Advertisement
E-Paper

শিখরের সেঞ্চুরি, শেষ ওভারে তিন ছক্কায় অক্ষর জেতালেন দিল্লিকে

দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বরে নেমে ধোনি ফিরলেন মাত্র ৩ রানে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ২০:২০
আক্রমণাত্মক শিখর। ছবি: আইপিএল।

আক্রমণাত্মক শিখর। ছবি: আইপিএল।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বল দিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাডেজাকে। আর সেই সিদ্ধান্তই হয়ে উঠল চরম ভুল। তিন ছক্কায় ম্যাচ বের করে নিলেন অক্ষর প্যাটেল। এক বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটে জিতল দিল্লি ক্যাপিটালস (১৮৫-৫)। একই সঙ্গে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এল তারা।

জয়ের নায়ক অবশ্যই শিখর ধওয়ন। ৫৮ বলে অপরাজিত থাকলেন ১০১ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও ১টি ছয়। এক দিক থেকে দিল্লি ক্যাপিটালসকে টানলেন তিনি। শেষ ওভারে জেতার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু, বাজিমাত করে দিলেন অক্ষর (৫ বলে অপরাজিত ২১)। ক্রিজে দুই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্য়ান থাকার পর কেন জাডেজাকে বল দিলেন ধোনি, প্রশ্ন উঠে গেল ম্যাচের পর।

রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল দিল্লি। প্রথম ওভারেই ফিরেছিলেন পৃথ্বী শ (২ বলে ০)। দীপক চাহারের দ্বিতীয় বলেই তাঁকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন ডান হাতি ওপেনার। চাহারই ফের আঘাত হেনেছিলেন। তাঁর বলে পয়েন্টে স্যাম কারেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে (১০ বলে ৮)। ৪.১ ওভারে ২৬ রানে পড়েছিল দ্বিতীয় উইকেট। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে দিল্লি তুলেছিল ৪১।

পাওয়ারপ্লে-র মধ্যে ৩ ওভার করে ফেলেছিলেন দীপক। ১২ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ধোনি তাঁর কোটা শেষ করে দিলেন ৮ম ওভারেই। তাঁর স্পেল ৪-১-১৮-২।

তৃতীয় উইকেটের জুটিতে দিল্লিকে টানছিলেন শিখর ধওয়ন ও শ্রেয়স আইয়ার। দু’জনে যোগ করেছিলেন ৬৮ রান। দিল্লির তৃতীয় উইকেট পড়েছিল ৯৪। ২৩ বলে ২৩ করে ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে দু’প্লেসিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু, এক প্রান্ত থেকে শিখর ভরসা দিচ্ছিলেন। আইপিএলে তাঁর ৪০তম পঞ্চাশ এসেছিল ২৯ বলে, ৮টি চারের সাহায্যে।

শেষ ৬ ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৬২ রান। সেটাই ক্রমশ দাঁড়াল ৩০ বলে ৫১, ২৪ বলে ৪১, ১২ বলে ২১ রানে। শিখরই ভরসা দিলেন। মার্কাস স্টোয়নিস (১৪ বলে ২৪) ফিরে গিয়ে অবশ্য চাপ বাড়িয়েছিলেন। শার্দূল ঠাকুরের বলে অম্বাতি রায়ুডুকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির চতুর্থ উইকেট পড়েছিল ১৫.৪ ওভারে ১৩৭ রানে। পঞ্চম উইকেট পড়েছিল ১৫৯ রানে। অ্যালেক্স ক্যারি (৭ বলে ৪) ফিরেছিলেন স্য়াম কারেনের বলে। কিন্তু, শিখর গতি বাড়ালেন ঠিক সময়। পাশে পেলেন অক্ষরকে। দু’জনে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ১০ বলে যোগ করলেন ২৬ রান। এক বল বাকি থাকতে ম্যাচ শেষ করে দিলেন অক্ষর।

তার আগে চেন্নাই ইনিংসের শেষের দিকে ঝড় তুলেছিলেন অম্বাতি রায়ুডু ও রবীন্দ্র জাডেজা। দু’জনের জুটিতে ২১ বলে উঠেছিল ৫০। যার ফলে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস তুলেছিল ১৭৯। ২৫ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন রায়ুডু। মেরেছিলেন ৪টি ছয় ও ১টি চার। জাডেজা ১৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৪টি ছয়ে।

এই ম্যাচেও রান পাননি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বরে নেমে ফিরেছিলেন মাত্র ৩ রানে। আনরিখ নোখিয়ার বলে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ধোনির ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছিল রায়ুডু-জাডেজার জুটি।

দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চেন্নাই সুপার কিংসের। তৃতীয় বলেই ফিরেছিলেন স্যাম কারেন (৩ বলে ০)। তুষার দেশপান্ডের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছিলেন নোখিয়া।

আরও পড়ুন: ২২ বলে ৫৫, রাজস্থানের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ইনিংসে জয় ছিনিয়ে আনলেন ডিভিলিয়ার্স

আরও পড়ুন: আলোর দুর্দান্ত ব্যবহার থেকে কাঠের আসবাব, জাহির-সাগরিকার বাড়ির অন্দরসজ্জা আপনার মন ভরিয়ে দেবে​

সেই ধাক্কা সামলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন শেন ওয়াটসন ও ফাফ দু’প্লেসি। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনের জুটিতে যোগ হয়েছিল ৮৭ রান। ২৮ বলে ৩৬ করে নোখিয়ার বলে বোল্ড হয়েছিলেন তিনে নামা ওয়াটসন। ১০৯ রানে পড়েছিল চেন্নাইয়ের তৃতীয় উইকেট। কাগিসো রাবাদার বলে শিখর ধওয়নকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন দু’প্লেসি (৪৭ বলে ৫৮)। তাঁর পঞ্চাশ এসেছিল ৩৯ বলে। দু’প্লেসির ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছয়।

চার নম্বরে নেমেছিলেন রায়ুডু, পাঁচে এসেছিলেন ধোনি। যখন ক্রিজে এসেছিলেন এমএসডি, তখন ইনিংসে আর ৩২ বল বাকি ছিল। কিন্তু ৫ বলের বেশি তিনি স্থায়ী হলেন না ক্রিজে। ১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চেন্নাইয়ের। নোখিয়ার দ্বিতীয় শিকার হয়েছিলেন ধোনি। তার পর ঝড় তুলেছিলেন রায়ুডু-জাডেজা। আইপিএলে ৩৫০০ রানও পার করেছিলেন রায়ুডু।

দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম এগারোয় একটি বদল এনেছিল চেন্নাই। লেগস্পিনার পীযূষ চাওলার জায়গায় দলে এসেছিলেন কেদার যাদব। দিল্লি দলে যদিও কোনও পরিবর্তন হয়নি। আগের ম্যাচে কাঁধে চোট পেলেও শ্রেয়স আইয়ারই টস করতে এসেছিলেন। তবে ঋষভ পন্থ সুস্থ হয়ে ওঠেননি। এই ম্যাচেও তাঁকে থাকতে হল বাইরে।

IPL 2020 Chennai Super Kings Delhi Capitals
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy