি, নাগারকোটি ও বরুণ দু'টি করে উইকেট নেন। কামিন্স, কুলদীপ যাদব ও নারিনের নামের পাশে লেখা এক উইকেট। ২০ ওভারে রাজস্থান থেমে যায় ৯ উইকেটে ১৩৭ রানে।

টস জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন স্মিথ। ২.৫ ওভারে জয়দেব উনাদকড়ের বলে সুনীল নারিনের ক্যাচ ফেলেন প্রাক্তন নাইট রবিন উত্থাপ্পা। সেই উনাদকড়ই পরে বোল্ড করলেন নারিনকে (১৫)। রাহুল তেওয়াটিয়া ফেরান নীতীশ রাণাকে (২২)। জমে যাওয়া শুভমন গিলকে (৪৭) আউট করেন জোফ্রা আর্চার। আর্চারের বল বুঝতেই পারেননি গিল। আর্চারের দুরন্ত ডেলিভারিতে আউট হন কলকাতা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক (১)। ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা হয়েছিল আন্দ্রে রাসেলকে। ১৪ বলে ২৪ রানে আউট হন তিনি। যখন ভয়ঙ্কর হতে শুরু করেছেন রাসেল, ঠিক তখনই ইন্দ্রপতন। অঙ্কিত রাজপুতের শিকার রাসেল। মর্গ্যান শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ২৩ বলে ৩৪ রান করায় কলকাতা পৌঁছয় ৬ উইকেটে ১৭৪-এ। আর বল করতে নেমে কলকাতার বোলাররা দাপট দেখালেন। তাতেই মাটি ধরল রাজস্থান।

KKR IPL 2020 RR
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy