Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Kings XI Punjab

ইতিহাসে প্রথম ডাবল সুপার ওভার, নাটকীয় জয় পঞ্জাবের

দ্বিতীয় সুপার ওভারে জেতার জন্য পঞ্জাবের দরকার ছিল ১২ রান। 

দ্বিতীয় সুপার ওভারে জিতিয়ে উচ্ছ্বসিত ময়াঙ্ক। ছবি: আইপিএল।

দ্বিতীয় সুপার ওভারে জিতিয়ে উচ্ছ্বসিত ময়াঙ্ক। ছবি: আইপিএল।

সংবাদ সংস্থা
দুবাই শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২০ ২১:২৮
Share: Save:

টানটান উত্তেজনার মধ্যে দ্বিতীয় সুপার ওভারে জিতল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। জিতে ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্টে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এল লোকেশ রাহুলের দল। অন্য দিকে, ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে রোহিত শর্মার দল থাকল দ্বিতীয় স্থানেই।

৪০ ওভারের ম্যাচের পর টাই হয়েছিল পঞ্জাব-মুম্বই ম্যাচের প্রথম সুপার ওভারও। ইতিহাসে এই প্রথম ম্যাচ গড়িয়েছিল ডাবল সুপার ওভারে। ফলে, দ্বিতীয় সুপার ওভারে মুম্বইয়ের হয়ে ব্যাট করতে এসেছিলেন কায়রন পোলার্ড ও হার্দিক পান্ড্য। ক্রিস জর্ডনের সেই ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ওঠে ১১। শেষ বলে ময়াঙ্ক আগরওয়াল অবিশ্বাস্য ভাবে ছয় না বাঁচালে আরও বেশি রান তাড়া করতে হত পঞ্জাবকে।

জেতার জন্য পঞ্জাবের দরকার ছিল ১২ রান। ব্যাট করতে এসেছিলেন ক্রিস গেল ও ময়াঙ্ক। প্রথম বলেই ট্রেন্ট বোল্টকে ছয় মারলেন গেল। দ্বিতীয় বলে এল ১। তৃতীয় বলে চার মারলেন ময়াঙ্ক। পরের বলেও মারলেন চার। অবিশ্বাস্য জয় পেল পঞ্জাব।

বুম বুম বুমরার দাপটে প্রথম সুপার ওভারে পঞ্জাবকে ৫ রানে আটকে রেখেছিল মুম্বই। বুমরা এর আগে পঞ্জাবের ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। আর প্রথম সুপার ওভারে নিলেন ২ উইকেট। ফেরালেন নিকোলাস পুরান আর লোকেশ রাহুলকে। প্রথম সুপার ওভারে জেতার জন্য মুম্বইয়ের দরকার ছিল ৬ রান। মহম্মদ শামির প্রথম ৩ বলে উঠল ৩ রান। চতুর্থ বলে এল না রান। পঞ্চম বলে এল ১ রান। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হলেন কুইন্টন ডি’কক। ফলে, টাই হল প্রথম সুপার ওভার। যার কৃতিত্ব একের পর এক ইয়র্কার দিয়ে চলা শামির।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জবাবে অধিনায়ক কিংস ইলেভেন পঞ্জাবও ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৭৬। রবিবারের দুটো ম্যাচই হল টাই। দুটো ম্যাচই গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। তবে রাতের ম্যাচ একটা সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হল না। গড়াল দ্বিতীয় সুপার ওভারে।

তার আগে ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ওপেনিংয়ে ৩৩ রান তুলেছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল ও রাহুল। জশপ্রীত বুমরার বলে বোল্ড হয়েছিলেন ময়াঙ্ক (১০ বলে ১১)। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিস গেল ও রাহুল যোগ করেছিলেন ৪২ রান। রাহুল চাহারকে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফিরেছিলেন গেল (২১ বলে ২৪)। ৭৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিল পঞ্জাব। নিকোলাস পুরান (১২ বলে ২৪) আক্রমণাত্মক থাকলেও বেশিক্ষণ থাকেননি। বুমরার বলে ফিরেছিলেন তিনি। ১০৮ রানে পড়েছিল তৃতীয় উইকেট। চতুর্থ উইকেট পড়েছিল ১১৫ রানে। রাহুল চাহারের বলে ফিরেছিলেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল (২ বলে ০)।

এ বারের আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন লোকেশ রাহুল। অরেঞ্জ ক্য়াপেরও মালিক তিনি। এ দিন তাঁর পঞ্চাশ এসেছিল ৩৫ বলে। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে।

শেষ ৩ ওভারে পঞ্জাবের দরকার ছিল ২৭ রান। আর এই সময়েই মোক্ষম আঘাত হেনেছিলেন বুমরা। অসাধারণ ইয়র্কারে বোল্ড করেছিলেন রাহুলকে। ৫১ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে ৭টি চার ও ৩টি ছয় মেরেছিলেন কিংস অধিনায়ক। দেড়শো স্ট্রাইকরেটে টানছিলেন দলকে। তিনি যখন ফিরলেন তখন জেতার জন্য ১৫ বলে ২৪ রান দরকার ছিল পঞ্জাবের। ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বুমরাই লড়াইয়ে ফেরত এনেছিলেন মুম্বইকে।

সেটাই কমে দাঁড়াল ৯ বলে ১৫ রানে। শেষ ৬ বলে পঞ্জাবের দরকার ছিল ৯ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলেই ক্যাচ পড়েছিল দীপক হুদার। এল ১ রান। পরের বলে ক্রিস জর্ডনের ব্যাটে এল বাউন্ডারি। ৪ বলে তখন দরকার আর ৪ রান। সেটাই ক্রমশ দাঁড়াল ৩ বলে ৩, ২ বলে ৩, ১ বলে ২। শেষ বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হলেন জর্ডন (৮ বলে ১৩)। অপরাজিত থাকলেন হুদা (১৬ বলে ২৩)।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমার্ধের শুরুতে ৩৮ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল মুম্বইয়ের। ফিরে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা (৮ বলে ৯), সূর্যকুমার যাদব (৪ বলে ০) ও ঈশান কিষাণ (৭ বলে ৭)। সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে টানলেন কুইন্টন ডি’কক (৪৩ বলে ৫৩)। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি ছয় ও ৩টি চার।

ক্রুণাল পান্ড্য (৩০ বলে ৩৪) ও কুইন্টন চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রান যোগ করেছিলেন। ৯৬ রানে পড়েছিল মুম্বইয়ের চতুর্থ উইকেট। পঞ্চম উইকেট পড়েছিল ১১৬ রানে। হার্দিক পান্ড্য (৪ বলে ৮) বেশিক্ষণ থাকলেন না। কুইন্টনকে ফিরিয়ে এর পর মোক্ষম আঘাত হানল পঞ্জাব।ষষ্ঠ উইকেট পড়ল ১১৯ রানে। সেখান থেকে কায়রন পোলার্ড (১২ বলে ৩৪) ও নেথান কুল্টার-নিল (১২ বলে ২৪) অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ২১ বলে যোগ করলেন ৫৭ রান। এই জুটিই লড়াই করার মতো রানে পৌঁছে দিল স্কোর (১৭৬-৬)। পোলার্ডের ইনিংসে ছিল ৪টি ছয় ও ১টি চার।

আরও খবর: সুপার ওভারেও বিধ্বংসী ফার্গুসন, হায়দরাবাদকে হারাল কলকাতা

আরও খবর: ট্রফি নিয়ে বিজয়োৎসব, রাজপথে শোভাযাত্রা মোহনবাগান সমর্থকদের​

শুরুতে মুম্বই ইনিংসকে ধাক্কা দিয়েছিলেন পঞ্জাবের বাঁ-হাতি স্পিনার অর্শদীপ সিংহ। রোহিত ও ঈশানকে ফিরিয়েছিলেন তিনি। মহম্মদ শামিও নিলেন উইকেট। ফেরালেন সূর্যকুমার-হার্দিককে। ক্রুণাল ফিরলেন রবি বিষ্ণোইয়ের বলে। আর ক্রিস জর্ডন নিলেন কুইন্টনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kings XI Punjab Mumbai Indians IPL 2020
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE